ফেব্রুয়ারি মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত
ফেব্রুয়ারি মাস বাঙালিদের জীবনে একটি স্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণময় মাস।
ফেব্রুয়ারি মাস গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে এটি একটি মাতৃভাষা দিবসের মাস। বাংলাদেশ
সহ পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশে একুশে ফেব্রুয়ারিকে মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা
হয়।
বাংলাদেশের বাইরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। চলুন আমরা
আজকে ফেব্রুয়ারি মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
সূচিপত্রঃ ফেব্রুয়ারি মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত
- ফেব্রুয়ারি মাসের তাৎপর্য
- ফেব্রুয়ারি মাসের বিশেষ দিবস
- একুশে ফেব্রুয়ারি কেন পালন করা হয়
- একুশে ফেব্রুয়ারির ইতিহাস
- জাতিসংঘ একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি
- ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারি ছুটির দিনগুলি
- ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস লিপিয়ার মাস
- ফেব্রুয়ারি মাস সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর
- ফেব্রুয়ারিতে বাংলা মাসের ঋতু বৈচিত্র
- ফেব্রুয়ারি মাসের গুরুত্ব
ফেব্রুয়ারি মাসের তাৎপর্য
ফেব্রুয়ারি মাসের তাৎপর্য হলো ১৯৪৮ সালে ঢাকায় এক সভায় পাকিস্তানের জনক
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ উর্দুকে বাংলার রাষ্ট্রভাষা হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করলে
তৎকালীন বাঙালি জাতি বিপ্লবে মেতে ওঠে। তখন বাঙালি জাতির মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি
হয়। ওই সভাই শেখ মুজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন এবং বাঙালির পক্ষে বাঙালি জাতির
পক্ষে তার বক্তব্য তুলে ধরেন।
তখন শেখ মুজিবর এর কথায় বাংলার আপামর জনতা এক হয়ে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলে।
এরপর আবার ১৯৫০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান ১৯৫২ সালে খাজা নাজিম
উদ্দিন উদ্যোগে আবার পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা বলে ঘোষণা দেন।
আরো পড়ুনঃ বাংলা ক্যালেন্ডার ২০২৫
আর এটাকে কেন্দ্র করে ১৯৪৮ সাল থেকে ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। এ আন্দোলন দিন
দিন আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে বাঙ্গালীদের একাত্বতায়।সারা বাংলা এক হয়ে যখন
আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে এবং সারা বাংলার মানুষ এই আন্দোলনকে সমর্থন করে।
ফলে এই আন্দোলনকে ঠেকাতে ১৯৫২ সালে পাকিস্তানে হানাদার বাহিনী বাংলার আন্দোলনরত
মানুষের উপর গুলি চালায়। গলিতে শহীদ হন সালাম বরকত শফিক জব্বার রফিকসহ আরো
অনেকেই। এরপরে শুরু হয় রক্তলেখা নতুন ইতিহাস। আর এই জন্য এই মাসকে ভাষা
আন্দোলনের মাস বলা হয়।
ফেব্রুয়ারি মাসের বিশেষ দিবস
ফেব্রুয়ারি মাসের বিশেষ দিবস রয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের অনেকগুলো দিবস যেমন
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ভালোবাসা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, পতাকা দিবস, পরিবার
দিবস, বিজয় দিবস, বিশ্ব পরিণয় দিবস, সুন্দরবন দিবস আরো অনেক দিবস আছে। বাংলাদেশ
সহ পৃথিবীর পুরো বিশ্বে ফেব্রুয়ারি মাসের একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক
মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখে বিশ্ব ভালবাসা দিবস হিসেবে পালন করা হয় পৃথিবীর
প্রত্যেকটা দেশেই। কানাডায় ১৫ ফেব্রুয়ারি পতাকা দিবস হিসেবে ওই দেশের মানুষ
উদযাপন করে থাকে। এস্তোনিয়ার জাতি গোষ্ঠী ২৪ শে ফেব্রুয়ারিকে স্বাধীনতা দিবস
হিসেবে পালন করে থাকে। মেক্সিকোর জাতিগোষ্ঠী ২৪ শে ফেব্রুয়ারিকে পতাকা দিবস
হিসেবে উদযাপন করে।
কানাডার জাতি গোষ্ঠী ফেব্রুয়ারি মাসে তৃতীয় সম্পর্কে পরিবার দিবস হিসাবে উদযাপন
করে থাকে এবং ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে বিশ্ব পরিণয় দিবস হিসেবে
উদযাপন করে। বাংলাদেশের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখে সুন্দরবন দিবস হিসেবে পালন
করে থাকে। ফেব্রুয়ারি মাসের অনেক দিবস রয়েছে বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশেও অনেক
দিবস পালন করে থাকে এই মাসে।
একুশে ফেব্রুয়ারি কেন পালন করা হয়
একুশে ফেব্রুয়ারি আমরা পালন করি এই জন্য এই মাসে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে
বাঙালির আপামর জনগণ বাংলা ভাষার জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন।এবং বাংলা
ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিল। এই জীবন ত্যাগের জন্যই বাঙালি জাতের পৃথিবীর ইতিহাসে
মাথা উঁচু করে স্বাধীনভাবে চলতে পারছে। এজন্যই একুশে ফেব্রুয়ারিকে মাতৃভাষা দিবস
হিসেবে বাংলার মানুষ পালন করে।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা বাংলাকে একদম শেষ করে দিতে চেয়েছিল। তারা চেয়েছিল
উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। তখন বাংলাকে দুই ভাগে বিভক্ত করা
হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান। তৎকালীন পাকিস্তানের
প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেয় হবে পূর্ব পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।
আরো পড়ুনঃ ২০২৫ সালের আরবি ক্যলেন্ডার
কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ জনগণ অর্থাৎ বাঙালি জাতি এটা কখনোই মেনে নিতে
পারেনি। তারা মেনে নিতে পারেনি তাদের মুখের ভাষা কেউ কেড়ে নেবে মায়ের ভাষা কেউ
কেড়ে নেবে। তারা তাদের ভাষার স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাকিস্তানিদের
বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম শুরু করে।
আর এই আন্দোলনকে দমাতে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ
বাঙ্গালী জাতির উপর তার হানাদার বাহিনীকে গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়। এই
গুলিতে রফিক শফিক জব্বার সহ আরো অনেক সংগ্রামী মানুষের জীবন চলে যায়। এবং এই
রক্তের বিনিময়ে বাঙালি যাতে নয় মাস যুদ্ধ করে বাংলা ভাষাকে বাঙালি জাতিকে
স্বাধীন করে।
একুশে ফেব্রুয়ারির ইতিহাস
একুশে ফেব্রুয়ারীর ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেক বাঙালির জানা দরকার। একুশে
ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির জীবনে স্মরণীয়-বরণীয় একটি দিন। একুশে ফেব্রুয়ারি
দিনটি না আসলে আমরা কখনোই বাঙালি জাতি হিসাবে বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে
দাঁড়াতে পারতাম না। আজকে আমরা এই যে স্বাধীনভাবে চলছি ফিরছি কথা বলছি এই সবকিছুই
একুশে ফেব্রুয়ারির দিনটির কারণে।
বাংলাদেশে একুশে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২হল সেই দিনের বার্ষিকী যখন তৎকালীন পাকিস্তান
প্রদেশ পূর্ব বাংলার যা এখন বাংলাদেশে স্বাধীন রাষ্ট্র বাঙালি তাদের বাংলা ভাষা
স্বীকৃতির জন্য লড়াই করছিল। বাংলার সকল ব্যক্তি বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে নিম্ন
শ্রেণীর মধ্যে শ্রেণী সকল শ্রেণীর মানুষ বাংলা ভাষার জন্য উচ্চকণ্ঠস্বর তুলেছিল।
কৃষক শ্রমিক ডাক্তার কামার কুমার ধনী দারিদ্র্য ছাত্র-ছাত্রী সকল মানুষ সকল
ধর্মের মানুষ নির্বিশেষে এক হয়ে বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলনে অগ্রসর হয়।আর এই
আন্দোলনের প্রধান উচ্চকণ্ঠস্বর ছিল শেখ মুজিবুর রহমান। তার ডাকে সকল জনগণ এক হয়ে
ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা প্রেমী হয়ে ওঠে।
এরপর থেকে আন্দোলন আরো প্রখর হয়ে ওঠে। বাঙালি জনগণ পায়খানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে
যুদ্ধের ঘোষণা দেয় এবং বাংলাদেশের শুরু হয় স্বাধীনতা যুদ্ধ। নয় মাস যুদ্ধ চলেন
আর এই যুদ্ধে পাকিস্তান নিয়ে হানাদার বাহিনীদেরকে দমন করে বাঙালি জাতি বিজয়
অর্জন করে।
জাতিসংঘ একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি
জাতিসংঘ একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
ইউনেস্কো সর্বপ্রথম ১৯৯৯ সালের ১৭ ই নভেম্বর একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক
মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।পরবর্তীতে উল্লেখযোগ্য জাতিসংঘ গুলো একুশে
ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
এভাবে বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারিকে
সমর্থন করে আসছে এবং এই দিনটিতে অর্থাৎ একুশে ফেব্রুয়ারিকে উদযাপন করে আসছে।
একুশে ফেব্রুয়ারি প্রত্যেক জাতির কাছে একটি গর্বিত দিবস। এই দিবস প্রত্যেক জাতির
ভাষার স্বাধীনতা বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।
১৯৯৯ সালের ১৭ ই নভেম্বর সমর্থন করলেও একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা
দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে ২০০০ সাল থেকে। জাতিসংঘ ২০০৮ সাল থেকে মাতৃভাষা দিবস
পালন করা শুরু করেছে।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারি ছুটির দিনগুলি
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের সরকারি ছুটির দিনগুলো ছিল কয়েকটি।২০২৪ সালে
ফেব্রুয়ারি মাসে মোট ৬ দিন সরকারি ছুটি ছিল।৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার এই দিন যদিও
সরকারি ছুটির দিন তারপরও এই দিনেই আরেকটি ছুটির দিন পড়ে ছিল সেটি হচ্ছে শবে
মেরাজ। মেরাজের দিনটি হচ্ছে মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।
আরেকটি ছুটি ছিল ১৪ই ফেব্রুয়ারি বুধবার। এই দিনে হিন্দু ধর্মের সরস্বতী পূজা ছিল
আর এই পূজার জন্য সরকারি ছুটি ছিল।১৪ ই ফেব্রুয়ারিতে আরেকটি ছুটি ছিল সেটি ছিল
খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের বিশেষ দিন উদযাপনের জন্য।একুশে ফেব্রুয়ারি বুধবার
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসের জন্য জাতির উদ্দেশ্যে সরকারি ঘোষণা করেন।
২০২৪ সালের ২৩ শে ফেব্রুয়ারি বৌদ্ধদের একটি উৎসব উৎসব মাগী পূর্ণিমার জন্য ছুটি
ছিল।২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবারে শবে বরাতের জন্য সরকারি ছুটি ছিল। শবে বরাতশাবান
মাসের শ্রেষ্ঠ রজনী। এই রাতে মুসলমানরা আল্লাহর কাছে তার এবাদতের মাধ্যমে
ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। মুসলমানদের কাছে এটি একটি শ্রেষ্ঠ দিন।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস লিপিয়ার মাস
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস লিপিয়ার মাস। ২০১৪ সালে লিপ ইয়ার মাস পড়েছে। যে
বছর লিপিয়ার যাদের সে বছর ফেব্রুয়ারি মাস ২৯ দিন হবে। বছরের বারটি মাসের মধ্যে
ফেব্রুয়ারি মাস হচ্ছে সবচাইতে ছোট মাছ।অন্যান্য মাছগুলো ৩০ দিনের এবং ৩১ দিনের
হয় কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাস ২৯ দিনের বা ২৮ দিনের হয়।
লিপ ইয়ার মাছ আমরা কেন বলি আসলে আমরা ৩৬৫ দিনে বছর ধরি। কিন্তু পৃথিবীর সূর্যকে
একবার প্রদক্ষিণ করে আসতে ৩৬৫ দিনের কিছু সময় বেশি লাগে। আর এই সময়টা হল ৩৬৫
দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড অর্থাৎ আমরা প্রতিবছর কয়েক ঘন্টা কম হিসাব
করি।আর এখান থেকেই লিপিয়ার বছর এসেছে।
ইংরেজি মাস | তারিখ | দিন/বার | বাংলা মাস |
---|---|---|---|
ফেব্রুয়ারি | ০১ | বৃহস্পতিবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ০২ | শুক্রবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ০৩ | শনিবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ০৪ | রবিবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ০৫ | সোমবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ০৬ | মঙ্গলবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ০৭ | বুধবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ০৮ | বৃহস্পতিবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ০৯ | শুক্রবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ১০ | শনিবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ১১ | রবিবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ১২ | সোমবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ১৩ | মঙ্গলবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ১৪ | বুধবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ১৫ | বৃহস্পতিবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ১৬ | শুক্রবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ১৭ | শনিবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ১৮ | রবিবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ১৯ | সোমবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ২০ | মঙ্গলবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ২১ | বুধবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ২২ | বৃহস্পতিবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ২৩ | শুক্রবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ২৪ | শনিবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ২৫ | রবিবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ২৬ | সোমবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ২৭ | মঙ্গলবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ২৮ | বুধবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি | ২৯ | বৃহস্পতিবার | মাঘ-ফাল্গুন |
ফেব্রুয়ারি মাস সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ একুশে ফেব্রুয়ারি কেন পালন করা হয়?
উত্তরঃ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সচেতনতা
ছড়িয়ে দিতে এবং বহু প্রশ্নঃ মানসিকতা প্রচারের জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত
হয়।
প্রশ্নঃ ফেব্রুয়ারি মাস ২৯ দিন কেন হয়?
উত্তরঃ ফেব্রুয়ারি মাস ২৯ দিনের হওয়ার পেছনের মূল কারণ হলো পৃথিবীর
সূর্যের চারদিকে ঘোড়ার সময়কাল পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরে আসতে ৩৬৫ দিন ৬
ঘন্টা সময় নেয় এই অতিরিক্ত ৬ ঘন্টাকে প্রতি চার বছর পর পর একটি অতিরিক্ত দিন
হিসেবে ফেব্রুয়ারি মাসের সাথে যুক্ত করা হয় তাই প্রতি ৪ বছর পর ফেব্রুয়ারি
মাসে ২৯ দিন হয়।
প্রশ্নঃ ফেব্রুয়ারি মাস কে আবিষ্কার করেন?
উত্তরঃ ফেব্রুয়ারি মাস কে আবিষ্কার করেন রোমান রাজা নুমা
পম্পিলিয়াস।
প্রশ্নঃফেব্রুয়ারি মাস কিসের মাস?
উত্তরঃ ফেব্রুয়ারি মাস হলো গৌরব চেতনার মাস।ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা
শহীদদের স্মরণ করি। এই শহীদদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি বাংলা ভাষা। তাই
এটা আমাদের জন্য গৌরবের ও চেতনার।
ফেব্রুয়ারিতে বাংলা মাসের ঋতু বৈচিত্র
ফেব্রুয়ারিতে বাংলা মাসের ঋতুর বৈচিত্র্যতা অন্যরকম। বাংলা মাসের মাঘ ও বসন্ত
মাস নিয়ে ইংরেজির ফেব্রুয়ারি মাস।ফেব্রুয়ারি মাসে মাঘ মাস থাকে পনেরো দিন এবং
বসন্ত মাছ থাকে পনেরো দিন। দুই মাসের অর্ধেক অর্ধেক করে ৩০ দিন ফেব্রুয়ারি মাস
পূর্ণ হয়।এটি বাংলা মাসের বৈশিষ্ট্য।
গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত ও বসন্ত এ ৬ ঋতু নিয়েই বাংলাদেশ। যদিও ঋতুর শয্যায়
সজ্জিত বাংলাদেশ কিন্তু বর্তমানে এটা অলিক কল্পনা।বর্তমান সময়ে জলবায়ু
পরিবর্তনের ফলে দিন দিন পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে। যার কারণে ঋতু হারিয়ে ফেলছে
তার অপরূপ বৈচিত্র।আগে মাঘ মাসে প্রচুর শীত পড়তো কিন্তু এখন আগের মত সেরকম শীত
আর দেখা যায় না এর প্রধান কারণ হচ্ছে জলবায়ুর পরিবর্তন।
বসন্তকাল অনেকটা আগের মতো থাকলেও পুরোটা আগের মতন নেই জল আবার পরিবর্তনের সাথে
সাথে বসন্তের সময়টাও অনেকটা পাল্টে গেছে। বসন্ত মানেই চারিদিকে নতুন গাছ পালার
নতুন নতুন পাতা সব কিছু নতুন।আর এই বসন্তটায় বর্তমানে ফেব্রুয়ারি মাসটাকে
স্মরণীয় করে রেখেছে। ফেব্রুয়ারি মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত এটির মধ্যে
এই মাসের বৈচিত্র জানা দরকার।
ফেব্রুয়ারি মাসের গুরুত্ব
ফেব্রুয়ারি মাস পৃথিবী প্রত্যেকটা জাতির কাছে গুরুত্বপূর্ণ একটি
মাস।ফেব্রুয়ারি মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বলে শেষ করা যাবে না।পৃথিবীর
প্রত্যেকটা জাতি ফেব্রুয়ারি মাসকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।কোন জাতি
চায়না তার নিজের দেশের ভাষা অন্য একটা দেশ বার রাষ্ট্র কেড়ে নিক।
প্রত্যেক রাষ্ট্রের প্রধান মৌলিক অধিকার হচ্ছে তার ভাষার স্বাধীনতা।প্রত্যেক
রাষ্ট্রে তার ভাষার জন্য কম বেশি আন্দোলন করেছে এবং স্বাধীনতা অর্জন
করেছে।বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নেই। বাংলাদেশ ভাষা আন্দোলন কে কেন্দ্র করে
স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে এবং স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
বাংলাদেশের মানুষের কাছে ফেব্রুয়ারি মাস অত্যন্ত চেতনা ও গৌরবের মানুষ। কারণ
এই মাসে বাংলার জনগণের উপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা নির্বিচারে অত্যাচার
চালিয়েছে ফল বাংলার জনগণ স্বাধীনতার ডাক দেয় এবংযুদ্ধ করে বাংলাদেশকে
স্বাধীন করতে সক্ষম হয়।এটা আমাদের প্রত্যেক বাঙালি গর্বের অহংকারের।
ফেব্রুয়ারি মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানা এতটাই গুরুত্ব দেয়া
দরকার যে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে আমাদের ইতিহাসকে ভুলে না যায়। এজন্য
আমাদের দরকার ফেব্রুয়ারি মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত নিয়ে আমাদের
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানানো। এর জন্য অনেক মাধ্যম রয়েছে যেমনবইমেলা ইতিহাস
কেন্দ্রিক নাটক সিনেমা তৈরি করা শুধু বই-পুস্তকে এটি থাকবে না সকল ক্ষেত্রে
সকল সেক্টরে এটির চর্চা থাকবে।
ফেব্রুয়ারি মাস সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
আমরা আমাদের এই পোস্টে ফেব্রুয়ারি মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত
জানিয়েছি।অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ফেব্রুয়ারি মাসের গুরত্ব সম্পর্কে
বিস্তারিত বিভিন্নভাবে বলা আছে।বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে ফেব্রুয়ারি মাসের
গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত গবেষণা করে লিখেছেন। আমিও আমার পোস্টে ফেব্রুয়ারি
মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিততে এমন কিছু তথ্য তুলে ধরেছি।
আশা করছি আমার এই পোস্টটি মুলত ফেব্রুয়ারি মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত
পড়লে আপনি অনেক তথ্য সম্পর্কেজানতে পারবেন অন্যদের পোস্ট থেকে আপনি যা মিস
করেছেন তা আমারপোস্ট থেকে পেতে পারেন।আমার পোস্টে ভালো লাগলে আবারও আমার
ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম জানাই।
রিজু ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url