কুমারিকার ৩টি তেলের উপকারিতা অপকারিতা ও ব্যবহার

কুমারিকার ৩টি তেলের উপকারিতা অপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হলে এই পোস্টটি ভালোভাবে পড়তে হবে। চুলের সমস্যা নেই এমন কেউ নেই। চুলের যত্নে প্রায় সবাই কমবেশি বিভিন্ন ধরনের তেল মেখে থাকে।
কুমারিকার ৩টি তেলের উপকারিতা অপকারিতা ও ব্যবহার
কিন্তু বেশিরভাগ ছেলে মেয়েরাই জানে না তার চুলের জন্য কোন তেলটি উপযুক্ত। আজকে আমরা এমন তিনটি তেল সম্পর্কে জানাবো যেটি আপনার চুলের জন্য উপযুক্ত।

সূচিপত্রঃ কুমারিকার ৩টি তেলের উপকারিতা অপকারিতা ও ব্যবহার সমূহ

কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল তেলের উপাদান

কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল তেল অনেকগুলো উপাদান নিয়ে তৈরি হয়েছে। আমরা অনেকেই তেল কেনার আগে তেলের মধ্যে কি ধরনের উপাদান আছে সেটি না বুঝেই বা অনেক সময় না দেখেই তেল কিনি। কিন্তু আমরা জানিই না চুলের যত্নের তেলের ভূমিকা কতটুকু। তাই আমাদের এমন তেল ব্যবহার করতে হবে যে তেলে যথেষ্ট পরিমাণ উপাদান এ্যাড করা আছে। 
তেমন একটি তেল হল কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল তেল। এই তেলে যথেষ্ট পরিমাণ প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে। যা আমাদের চুলের জন্য অত্যন্ত কার্যকারী। চলুন দেখা যাক কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল তেলে কি কি ধরনের উপাদান রয়েছে

ভেটিভারঃ
ভেটিভার হল এক ধরনের উদ্ভিদ। আর এই উদ্ভিদের শেখর কুমারিকা তেলে ব্যবহার করা হয়। ভেটিভার দেয়া হয়েছে এই কারণে যাতে তেলটি মাথায় দিলে মাথা ঠান্ডা থাকে। এটি শীতলতা অনুভব করায়। যাদের মাথা খুব গরম তারা এই তেলটি ব্যবহার করতে পারে। ভেটিভার চুল ও মাথার স্ক্যাল্প ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।

মুকুনুওয়েন্নাঃ
মুকুনুওয়েন্না আর একটি উপাদান। এই উপাদান দ্বারা চুলের গ্রোথ কে বাড়িয়ে দেয়। এই উপাদানের মাধ্যমে চুল তাড়াতাড়ি বাড়তে থাকে। মূলত চুল বৃদ্ধিতে এই উপাদান সহায়ক ভূমিকা রাখে। কুমারিকা তেলের এই উপাদানটি যথেষ্ট পরিমাণে আছে।

আমলাঃ
কুমারিকা তেলে আমলকি রয়েছে।আমরা জানি আমলা খুবই উপকারী একটি ফল। আমলাদের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। আমলা সব ধরনের উপাদান আছে যেটি আমাদের চুলকে সব ধরনের সমস্যা থেকে সমাধান দেয়। আমলা চুল পড়ার থেকে বাঁচায়। চুলের গোড়াকে শক্ত করে এবং ঘন ও কালো করে। প্রাচীনকাল থেকে আমলার ব্যবহার অত্যাধিক। এটি চুলের জন্য যথেষ্ট উপকারী।

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীঃ
কুমারিকা তেলে অ্যালোভেরা রয়েছে। এলোভেরার আরেকটি নাম হচ্ছে ঘৃতকুমারী। আমরা অনেকে চুলে ব্যবহার করার জন্য বাজার থেকে এলোভেরা নিয়ে এসে সেটি সরাসরি তুলে লাগায়। কিন্তু কুমারিকা তেলে অ্যালোভেরা এমন ভাবে মিক্স করা আছে যে এটি আমরা যে কোন অবস্থায় লাগাতে পারি।কুমারিকা তেলে এলোভেরা থাকার ফলে এই তেল মাখার পরও চুল হয় সিল্কি ও সফট।

ব্রাক্ষীলতাঃ
ব্রাক্ষীলতা এমন একটি উপাদান যেটি দ্রুত বেবি হেয়ার গুলোকে বাড়তে সাহায্য করে এবং চুল ঘন করতে সাহায্য করে। এমনকি ব্রাক্ষীলতা চুলের টেক্সচারকে সুন্দর ক রে ও চুল পড়া বন্ধ করে। এই উপাদানটি ও কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল তেলে রয়েছে।

নারিকেল তেলঃ
নারিকেল তেল হল সব উপাদানের বড় উপাদান। প্রাচীনকাল থেকেই চুলের যত্নে নারিকেল তেলের ভূমিকা অপরিসীম। বিশুদ্ধ নারিকেল তেল চুলের সকল প্রকার সমস্যার সমাধান করে। বিশুদ্ধ নারিকেলের তেলে রয়েছে যাবতীয় পুষ্টি উপাদান যা চুলকে করে নরম মজবুত। বিশুদ্ধ নারিকেল তেল চুলের লালচে ভাব কমায়। যা এই কুমারিকা তেলের মধ্যে রয়েছে।

কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল তেলের উপকারিতা

কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল তেলের উপকারিতা অনেক। কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল তেল এতটাই ভালো যে এটি চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর করে। আমি নিজে এই তেলটি ব্যবহার করে দেখেছি। এই তেলের সবচাইতে ভালো দিক হচ্ছেএই তেলটি অতি দ্রুত চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুল লম্বা ও মাথা ঠান্ডা রাখে। এই তেলের আরো কিছু ভালো দিক বা এর উপকারিতা গুলো তুলে ধরা হলো
  • এই তেলটি শতভাগ প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা তৈরি।
  • এই তেলে কোন প্রকার ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ দেয়া নেই।
  • এই তেল সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা তৈরি বলে এই তেলের গন্ধ অনেক সুন্দর। এই তেলে কোন প্রকার কৃত্রিম গন্ধ ও কৃত্রিম উপাদান ও ব্যবহার করা হয়নি।
  • এই তেলটি চুলের যাবতীয় ড্যামেজ রিপেয়ার করতে সাহায্য করে।
  • কুমারিকা তেল এমন উপাদান দিয়ে তৈরি যার কারণে এই তেল মাথায় দেওয়ার সাথে সাথে মাথা ঠান্ডা হয়।
  • কুমারিকা তেল ননস্টিক তেল। যার কারনে মাথায় তেল দেওয়ার পরে চ্যাপ চ্যাপে হয়ে থাকে না। চুল অনেটা ঝরঝরে থাকে।
আমি কুমারিকার ৩টি তেলের উপকারিতা অপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে বলতে চেয়েছি তার মধ্যে কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল তেল অন্যতম। কারণ এই তেলটি চুলের জন্য যথেষ্ট ভালো।

কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল তেলের অপকারিতা

কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল তেলের অপকারিতা বলতে গেলে অনেক কিছু বলতে হয়। কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল তেল একটি ন্যাচারাল ও হারবাল তেল। এই তেল চুলের কোন প্রকার ক্ষতি করে না। কিন্তু হ্যাঁ এই তেলও চুলের জন্য ক্ষতিকর বা এর অপকারিতা রয়েছে। আপনারা ভাবছেন কেন বলছি এই কথা?

এই কথা বলার একটাই কারণ হলো যদি কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল তেলটি অরজিনাল না হয় তাহলে এটি চুলের অপকারিতা ছাড়া উপকারিতা আসবে না। কারণ দুই নাম্বার বা নকল কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল তেল চুলের কখনোই উপকার করবে না। হ্যাঁ আর একটা কথা আছে অনেকের ক্ষেত্রে এই তেল সুট করে না।

যার কারনে তারা এই তেল থেকে খুব একটা থেকে ভালো রেজাল্ট পায় না। এবং অনেকের অনেক বেশি ঠান্ডা লাগার সমস্যা রয়েছে। এই তেলটি অনেকটা শীতল প্রকৃতির।যার কারনে মাথায় দেয়ার সাথে সাথে মাথা ঠান্ডা হয়ে যায়।ফলে যাদের ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা বেশি তাদের সমস্যা হয়।তাছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই তেল দিয়ে চুলের যথেষ্ট উপকার হয়।

আপনাকে অবশ্যই আসল কুমারিকা হেয়ার অয়েল বেছে নিতে হবে। বেছে নেয়ার জন্য আপনি অবশ্যই বিশ্বস্ত দোকান থেকে কিনবেন। এবং কেনার আগে বোতলের গায়ের বার কোডটি চেক করে নিবেন। তাহলে আর ঠকবেন না এবং এর তেল ব্যবহার করেও আপনার ক্ষতি হবে না।

কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল তেলের দাম ও পরিমাণ

কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল তেলের দাম ও পরিমাণ জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে কসমেটিকের দোকানে যেতে হবে। কিংবা আপনি অনলাইনের মাধ্যমেও এই তেলটির দাম সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনাদের সুবিধার্থে আমি কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল অয়েলের দম তুলে ধরলাম। ২০০ মিলে কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল অয়েলের দাম হচ্ছে ১৮৫ টাকা।

২৩০ মিলি কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল অয়েলের দাম হচ্ছে ৩০০ টাকা।এবং ১০০ মিলিয়ে কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল অয়েলের দাম ৯০ টাকা। কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল অয়েলের উপাদান অনুযায়ী এর দাম হাতের নাগালে রয়েছে।এর চাইতে বেশি দাম দিয়ে আমরা অনেকেই চুলের জন্য অনেক ধরনের তেল কিনে ব্যবহার করে থাকি।

কিন্তু কোন ভাবেই চুলের কোন সমস্যা সমাধান হয় না। আমি আপনাদের শতভাগ নিশ্চয়তার সাথে বলতে পারি কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল অয়েল তেল চুলের যত্নে যথেষ্ট কার্যকারী। এছাড়া এর দাম হাতের নাগালের মধ্যে থাকায় আপনারা সহজেই কিনতে পারবেন এবং ব্যবহার করতে পারবেন। 

কুমারিকার তিনটি তেলের উপকারিতা অপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে বলতে গেলে এটি অবশ্যই বলতে হবে যে এই তেলটি যথেষ্ট উপকারী এবং সাশ্রায়ী দামে পাওয়া যায়। ফলে সবাই এটি ব্যবহার করতে পারে।কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল অয়েল ১০০ মিলির দাম সাশ্রয় এবং অনেক ছোট থাকায় এটি যে কোন জায়গায় ক্যারি করা যায়। ক্যারি করতে কোন সমস্যা হয় না।

কুমারিকা তেলের ব্যবহারের নিয়ম

কুমারিকা তেলের ব্যবহারের নিয়ম আমরা প্রায় সবাই জানি। কিন্তু কুমারিকা তেল থেকে ভালো ফলাফল পেতে হলে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন দিতে পারেন। আর যদি এর চাইতেও আরো বেশি ভালো ফলাফল পেতে চান তাহলে অবশ্যই রোজ ঘুমানোর আগে এই তেল ব্যবহার করভারা
আরো পড়ুনঃ
এবং সকালে উঠে শ্যাম্পু করে ফেলুন। অনেকের তেল দিয়ে রাখতে পারে না সারাদিন।আবার অনেকে আমরা আছি নানা কাজে ব্যস্ততা এবং মডার্ন যুগে মডার্ন ভাবে চলার জন্য আমরা অনেকেই তেল লাগাই না। এই কারণে আমাদের চুল ওঠা চুল ভেঙ্গে যাওয়া চুলের রুক্ষতা বেড়ে যায় এবং সিল্কিনেস হারিয়ে ফেলে।
আরো পড়ুনঃ
আবার অনেকেই আছি প্রতিনিয়ত চুলে হিট দেওয়ার কারণে চুল ড্যামেজ হয়ে যায়।তাই এই সমস্ত কিছু থেকে চুলকে একটু যত্ন এবং পুষ্টি দেয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের এই তেল প্রতিদিন রাত্রে ঘুমানোর আগে চুলে লাগাতে হবে। হ্যাঁ অবশ্যই আপনি তুলোর সাথে তেল ভরিয়ে মাথার স্কাল্পে ভালোভাবে ড্যাব ড্যাব করে লাগিয়ে নিবেন।
আরো পড়ুনঃ
তুলার মাধ্যমে চুলে তেল দিলে চুলের প্রত্যেকটি গোড়ায় গোড়ায় যায়।যার ফলে চুলের গোরা মজবুত হয় এবং চুল পড়া বন্ধ হয় চুল ভালো থাকে। আপনি যদি এইভাবে নিয়ম করে চুলে তেল দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার চুল ভালো থাকবে এবং সুন্দর থাকবে।

কুমারিকা ড্যানড্রাফ কন্ট্রোল তেলের উপাদান

কুমারিকা ড্যানড্রাফ কন্ট্রোল তেলের উপাদান হল দুটি। এর আগে আমরা কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল তেলের উপাদান নিয়ে আলোচনা করেছি। কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল তেল উপাদান অনেকগুলো। এই তেলটি  চুল পড়া বন্ধ করতে এবং চুলের অন্যান্য টেক্সচার ভালো করতে সাহায্য করে। কিন্তু কুমারিকা ড্যানড্রপ কন্ট্রোল তেল দুটি উপাদান নিয়ে তৈরি নিম্নে তা আলোচনা করা হলো
কুমারিকার ৩টি তেলের উপকারিতা অপকারিতা ও ব্যবহার
লেবুঃ
চুলের যত্নে লেবুর গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না। লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, সাইট্রিক এসিড, ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম। লেবু শুধু ত্বকের জন্যই উপকার করে না লেবু চুলের যথেষ্ট কার্যকারী। লেবুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকার কারণে চুলে কোলাজেন বৃদ্ধিতে এটি বিশেষ ভূমিকা রাখে। এবং সাইট্রিক অ্যাসিড চুলের ফলিকলকে উন্মুক্ত করতে সাহায্য করে।

মেথিঃ
মেথি চুলের যত্নে যথেষ্ট কার্যকরী। মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমান আয়রন প্রোটিন এন্টি অক্সিডেন্ট ভিটামিন এ কে ও সি পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম। চুলের যত্নে মেথির গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাচীনকাল থেকে চুলের যত্নে মেথি ব্যবহার করা হয়। কুমারিকা ড্যানড্রাফ তেলেও রয়েছে মেথি। যা চুলের যত্নে সহায়ক।

নারিকেল তেলঃ
কুমারিকা ড্যানড্রপ কন্ট্রোল তেলে মধ্যে রয়েছে ১০০ ভাগ বিশুদ্ধ নারিকেল তেল। বিশুদ্ধ নারিকেল তেল থাকায় ক্ষতি করে না।

কুমারিকার ৩টি তেলের উপকারিতা অপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে বলতে গেলে এই তেলটি ও আরেকটি। কুমারিকা ড্যানড্রপ কন্ট্রোল তেল যে উপাদান গুলো রয়েছে তার চুলের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনিও এটা ইউজ করতে পারেন।

কুমারিকা ড্যানড্রাপ কন্ট্রোল তেলের উপকারিতা 

কুমারিকা ড্যানড্রাপ কন্ট্রোল তেলের উপকারিতা হল এটি চুলের খুশকি দূর করে। যাদের মাথায় প্রচুর পরিমাণে খুশকি তাদের খুশকি দূর করার জন্য তোমাকে তেল খুবই উপকারী। কেননা কুমারিকা রয়েছে মেথি ও লেবুর নির্যাস। আমরা জানি মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি ও ক সাইট্রিক এসিড এবং মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন প্রোটিন ক্যালসিয়াম অনন্য উপাদান।

কুমারিকা ড্যানড্রাপ কন্ট্রোল তেল শুধুমাত্র চুলের খুশকি দূর করে না এটি মাথার ত্বক পরিষ্কারও রাখে। এই তেল এন্টিসেপটিক হিসেবেও কাজ করে। মাথার স্ক্যাল্পের যাবতীয় ফাঙ্গাস দূর করতে সাহায্য করে। কুমারিকা ড্যানড্রাফ তেল মাথার স্ক্যাল্পের খুশকির সাথে সাথে চুলকে সজীব সতেজ ও উজ্জ্বল করে।

যারা ভাবছেন খুশকি দূর করতে কি করতে পারি কি কি ইউজ করব। তারা নিঃসন্দেহে কুমারিকা ড্যানড্রাফ কন্ট্রোল তেল ইউজ করতে পারেন। এই তেল খুশকি দূর করতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। এই তেল পুরোপুরি প্রাকৃতিক নির্যাসে তৈরি। এটি ব্যবহারের ফলে আপনার চুলে কোন প্রকার ক্ষতি হবে না বরং আপনি উপকার পাবেন।

কুমারিকা স্প্লিট এন্ড কন্ট্রোল তেলের উপাদান

কুমারিকা স্প্লিট এন্ড কন্ট্রোল তেলের উপাদান সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো। এই তেলে রয়েছে দুইটি উপাদান। এই দুটি উপাদান হল মেহেদী ও মধু। মেহেদী ও মধু চুলের জন্য যথেষ্ট উপযোগী। নিম্নে এই দুটি উপাদান আলোচনা করা হলো

মেহেদীঃ
চুলের যত্নে মেহেদি অনেক উপকারী। কারণ মেহেদীতে রয়েছে প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। মেহেদীতে প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি মাথার স্ক্যাল্পের এলার্জি দূর করে। এবং চুলের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। চুলের যত্নে মেহেদিও প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার করা হয়।

মধুঃ
মধু চুলের যত্নে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের গড়ায় শক্তি যোগায়। এবং চুলকে মসৃণ করে।

চুলের যত্নে মেহেদী ও মধুর ব্যবহার অনেক। আমরা চুলে আলাদাভাবে মেহেদী ও মধু ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু কুমারিকা স্প্লিট এন্ড কন্ট্রোল তেলে মেহেদী ও মধু এমনভাবে দেয়া আছে যে কোন ভেজাল ছাড়াই আমরা সহজেই এই তেলটি ব্যবহার করতে পারি।

কুমারিকা স্প্লিট এন্ড কন্ট্রোল তেলের উপকারিতা

কুমারিকা স্প্লিট এন্ড কন্ট্রোল তেলের উপকারিতা হলো এই তেলে চুলের সিল্কিনেস বাড়ায়। যাদের চুল খুবই রুক্ষ এবং যাদের চুলের উজ্জ্বলতা হারিয়ে গেছে তারা এই তেলটি ব্যবহার করতে পারেন। এই তেলটি ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে এবং শাইনি করে তুলবে। এই তাইলে যেহেতু মেহেদী রয়েছে সেজন্য এটিম কন্ডিশনের চাহিদা পূরণ করে।

তাছাড়াও মেহেদি তে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যার ফলে চুলের সকল প্রকার এলার্জি এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। তাই আমি সাজেস্ট করবো যে এই তেলটি যেহেতু মেহেদী এবং মধুর নির্যাসে তৈরি। তাই এই তেলটি চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং চুলের সকল প্রকার থেকে রক্ষা করে।

এছাড়া মধুতে রয়েছে ফলিকল। আর ফলিকল চুলের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। চুলের যত্নে বেশি জরুরী চুলের পুষ্টি উপাদান। আর মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। আর কুমারিকা স্প্লিট এন্ড কন্ট্রোল তেলে মধুর পুষ্টি উপাদান অনেক বেশি পরিমাণে রয়েছে।কুমারিকার ৩টি তেলের উপকারিতা অপকারিতা ও ব্যবহার বিধির মধ্যে এই তেলটি আরেকটি উপকারি তেল।

কুমারিকা ৩টি তেলের দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

কোমরে কি তিনটি তেলের দাম সম্পর্কে আজ আপনাদের জানাবো। এর আগে আপনাদেরকে কুমারিকা হেয়ার ফল কন্ট্রোল তেলের দাম সম্পর্কে জানিয়েছি। এখন আপনাদের কুমারিকা ড্যানড্রাফ কন্ট্রোল হেয়ার তেল এবং কুমারিকা স্প্লিট এন্ড কন্ট্রোল তেলের দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।

কুমারিকা ড্যানড্রাফ কন্ট্রোল হেয়ার তেলের দাম ২০০ মিলি ২০০ টাকা। এবং কুমারিকা স্প্লিট এন্ড কন্ট্রোল তেলের দাম ২০০ মিলি ১৭৫ টাকা। এই দুটি তেলের উপকারিতা অনুযায়ী এই তেলের দাম অনেকটা সাশ্রয়ী। যা প্রায় সব মানুষের হাতের নাগালের মধ্যে রয়েছে।
কুমারিকার ৩টি তেলের উপকারিতা অপকারিতা ও ব্যবহার
তাছাড়া আপনি যদি কুমারিকার ৩টি তেলের উপকারিতা অপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে না জানেন অবশ্যই আমার এই পোস্টটি থেকে জেনে নিবেন। তাহলে আপনাদের কুমারিকার ৩টি তেলের উপকারিতা অপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে জানা হবে এবং চুলের যত্নে এটি ব্যবহার উপযোগী বলে মনে হবে আশা করি।

এই দুটি তেল আগের তেলের মতোই সপ্তাহের দুইবার ব্যবহার করলে বেশি ফলাফল পাওয়া যাবে। আরো বেশি ফলাফল পেতে এই তেল দেবার এক ঘন্টা পরে কুমারিকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিতে হবে। এটি অনেক কার্যকরী এবং প্রমাণিত। আমি মনে করব আপনার চুলের খুশকি এবং উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসতে এই দুটিতে অনেক কার্যকরী হবে।

কুমারিকা তেল সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আজকে আমি আপনাদেরকে কুমারিকার ৩টি তেলের উপকারিতা অপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে ভালোভাবে বিস্তারিত জানিয়েছি। আপনারা যদি চুলের সমস্যা নিয়ে টেনশনে থাকেন তাহলে নিঃসন্দেহে কুমারিকার এই তিনটি তেল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ আমি কুমারিকার ৩টি তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা ও ব্যবহার নিয়ে ভালোভাবে রিসার্চ করেছি এবং নিজে ব্যবহার করে এর গুনাগুন সম্পর্কে বুঝতে পেরেছি। 

আপনারা যদি আমার এই পোষ্টটি থেকে কুমারিকার ৩টি তেলের উপকারিতা অপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পারেন এবং জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই তেলটি কিনে ব্যবহার করবেন। কারণ এটি শতভাগ ন্যাচারাল। ভালো লাগলে আমার পোস্টটি অন্যদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিজু ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url