অনলাইনে কাজ করে বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে টাকা উপার্জন
অনলাইনে কাজ করে বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা যায়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা কি কি উপায়ে টাকা উপার্জন করা যায়। অনলাইনে কাজ করার সঠিক মাধ্যম গুলো যদি আমরা জানতে পারি।
এবং শেখা থাকে তাহলে অনলাইনে কাজ করে বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারব। বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় লেনদেনের মাধ্যমে হচ্ছে বিকাশ। যে কোন কাজ করে এই বিকাশ অ্যাপস এর মাধ্যমে আপনি টাকা লেনদেন করতে পারবেন।
সূচিপত্রঃ অনলাইনে টাকা উপার্জন করার সেরা কয়েকটি মাধ্যম
- ড্রাফ শিপিং করে টাকা উপার্জন
- ওয়েবসাইট ডিজাইন করে টাকা উপার্জন
- ব্লগিং করে টাকা উপার্জন
- ফেসবুক মার্কেটিং করে টাকা উপার্জন
- ইউটিউব মার্কেটিং করে টাকা উপার্জন
- গ্রাফিক্স ডিজাইন করে টাকা উপার্জন
- আর্টিকেল রাইটিং করে টাকা উপার্জন
- অনলাইনে টিউশনি করে টাকা উপার্জন
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা উপার্জন
- গেমস খেলে অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন
- ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করিয়ে টাকা উপার্জন
- অনলাইনে টাকা উপার্জন সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
ড্রপ শিপিং করে টাকা উপার্জন
ড্রপ শিপিং করে টাকা উপার্জন করা যায়। অনলাইনের যুগে ড্রপিং একটি অন্যতম ই-কমার্স বিজনেস। যারা চাচ্ছেন নতুন একটা বিজনেস দাঁড় করাবেন তারা ড্রপ শিপিং করে টাকা উপার্জন করতে পারেন। ড্রপ শিপিং কি? হ্যাঁ বন্ধুরা আমরা অনেকেই জানিনা ড্রপ শিপিং টা কি। ড্রপ শিপিং হল অনলাইন বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট সেল করে টাকা উপার্জন।
অনলাইনে আপনার একটা প্রোডাক্ট স্টোর থাকবে।যেখানে আপনি আপনার পছন্দ করা প্রোডাক্ট
বাছাই করে সেল করতে পারেন। এ প্রোডাক্টগুলো আপনার নিজের অনেকগুলো কোম্পানি বা
অন্য জায়গা থেকে নেওয়া। মূলত যারা হোলসেলার আছে তাদের কাছ থেকে আপনি এই
প্রোডাক্টগুলো বাছাই করে আপনার অনলাইন স্টোরে সেল করতে পারেন।
আপনি যে হোলসেলারের কাছ থেকে প্রোডাক্ট নিচ্ছেন ওই হোলসেলার আপনাকে যে দামে
প্রোডাক্ট দিচ্ছে সে দামের উপর আপনি আপনার লাভ রেখে আপনার অনলাইন স্টোরে উক্ত
প্রোডাক্টের ডিটেলস দিয়ে দিবেন এবং যে ক্রেতা বা গ্রাহক আপনার দেয়া প্রোডাক্টটি
পছন্দ করে অর্ডার কনফার্ম করবে ওই অর্ডারটি আপনি থেকে প্রোডাক্ট নিয়েছেন তাদের
কাছে ফরওয়ার্ড করে দিবেন।
তখন হোলসেলারাইওই পণ্যটি বা প্রোডাক্ট কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দিবে।আপনার আর কিছুই
করতে হবে না তখন আপনি শুধু ওই পণ্য থেকে কমিশন পাবেন। এইভাবে আপনি প্রোডাক্টটি
সেল করিয়ে দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারেন। ড্রপ শিপিং এর মাধ্যমে আপনাকে কোথাও
গিয়ে প্রডাক্ট সেল করতে হবে না।
আপনি ঘরে বসে যে কোন ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।এইভাবে
আপনি অনলাইনে কাজ করে বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন। আর
বাংলাদেশে আর্থিক লেনদেনের জন্য বিশ্বস্ত ও জনপ্রিয় একটি অ্যাপস হচ্ছে বিকাশ।
আরে বিকাশ অ্যাপসকে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার আর্থিক লেনদেন সম্পূর্ণ করতে পারেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন করে টাকা উপার্জন
ওয়েবসাইট ডিজাইন করে টাকা উপার্জন লাভবান হতে পারে হতে। অনেকে আছে অনেক ধরনের
ওয়েবসাইট ডিজাইন করাতে চায়। যেমন ধরুন নিউজ পেপার ওয়েবসাইট।আর্টিকেল লেখার
জন্য ওয়েবসাইট। গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য ওয়েবসাইট। মূলত অনলাইনে প্রায় সব
ধরনের কাজের জন্য ওয়েবসাইট দরকার।
আর আপনি যদি এই ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন বা দক্ষ হন তাহলে এরকম ওয়েবসাইট তৈরি
করেও আপনি অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এমন অনেকেই আছে ওয়েবসাইট তৈরি
করেছে কিন্তু ডিজাইন করতে পারিনি। আবার অনেকে আছে ওয়েব তৈরি করতে পারেনা।
আবার এমনও আছে ওয়েবসাইট তৈরি করেছে কিন্তু ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য কোডিং এর
কাজ করতে হয় কালার করতে হয় অনেক কিছু চেঞ্জ করতে হয় যা তারা পারে না। আপনি যদি
ওয়েবসাইট ডিজাইন বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে সেট ডিজাইন করে অর্থ উপার্জন করতে
পারেন। একজন ওয়েবসাইট ডিজাইনার মাসের লাখ টাকারও বেশি ইনকাম করে থাকে।
তাই আপনি যদি ওয়েবসাইট ডিজাইনের দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনিও অনলাইনের মাধ্যমে
ওয়েবসাইট তৈরি করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারেন। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সব দেশেই
ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা ইনকাম করে। আপনি যদি চান বিদেশিদের ওয়েবসাইট ডিজাইন
করতে সেটাও পারবেন।
আবার আপনি যদি চান দেশীয় সাইট থেকে এই ধরনের কাজ অর্থাৎ ওয়েবসাইট ডিজাইন করা
সেটিও পারবেন। ওয়েব ডিজাইন করে অনেকে অনেক টাকা ইনকাম করেছে। আপনি এই ট্রিক্স
ব্যবহার করে অনলাইনে কাজ করে বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন করা যথেষ্ট ডিমান্ডেবল একটি কাজ।
ব্লগিং করে টাকা উপার্জন
ব্লগিং করে টাকা উপার্জন করা যায়। ব্লগিং করে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়। ব্লগিং
হলো এমন একটি বিষয় যেখানে আপনি আপনার পছন্দমত বিষয়ের উপর লেখালেখি করে টাকা
উপার্জন করতে পারেন। আমরা অনেকে অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে চাই। এই জন্য আমরা
গুগলে কোন একটা বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য সার্চ দেই।
তখন বিভিন্ন ওয়েবসাইট সামনে আসে এবং আমরা সেখান থেকে সে বিষয় সম্পর্কে জানতে
পারি। আর এটাই হচ্ছে ব্লগিং। ব্লগিং করার জন্য প্রথমে আপনার কোন একটা বিষয়কে
সিলেট করতে হবে। বিষয়টি হতে হবে আপনার পছন্দের বিষয়। আপনার যদি পছন্দের বিষয়
ছাড়া অন্য বিষয় লেখেন তাহলে আপনি বেশিক্ষণ সে বিষয়ে লিখতে পারবেন না।
আরো পড়ুনঃ রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় সফল হবার উপায়
তাই আপনাকে এমন বিষয় বা টপিক বেছে নিতে হবে যেটা পছন্দের বিষয়। ব্লগিং এর
মাধ্যমে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংও করতে পারবেন। আপনি আপনার ব্লগের মধ্যে
বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপনের অ্যাড দেখিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই বিজ্ঞাপন
গুলো এডসেন্সের মাধ্যমে নেওয়া হয়।
এবং এ বিজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে যত মানুষ আপনার এই ব্লকটা দেখবেন তত আপনার ইনকাম
হবে। এভাবে আপনি ব্লগিং করে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। আর এই অনলাইনে
কাজ করে বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইন
সেক্টরে ব্লগিং একদিন জনপ্রিয় ইনকাম সাইট।
ফেসবুক মার্কেটিং করে টাকা উপার্জন
ফেসবুক মার্কেটিং করে টাকা উপার্জন বর্তমানে খুব জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। দিন যত
যাচ্ছে ফেসবুক মার্কেটিং এর ব্যবহার ততই বাড়ছে। ব্যবসায়ীদের কাছে ব্যবসার
প্রচারের প্রধান একটি মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক মার্কেটিং। ফেসবুক মার্কেটিং হল
ফেসবুকের মাধ্যমে আপনি আপনার পছন্দের বিষয় বা পণ্য বা ব্র্যান্ডকে প্রমোট
করা।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরা ফেসবুক মার্কেটিং করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী
হয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশের মানুষ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার থেকে ফেসবুকেই
বেশিসময় ব্যয় করে। ফেসবুকে আপনি দুইভাবে ইনকাম করতে পারেন। এছাড়াও অনেক ভাবে
ইনকাম করা যায়। কিন্তু আমি বিশেষ করে দুইটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
আপনি আপনার যে ফেসবুক রয়েছে সে প্রোফাইল থেকে রিলস ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করতে
পারেন। আবার ফেসবুক পেজ খুলে বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিও করে ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে
পারেন। কিন্তু মেন্ডেটরি কথা হলো আপনাকে ফেসবুক পেজ খুলতেই হবে। ফেসবুক পেজ খুললে
আপনি প্রোডাক্টটা সেল করেও এখান থেকে অর্থ আর করতে পারবেন।
আবার বিভিন্ন ধরনের ভিডিও বানিয়ে সেখান থেকে অর্থায়ন করতে পারবেন। পেজা আপনার
দুই ধরনের অপশন রয়েছে। আপনার যেটা ইচ্ছা আপনি সেটা বাছাই করে সেইভাবে কাজ করলে
ফেসবুক থেকে অর্থ আয় করতে পারবেন। আর ফেসবুক মার্কেটিং অনলাইন মার্কেটিং এর
মধ্যেই পরে। এভাবেও অনলাইনে কাজ করে বিকাশ পেমেন্ট এর মাধ্যমে আপনি অর্থ লেনদেন
করতে পারেন।
ইউটিউব মার্কেটিং করে টাকা উপার্জন
ইউটিউব মার্কেটিং করে টাকা উপার্জন করছে হাজার হাজার মানুষ। আপনিও চাইলে ইউটিউব
মার্কেটিং করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন ঘরে বসে। আমরা সবাই মনে করি অনলাইনে
ইনকাম করা খুবই সহজ। কিন্তু হ্যাঁ একটা কথা হলো অনলাইনে ইনকাম করে টাকা উপার্জন
করা খুব সহজ শুধু তাদের জন্য যারা এই বিষয়ে দক্ষ।
আপনি যে কোন জিনিস করেন না কেন সেটার জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরতে হয়। অনলাইন
সেক্টরেও ঠিক একই রকম। অনলাইন সেক্টরে যে বেশি ধৈর্য ধরে কাজ করতে পারবে সেই
সফলতা অর্জন করতে পারবে। হ্যাঁ বন্ধুরা আমি আপনাদের ইউটিউব মার্কেটিং এর কথাই
বলছি। অনেকে মনে করে ইউটিউব খুলে কয়েকটা ভিডিও দিলেই হয়তো ইনকাম আসবে।
কিন্তু না এর জন্য আপনাকে প্রপার নিয়মে ভিডিও বানাতে হবে এবং এমন ভিডিও বানাতে
হবে। যেটা মানুষ পছন্দ করে দেখতে চায়। মানুষের আগ্রহ আছে এমন জিনিস নিয়ে ভিডিও
বানাতে হবে। ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করতে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের কমপক্ষে এক
হাজার সাবস্ক্রাইবার হতে হবে।
এবং চার হাজার ঘন্টার ওয়াচ টাইম হতে হবে। এটি যদি হয় তাহলে অবশ্যই আপনি ইউটিউব
থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। ইউটিউব মার্কেটিং অন্যান্য অনলাইন কাজের মধ্যে
একটি। এইভাবেও ইউটিউব মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইনে কাজ করে বিকাশ পেমেন্টের
মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা যায়।
গ্রাফিক্স ডিজাইন করে টাকা উপার্জন
অনলাইন সেক্টরে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার গ্রাফিক্স ডিজাইন করে কম করে হলেও মাসে
৫০ হাজার টাকা শুরু করে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারে।আপনি মূলত বিভিন্ন কোম্পানির
লোগো ডিজাইন ফেভিকন ডিজাইন বানিয়ে লাখ টাকা আয় করতে পারে। এমনকি এইট
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের ব্যানার বা পোস্টার বানিয়ে
অর্থ উপার্জন করতে পারে।
অনেক ধরনের ভিজিটিং কার্ড আপনি যেখানেই যান না কেন ডাক্তারের কাছে যান বা কোন
কোম্পানিতে যান বা কোন দোকানে যান সব জায়গাতেই ভিজিটিং কার্ড রয়েছে। আর এইসব
ভিজিটিং কার্ড কিভাবে তৈরি করেছে জানেন? এই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমেই এই
ভিজিটিং কার্ডগুলো তৈরি করা হয়েছে। ব্যানার পোস্টার লোগো এগুলো সেম।
আপনি অনলাইনের মাধ্যমে এই ধরনের লোগো ব্যানার পোস্টার ভিজিটিং কার্ড বিয়ের
কার্ড এসব বানিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারে। গ্রাফিক্স ডিজাইন হল এক ধরনের আর্ট।
আর্ট আমরা হাতেও করতে পারি এবং কম্পিউটারের মাধ্যমে করতে কম্পিউটারের মাধ্যমে।
আর কম্পিউটারের মাধ্যমে যে ডিজাইনগুলো করা হয় বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সেগুলোকে
গ্রাফিক্স ডিজাইন বলা হয়।
বাংলাদেশের অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সারই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে গ্রাফিক্স ডিজাইন
থেকে বেশি আর্ন করে থাকে। হ্যাঁ একটা বিষয় অবশ্যই আপনাকে মাথায় রাখতে হবে
গ্রাফিক্স ডিজাইন হল খুবই সেনসিটিভ কাজ। কারণ এই ডিজাইনের মাধ্যমেই আপনি কোন
প্রোডাক্টের মূল বিষয় মানুষের কাছে প্রচার করতে চাচ্ছেন। তাই এই বিষয়ে আপনাকে
যথেষ্ট দক্ষ তার সাথে কাজ করতে হবে।
আর্টিকেল রাইটিং করে টাকা উপার্জন
অনলাইন ইনকাম এর মধ্যে আর্টিকেল রাইটিং লিখে টাকা উপার্জন করা এটি সবচাইতে সহজ
একটি মাধ্যম। আপনি যদি আপনার অন্যান্য চাকরির পাশাপাশি বাড়তি ইনকাম করতে চান
তাহলে অবশ্যই আর্টিকেল রাইটিং আপনার জন্য বেস্ট একটা অপশন হবে। যারা লেখালেখিতে
ভালো তারা এই আর্টিকেল রাইটিং করে মাসে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
লেখার জন্য যেসব দক্ষতার দরকার সেগুলো হল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাছাই করতে হবে
যেগুলো মানুষের খুব দরকারি। এবং মানুষ যেটা সব সময় চায়।আর্টিকেল যেকোন ভাষায়
লেখা যায়। আপনি যে ভাষায় পারদর্শী সে ভাষায় আর্টিকেল লিখতে পারবেন। আর্টিকেল
লেখার জন্য আরো কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে সেগুলো হলো।
যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন সেটি কমপক্ষে ১০০০ থেকে ১৫০০ ওয়ার্ডের হতে হবে।
সুন্দর প্যারা করে লিখতে হবে। আপনার লেখার ভাষা মার্জিত এবং চলিত ভাষা হতে হবে।
আপনি যে বিষয়ে লিখছেন সে বিষয়েরউপরে সঠিক তথ্য দিতে হবে।হেডিংগুলো আকর্ষণীয়
হতে হবে। রোজ একই টাইমে আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করতে হবে।
সবকিছু ভালোভাবে মডিফাই করে লিখলে আর্টিকেল রাইটিং থেকে আপনি গুগল এডসেন্স এর
পারমিশন পাবেন এবং সেখান থেকে আপনি ইনকাম করা শুরু করবেন। আর এভাবে আর্টিকেল
রাইটিং এর মাধ্যমে আপনি মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এইসব ফর্মুলায়
অনলাইনে কাজ করে বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা যাবে।
অনলাইনে টিউশনি করে টাকা উপার্জন
অনলাইনে ইঙ্কা আরেকটি সহজ উপায় টাকা ইনকাম করা যায় সেটি হচ্ছে অনলাইন টিউশনি।
আমরা অনেকে অনেক বিষয় পারদর্শী। কেউ বাংলা কেউ ইংরেজি কেউ ইতিহাস কেউ
কম্পিউটার কেউ ফ্রিল্যান্সিং অনেক বিষয় অনেকের দক্ষতা অনেক বেশি। তাই এই
মেধাকে কাজে লাগিয়ে আপনি যদি অনলাইনে টিউশনি করান তাহলে আপনি অনেক টাকা
উপার্জন করতে পারবেন।
বাংলাদেশে অনেক টিউশনি সাইট আছে। যেগুলো থেকে আপনি টিউশনি পেতে পারেন। এইটেশন
সাইট গুলোতে আপনাকে আগে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করলে ওরা আপনাকে
আপনার পছন্দের বিষয়কে সিলেক্ট করতে বলবে এবং সেই বিষয়ে আপনার একটা এক্সাম
নেবে।
আপনি যদি সেই বিষয়ে এক্সামের সাকসেস হতে পারেন তাহলে ওই টিউশন সাইট থেকে
আপনাকে টিউশন করার জন্য সিলেক্ট করবে। আপনি এই সাইটগুলোতে বাসায় বসেই শিপ্ট
করে টিউশনি করাতে পারবেন। এভাবে আপনি সহজে অনলাইন থেকে ঘরে বসেই কোন সমস্যা
ছাড়াই টিউশনি করতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইন টিউশনের প্রচুর চাহিদা
রয়েছে।
আপনি যদি আপনার যে বিষয়ে দক্ষতা বেশি রয়েছে ওই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে টিউশন
করাতে পারেন তাহলে আপনার চাইতে লাভবান আর কেউ হবে না। এটা আপনি বিনা খরচে পুজি
অর্জন করতে পারবেন। কেউ যদি মনে করে ঘরে বসে টিউশনি কিভাবে করব তাহলে অবশ্যই
এইভাবে অনলাইন টিউশন সাইটে এপ্লাই করবেন। তাই বসে না থেকে আজই এপ্লাই করুন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা উপার্জন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা উপার্জন করা সম্ভব। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অনেকটা ড্রপ শিপিং মার্কেটিং এর মত। এফিলেট মার্কেটিং এর কাজ হল আপনি কোন
কোম্পানির বা তৃতীয় পক্ষের কারো কাছ থেকে তাদের পণ্য সম্পর্কে অনলাইনে প্রচার
করে কমিশন নেওয়া কে বোঝায়।
আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন কোম্পানি বা দ্বিতীয় পক্ষের কাছ
থেকে তাদের পণ্যের সম্পর্কের ডিটেলস জেনে আপনার পছন্দমত পণ্য বাছাই করে তাদের
থেকে লিংক নিয়ে আপনার নিজের ফেসবুক ইউটিউব বা ওয়েবসাইটের ওই লিঙ্ক রেফার করে
তাদের পণ্য বিক্রয় করে দিয়ে তাদের থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের কমিশন নিতে
পারেন।
আপনি বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে এই এফিলেট মার্কেটিং করতে পারেন। এতে উক্ত
কোম্পানির আপনাকে প্রত্যেক মাসে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের কমিশন দিবে। আপনি
তাদের পণ্য বিক্রি করে দিয়ে আপনার বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট নিতে
পারেন। আপনি ওদের আপনার বিকাশ নাম্বারটি দিলেই ওরা আপনাকে আপনার কমিশন সেন্ট
করে দিবে।
আপনি যদি কোন ঝুর ঝামেলা ছাড়াই অনলাইনের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে চান তাহলে
নিঃসন্দেহে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এরকম অনেক
কোম্পানি রয়েছে যেমন দারাজ।তাই দেরি না করে আজ থেকে এইভাবে অনলাইনে কাজ করে
বিকাশের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করুন।
গেমস খেলে অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন
গেমস খেলে অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করা আর একটি অন্যতম মাধ্যম। অনেক অ্যাপস
আছে যেগুলো গেমস অ্যাপস। এই অ্যাপস গুলো ডাউনলোড করে আপনি একটার পর একটা গেমস
খেলে কুইজ দিতে পারবেন। এভাবেও টাকা উপার্জন করা যায়। বিভিন্ন ধরনের গেমস আছে
অনলাইনে যেমনঃ লুডু, খেলা, পাবজি, ফ্রী ফায়ার, দাবা ক্যান্ডি ক্রাশ ইত্যাদি।
যারা এই ধরনের খেলায় খুবই পারদর্শী তারা এইসব গেমস খেলে অনলাইন থেকে টাকা
উপার্জন করতে পারবেন। আবার অনেক ধরনের প্রশ্নের কুইজ খেলেও আপনি অর্থ উপার্জন
করতে পারেন। এই ধরনের গেমস অ্যাপ রয়েছে। এই গেমসগুলো আপনি যে কোন দেশের
মানুষের সাথে খেলতে পারে। বিশ্বের প্রায় প্রত্যেকটি দেশের লোকই এই ধরনের গেমস
খেলে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করে।
কিন্তু একটা কথা না বললেই না এই ধরনের গেমস খেলে টাকা উপার্জন করা ইসলাম প্রমোট
করে না। কারণ ইসলাম ধর্ম গেমস খেলে টাকা উপার্জন করাকে হারাম করেছে। কারণ কোন
প্রকার গেমস খেলে টাকা উপার্জন করাকে ইসলাম জুয়ার সাথে পরিমাপ করা হয়। বিদেশে
গেমস খেলে টাকা উপার্জন খুবই জনপ্রিয়।
ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করিয়ে টাকা উপার্জন
ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করে টাকা উপার্জন করা অনলাইন সেক্টরের একটি স্মার্ট
মাধ্যম। বাংলাদেশে দিনের পর দিন ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
বাংলাদেশের রাজস্ব আয় পর্যালোচনা করলে দেখা যায় বেশিরভাগ রেমিটেন্স আসে
ফ্রিল্যান্সারদের ইনকামের উপর ভিত্তি করে। ফ্রিল্যান্সার রাই মূলত বাংলাদেশের
অর্থনীতির চাকা কে সচল করে রেখেছে।
,
দিন দিন হু হু করে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বাড়ছে এবং এর সাথে বেড়ে চলেছে
অনেক ফ্রিল্যান্সিং কোর্স সেন্টার। বর্তমান যুগ মর্ডান যুগ আর এই মডার্ন যুগের
সবাই তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ঘরে বসেই টাকা ইনকাম করার স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন
দেখা দোষের কিছু না যদি আপনি সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই দেশ ও
জাতির জন্য আপনি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবেন।
আপনি যদি সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে অবশ্যই একটি বিশ্বস্ত ফ্রিল্যান্সারে
কাজ থেকে গাইডলাইন্স নিয়ে ধৈর্যের সাথে কাজ করে জান। একদিন অবশ্যই সফলতা
আসবে।আর আপনি যদি সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারেন তাহলে আপনিও নিজে ফ্রিল্যান্সিং
কোর্স চালু করে অন্যদের আপনার মত ফ্রিল্যান্সার তৈরি করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সার হল উদ্যোক্তা যারা নিজে উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে নিজের এবং পরিবারের
আর্থিক সমস্যার সমাধান করে স্বাবলম্বী হয়েছে। এবং নিজ উদ্যোগে অন্যদেরকে
আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। ফ্রিল্যান্সিং কোর্স
বিক্রি করে অনলাইনে কাজ করে বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা
যায়।
অনলাইনে টাকা উপার্জন সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
আজকে আমি আপনাদের অনলাইনে কাজ করে বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করার
বিষয়টি বিস্তারিতভাবে জানিয়েছে। প্রিয় পাঠক আশা করি আমার এই
পোস্টটি থেকে কিভাবে অনলাইন ইনকাম করা যায় কি কি বিষয় নিয়ে কাজ করলে
বেশি ইনকাম করা যায় এবং ইনকাম করে বিকাশের মাধ্যমে কিভাবে পেমেন্ট নিবেন
সেই সম্পর্কে জানিয়েছি। আশা করি আপনি ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন। পোস্টে ভালো
লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
রিজু ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url