ছাত্র অবস্থায় অর্থ উপার্জন করার দশটি উপায়
ছাত্র অবস্থায় অর্থ উপার্জন করার দশটি উপায় সম্পর্কে জানতে
হলে আমার সাথে থাকুন। ছাত্র অবস্থায় অনেকেই অনেক ভাবে অর্থ উপার্জন
করে। আবার অনেকে আছে অর্থ উপার্জনের কোনো পথই খুঁজে পায় না।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেশিরভাগ ছাত্র বুঝতে পারেনা কিভাবে তারা ছাত্র
অবস্থায় ইনকাম করবে। আজকে আমরা আপনাদেরকে ছাত্র অবস্থায় অর্থ উপার্জন করার দশটি
উপায় সম্পর্কে জানাবো। চলুন আমরা বিস্তারিত জানি।
সূচিপত্রঃ বাংলাদেশে ছাত্র অবস্থায় অর্থ উপার্জন করার দশটি উপায়
- টিউশনির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন
- অনলাইন বেকারি ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন
- পেইন্টিং ও হাতের কাজ করে অর্থ উপার্জন
- রেস্টুরেন্ট বা ধাবার ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন
- বাইক চালিয়ে অর্থ উপার্জন
- শপিংমলে পার্ট টাইম জব করে অর্থ উপার্জন
- ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন
- মাছের ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন
- পশু পালন করে অর্থ উপার্জন
- ফেসবুক মার্কেটিং করে অর্থ উপার্জন
- লেখকের শেষ কথা
টিউশনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন
টিউশনে মাধ্যমে অর্থ উপার্জন ছাত্র অবস্থায় সবচেয়ে সহজে একটি উপায়। একজন ছাত্র
সে তার পড়াশোনা চলাকালীন বিভিন্নভাবে অনলাইনে অফলাইনে টিউশনি করিয়ে অর্থ
উপার্জন করতে পারে। বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। এই যুগে অনলাইনের মাধ্যমে
অনেক কাজ করা যায়। শুধু দরকার একটু সময় বের করা।
একজন স্টুডেন্ট তার পড়াশোনার পাশাপাশি সময় বের করে অন্যান্য স্টুডেন্টদের
পড়াশোনা করিয়ে টাকা উপার্জন করতে পার। যে যে বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয়ে টিউশনি
করতে পারে। ধরুন আপনি ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে। তাহলে আপনি ইংরেজি ও গণিত বিষয়
টিউশনি করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একজন ভালো ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শিক্ষকের খুবই
প্রয়োজন। আপনি যে বিষয়ে ভালো দক্ষ ও অভিজ্ঞ সেই বিষয়ে আপনি টিউশনি করাতে
পারেন। হতে পারে সেটি যেকোনো বিষয়। ইংরেজি গণিত ছাড়াও আপনি অনেক বিষয়ে দক্ষ
হতে পারেন। যেমনঃ হায়ার ম্যাথ, রসায়ন, পদার্থ, বিজ্ঞান ইত্যাদি।
এছাড়াও আপনি নাচ, গান, আঁকা- আঁকি এগুলোতে দক্ষ হয়ে থাকেন এগুলো বিষয়েও টিউশনি
করাতে পারেন। বর্তমানে এই বিষয়গুলোতেও টিউশনি করা যায়। শুধু দরকার হবে আপনার
ইচ্ছা শক্তির এবং সময়ের। এই সময়ের অভাবে অনেকে টিউশনি করাতে পারে না। ছাত্র
জীবনের সময়ের গুরুত্ব দেয়া খুবই দরকার।
আপনি যদি পড়াশোনার পাশাপাশি একটু সময় বের করে আপনার নিজের জন্য এবং নিজের
অভিজ্ঞতা বাড়ানোর জন্য টিউশনি করেন তাহলে আপনি সবসময় পড়াশোনার মধ্যে থাকবেন।
আর এই টিউশনি করার মাধ্যমে আপনি আপনার চাকরি পড়াশোনার জন্য আলাদা করে সময় দিতে
হবে না। এতে আপনার টাকা উপার্জন হল এবং চাকরির করার প্রস্তুতিও হয়ে গেল।
অনলাইন বেকারি ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন
অনলাইন বেকারি ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা বর্তমান সময়ে খুব এর জনপ্রিয়
একটি মাধ্যম। আমরা সবাই ফেসবুক ব্যবহার করি। এ ফেসবুক এর মাধ্যমে আমরা ফেসবুক পেজ
খুলে বেকারি ব্যবসা খুলতে পারি। এমনকি শুধু ফেসবুকে না করেন এটা যদি আপনি
অফলাইনেও ব্যবসা করেন তাহলে বেশ লাভবান হতে পারবেন।
কেননা বেকারি ব্যবসায় সব সময় কাস্টমারের আনাগোনা থাকে।অনেক স্টুডেন্ট আছে যারা
কেক বানাতে খুব পছন্দ করে। তারা যদি এই বেকারি ব্যবসার মাধ্যমে কেক বিক্রি করতে
পারে তাহলে সেখান থেকে অর্থ ইনকাম করতে পারে। মডার্ন যুগে আমরা সবাই জন্মদিন,
ভালেন্টাইন্স ডে, ম্যারিড অ্যানি ভারসারিঅনেক দিবস পালন করে।
আরো পড়ুনঃ রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় সফল হবার উপায়
এমনকি অনেক অনুষ্ঠানেও যেমন বিয়ের, গায়ে, হলুদ পার্টি ইত্যাদি অনুষ্ঠানগুলোতে
আমরা সবাই কেক অর্ডার করি। সারা বছর কেকের চাহিদা থাকে। কারণ যে কোন অনুষ্ঠানেই
কেক পছন্দ করে মানুষ। তাই কেক বানিয়ে এইসব অনুষ্ঠানে সাপ্লাই করতে পারেন। শুধু
কেকের ব্যবসা না কেক ছাড়াও আপনি অনেক ধরনের খাবারের আইটেম বানিয়ে বিক্রি করতে
পারেন।
অনলাইনে আপনি যদি কেক বানিয়ে কাস্টমারের কাছে সাপ্লাই করতে পারেন এবং সেই কেক
যদি অনেক ভালো হয় তাহলে আপনার কাস্টমারের অভাব হবে না। আপনার থেকে ভালো মানের
এবং সুস্বাদু কেক পাওয়ার জন্য অনেক কাস্টমারের আপনাকে অনলাইনে অগ্রিম কেক অর্ডার
করবে। এক ছাত্র অবস্থায় অর্থ উপার্জন করার দশটি উপায় এর মধ্যে একটি।
পেইন্টিং ও হাতের কাজ করে অর্থ উপার্জন
পেন্টিং ও হাতের কাজ করে অর্থ উপার্জন করা যায়। অনেকে আছেন অনেক ভালো পেইন্টিং
এর কাজে জানে। আবার অনেকে আছে হাতের কাজ অনেক ভালো জানে। যারা এই সমস্ত পেন্টিং ও
হাতের কাজ ভালো করতে জানেন তারা তাদের হাতের কাজ দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে।
শুধু দরকার একটু বুদ্ধির।
কেননা এই বুদ্ধির অভাবে অনেকে এই সমস্ত কাজ জেনেও কোন ধরনের উপার্জন করতে পারে
না। বুদ্ধি বলতে আপনাকে বোঝানো হয়েছে আপনার হাতের কাছে রয়েছে প্রযুক্তির
ছোঁয়া। আপনি যদি এই হাতের কাজগুলো করে ফেসবুকের মাধ্যমে পোস্ট করে লোকজনদেরকে
জানাতে পারেন। এবং আপনার কাজ দেখে লোকজন যদি খুব ইন্টারেস্টেড হয়।
তাহলে আপনাকে আর কোথাও যেতে হবে না আপনি ঘরে বসে কাস্টমারদের অর্ডার নিয়ে হাতে
কাজ করে ব্যবসা করতে পারেন।তবে হ্যাঁ আরেকটু কিছু আপনার জানা দরকার আপনি পেইন্টিং
এবং হাতের কাজ জানেন কিন্তু আপনাকে আধুনিক রুচিশীল হতে হবে যাতে আপনি আধুনিকতার
ছোঁয়া দিয়ে আপনার হাতের কাজ এর মাধ্যমে সেটি ফুটিয়ে তুলতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়ার ১০টি বৈধ উপায়
যদি আপনি এটি ঠিকঠাক করতে পারেন তাহলে আপনার কাস্টমারের অভাব হবে না। এবার চলুন
কি সব হাতের কাজ বা পেইন্টিং। বিভিন্ন ধরনের ওয়ালমেট, ছবির ফ্রেম ,সৌখিন জিনিসের
উপর কারো কাজ ইত্যাদি। হাতের কাজগুলো হলো কাঁথা, হাতে কাজ করা জামা,হাতে কাজ করা
ব্যাগ আরো বিভিন্ন জিনিস হতে পারে। এগুলো করে একজন ছাত্র অর্থ উপার্জন করতে পারে।
রেস্টুরেন্ট বা ধাবার ব্যবসা করে টাকা উপার্জন
রেস্টুরেন্ট বা ধাবার ব্যবসা করেও ছাত্র অবস্থায় টাকা উপার্জন করা যায়।
বাংলাদেশে পাসপোর্ট খাবার গুলোর চাহিদা অনেক বেশি। তাই এই রেস্টুরেন্ট ধাবার
ব্যবসার ইনকাম অনেক বেশি। আমরা অনেকেই আছি গ্রাম থেকে এসে শহরের ভার্সিটিগুলোতে
পড়াশোনা করছি। আবার এই পড়াশোনা পাশাপাশি অনেকে অনেক কিছু করছে।
যদি আমরা রাস্তার পাশে যেখানে মানুষের সমাগম বেশি সেই জায়গা গুলোকে টার্গেট করে
ছোট করে রেস্টুরেন্ট সেটা হতে পারে ফুচকার রেস্টুরেন্ট চটপটি রেস্টুরেন্ট যেকোনো
ধরনের পাসপোর্ট খাবারের দোকান। ছোট দোকান পুঁজি কম লাগে আর ছোট দোকানে বিক্রিও
বেশি হয়।
যদি কোন স্টুডেন্ট অল্প পুঁজি নিয়ে এই ধরনের ছোট রেষ্টুরেন্ট ব্যবসা দাঁড় করায়
তাহলে সেখান থেকে সে যথেষ্ট টাকা উপার্জন করতে পারবে। আবার অনেকে আছে ধাবার মতো
করে যে কোন জায়গায় যেকোনো ধরনের জিনিস বিক্রি করে এতে কোন প্রকার পুঁজি লাগে না
শুধু কিছু টাকা লাগে যেটি আপনি বিক্রি করবেন সেই জিনিস কেনার টাকা।
বিশেষ করে এই ধাঁবাগুলোতে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা খাবার খেতে আসে। আর
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই মধ্যবিত্ত ও নিম্ন শ্রেণীর আয়ের মানুষ। একজন ছাত্র
কাছে খুব বেশি পরিমাণে টাকা থাকে না তাই একজন ছাত্র যদি অল্প পুজিতে শহরে কোন
ব্যবসা করতে চায় তাহলেসে এই ধরনের রেস্টুরেন্ট বা ভাবার ব্যবসা করতে পারে। এটি
ছাত্র অবস্থায় অর্থ উপার্জন করার দশটি উপায় এর মধ্যে একটি অন্যতম ব্যবসায়িক
উপায়।
বাইক চালিয়ে অর্থ উপার্জন
বাইক চালিয়ে অর্থ উপার্জন এর চেয়ে সহজ উপায় আর কোনটি হতে পারে না। কারণ একজন
ছাত্র কোন ব্যবসায়িক রিক্স ছাড়াই ইচ্ছা মতন যেকোন সময়ে বাইক রাইড শেয়ারিং করে
অর্থ উপার্জন করতে পারে। অনেক স্টুডেন্ট আছেন অনেক ভালোভাবে বাইক চালাতে পারেন।
তারা যদি ঘরে বসে না থাকে এই বাইক চালানোকে কাজে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে
পারেন।
বাইক রাইড শেয়ারিং যে কোন জায়গায় আপনি করতে পারেন। হোক সেটা গ্রামে বা শহরে।
আপনি যেখানে অবস্থান করছেন সেখান থেকে বাইক চালিয়ে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে
পারেন। আপনি যদি শহরে থাকেন তাহলে আপনার ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপনার বাইক রাইট
শেয়ারিং এর বিষয়টা শেয়ার করেন।
আপনি যদি বাইকের রাইট শেয়ারিং অ্যাপস খুলেন তাহলে প্রথমে হয়তো এই ব্যবসায়ী খুব
একটা ভালো কিছু আশা করা যায় না। কিন্তু দিন যেতে যেতে যারা আপনার বাইকে ওঠে তারা
অবশ্যই আপনার সাথে পরিচিত হয় এবং তারা এটা জানে যে আপনি বাইক চালান। বিশ্বাস করা
যায় এমন।
কাস্টমারের মনে এরকম পজেটিভ চিন্তাভাবনা এবং আপনার ভালো সার্ভিসের মাধ্যমে আপনি
প্রতিনিয়ত নতুন কাস্টমার পাবেন। আর আপনি যদি নতুন নতুন কাস্টমার পান তাহলে
অবশ্যই আপনার ইনকামের সাথে সাথে বাড়তে থাকবে।এভাবে একজন শিব ছাত্র বাইক চালিয়ে
অর্থ উপার্জন করতে পারে।এটি বেশ ঝামেলা মুক্ত বলে আপনার কাছে এই অফারটি যথেষ্ট
ডিমান্ডেবল হবে।
শপিংমলে পার্ট টাইম জব করে অর্থ উপার্জন
শপিংমলে পারতাম জব করে অর্ধ উপার্জন করে ছাত্ররা তাদের পড়াশোনার খরচ নিজেরা
চালাতে পারে। শহরে অনেক দোকান ও শপিং মল রয়েছে। আর এইসব শপিংমল গুলোতে পার্ট
টাইম জবের ব্যবস্থা করা আছে। আর একজন স্টুডেন্ট যদি এই শপিংমলে পার্ট টাইম জব করে
তাহলে সে পড়াশোনার পাশাপাশি একটা ইনকাম করতে পারছে।
এবং এই পার্ট টাইম জব এর মাধ্যমে ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারছেন। আর এই
অভিজ্ঞতা একদিন তাকে অন্য ব্যবসার দিকে ধাবিত করতে পারে। পার্ট টাইম জবের অনেক
সুবিধা রয়েছে। যেমন কোন স্টুডেন্ট যদি সকালে তার পড়াশোনার কাজে ব্যস্ত থাকে
তাহলে সে রাত্রে কাজ করতে পারবে। আবার অনেক স্টুডেন্ট আছে যারা সকালে এই
শপিংমলগুলোতে কাজ করে।
এবং রাত্রে তারা তাদের পড়াশোনা কাজে ব্যস্ত থাকে। শহরের শপিংমল গুলোতে দিনটা
সারাদিন খোলা থাকে বলেন এরকম পার্ট টাইম জবের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। যাতে যে
কোন মানুষ এই দুটি সময়ের যে কোন একটি সময়ে জব করতে পারে। শপিংমলের
রেস্টুরেন্টের এসব জায়গার বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীরাই পার্ট টাইম জব করে
থাকে।
একজন ছাত্র যদি চায় পড়াশোনা পাশাপাশি তার পড়াশোনার সমস্ত খরচ এবং ফ্যামিলিকে
সাপোর্ট দেয়ার জন্য আলাদাভাবে টাকা উপার্জন করবে তাহলে সে এই ধরনের জব করতে
পারে। এটি ছাত্র অবস্থায় অর্থ উপার্জন করার দশটি উপায় এর মধ্যে বিশেষ একটি
উপায় বলতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন
ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করছে বর্তমান বিশ্বের সব দেশের স্টুডেন্টরা।
ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন বর্তমান বিশ্বের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। বিদেশের
মতো বাংলাদেশের অনেক স্টুডেন্টরা বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসের লাখ লাখ টাকা
উপার্জন করছে। একজন ছাত্র যদি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে অভিজ্ঞ হয় তাহলে সে পড়াশোনা
পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবে।
তাকে আর অন্য কোন দিকে ফিরে তাকাতে হবে না। ফ্রিল্যান্সিং অনেক বিষয়ের উপর করা
যায় যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন ওয়েবসাইট ডিজাইন কোডিং আরো অনেক বিষয় ফ্রিল্যান্সিং
করা যায়। যদি কোন স্টুডেন্ট এসব বিষয় দক্ষ হয়ে থাকে তাহলে সে ফ্রিল্যান্সিং
করে ডলার ইনকাম করতে পারবে। বিদেশে পড়াশোনার সিস্টেমটা অন্যরকম।
বিদেশের যে কোন একটি বিষয়ের উপর পড়াশোনা করা হয় এবং পাশাপাশি তাদেরকে
আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য নানা বিষয়ে শেখানো হয়। যাতে তারা বেকার না
থাকে। এই জন্য বিদেশীরা এতটা বেশি এগিয়ে। বাংলাদেশের পড়াশোনার সিস্টেম যদি
এভাবে চালু করা হয় তাহলে কোন স্টুডেন্টটি আর বেকার থাকবে না। যেহেতু বাংলাদেশের
এই সিস্টেমটা নেই।
কিন্তু বিভিন্ন ধরনের কোর্স রয়েছে। এই ফ্রিল্যান্সিং কোর্সগুলো করে পড়াশোনা
পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারে। যার মাধ্যমে সে একটি সুন্দর
ভবিষ্যত গড়ে তুলতে পারে। যদিও এ সেক্টর থেকে প্রতিষ্ঠিত হওয়া অনেকটা সময়ের
ব্যাপার কিন্তু তারপরও ফ্রিল্যান্সিং একটি উন্নতকর্ম ব্যবস্থার মধ্যে আরেকটি।
মাছের ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন
মাছের ব্যবসা করুন একজন ছাত্র অর্ধে উপার্জন করে তার আর্থিক চাহিদা মেটাতে পারে।
শুধু যে শহরের কাজ করে একজন স্টুডেন্ট অটো উপার্জন করতে পারবে এমনটি নয়। একজন
স্টুডেন্টের মধ্যে যদি সৎ চিন্তা এবং সৎ সহজ থাকে তাহলে অবশ্যই সে যেকোনো হালাল
পন্থায় রোজগারের পথ বেছে নিতে পারবে। এবং দিন শেষে সেই সফলতা অর্জন করবে।
অনেকে আছে এই ধরনের ব্যবসাকে ছোট বলে মনে করে। মনে করে এই ব্যবসার লজ্জার।কিন্তু
না কোন কাজে লজ্জার নয়। ধৈর্য সৎ সাহস ও মনোবলের সাথে একজন স্টুডেন্ট যদি এই
ধরনের ব্যবসা করতে পারে তাহলে সে একসময় এই ব্যবসা থেকে আরও বড় কোন ব্যবসা করতে
পারে। এরকম অনেক উদাহরণ আছে যে ছোট্ট করে ব্যবসা শুরু করে আজ অনেক বড় ব্যবসার সে
মালিক।
অনেক টাকার মালিক। তাই একজন স্টুডেন্টকে সৎ এবং পরিশ্রমী হতে হবে তাহলে সে যে কোন
কাজ করে হালালভাবে অর্ধ উপার্জন করতে পারবে। স্টুডেন্টদের পড়াশোনার পাশাপাশি
ব্যবসাটাই উত্তম বলে আমি মনে করি। কারণ ব্যবসা করলে উদ্যোক্ত হওয়া যায়। আর
উদ্যোক্তা কখনো পিছিয়ে পড়ে না। উদ্যোক্তাকে চাকরির পেছনে ছুটতে হয় না।
উদ্যোক্তার নিজের কর্মের ব্যবস্থা নিজেই করে নিতে পারে।
পশু পালন করে অর্থ উপার্জন
পশু পালন করে অর্থ উপার্জন করা যায়। গ্রামে অনেক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে যারা
পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জন করতে চাইলে পশুপালন করতে পারে। যদি তাদের কোন
কিছু জানেনা থাকে তাহলে তারা পশু পালন করতে পারে। পশু পালন করতে খুব একটা ব্যয়
করতে হয় না। অল্প টাকার মধ্যে কিছু পশু যেমনঃ ছাগল,হাঁস,মুরগি এই জাতীয় পশু
যেগুলো কম টাকার মধ্যে কেনা যায়।
সেগুলো কিনে একজন স্টুডেন্ট বাড়িতেই এগুলো পালতে পারবে। এগুলো লালন পালনের পর
একসময় এগুলা বিক্রির উপযুক্ত হবে। এবং তখন এই পশুগুলো বিক্রি করেছে অর্থ ইনকাম
করতে পারবে। এই অর্ধ থেকে সে কিছু টাকার লাভ রাখবে এবং আসল টাকা দিয়ে আর একটা
পশু কিনে বা অন্য কিছু করেছে আবার ব্যবসার ধারণ করতে পারবে।
এভাবেও একটা ছাত্র হাই রোজগার করতে পারবে। তোমরা যারা গ্রামের স্টুডেন্ট বা
ছাত্র-ছাত্রী আছো তারা এইভাবে পশুপালন করে এবং পশু বিক্রয় করে অর্ধ উপার্জন করতে
পারো। বাংলাদেশের সরকার যদি গ্রামের ছেলে মেয়েদের জন্য এই ধরনের ছোট ছোট ব্যবসার
জন্য ছাত্রদের ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে কোন ছাত্র আর বেকার থাকবে না।
এবং মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত শ্রেণীর স্টুডেন্টরা তারা তাদের পড়াশোনা চালিয়ে
যেতে পারবে এবং পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারবেন। এইভাবে যেমন স্টুডেন্টরা তাদের
কর্মের পথ খুঁজে পাবেন তখন তাদের কর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পরিবর্তন
আসবে।যা একটি জাতির অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ফেসবুক মার্কেটিং করে অর্থ উপার্জন
ফেসবুক মার্কেটিং করে বর্তমানে প্রায় সবাই অর্থ উপার্জন করছে। এই ফেসবুক
মার্কেটিং একটি ছাত্রের জন্য অর্থ উপার্জনের নতুন দিশারী হয়ে ধরা দিতে পারে। যদি
কোন স্টুডেন্ট ফেসবুক কে সঠিক ব্যবহার করে ফেসবুক দ্বারা অর্থ উপার্জন করতে পারে
তাহলে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই আমরা
একটিভ।
আর এই ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়ায় একটিভ থাকার কারণে বিজনেসম্যানরা ফেসবুককে কাজে
লাগিয়ে কোটি কোটি টাকার বিজনেস রান করছে। একজন স্টুডেন্ট চাইলে এই ফেসবুক
মার্কেটিং এর মাধ্যমে তার ব্যবসা দাঁড় করতে পারে। ফেসবুকের মাধ্যমে সে নানা
ধরনের প্রোডাক্ট সেল করতে পারে। ফেসবুকে তার পছন্দের বিষয় সম্পর্কে ব্লক করতে
পারে।
অনেক ছাত্র-ছাত্রী আছে রান্না করতে খুব পছন্দ করে তারা যদি এই ফেসবুকে ব্যবহার
করে ফেসবুকে রান্না বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে ভিউ বানাতে পারেন তাহলে সেখান থেকে অনেক
টাকা ইনকাম করতে পারবে। ফেসবুক এমনই একটি মাধ্যম যেখানে সব ধরনের কাজ করা যায়।যে
যে ধরনেরই কাজ পারো সেটা হতে পারে বিনোদন সেটা হতে পারে রান্না হতে পারে
জ্ঞানমূলক কোন বিষয় ইত্যাদি।
সব ধরনের বিষয়ের উপরে ফেসবুক থেকে ইনকাম করা যায়। একটা ছাত্রের ইনকাম করার জন্য
উত্তম পন্থা হিসেবে কাজ করবে এটা আমি মনে করি। এই ফেসবুক মার্কেটিং ছাত্র
অবস্থায় অর্থ উপার্জন করার দশটি উপায় এরমধ্যে আরেকটি।তাই যে স্টুডেন্টরা এখনও
বেকার আছে তারা আর সময় নষ্ট না করে দ্রুত ফেসবুক মার্কেটিংকরে অর্থ উপার্জন করতে
পারে।
লেখকের শেষ কথা
একজন স্টুডেন্ট বা ছাত্রের সবচাইতে বড় প্রাপ্তি হলো সে তার কর্মের দিক থেকে সফল
হতে পাড়া। যে স্টুডেন্ট ফরমেট দিক থেকে সফল হতে পারবেনা তার পড়াশোনার করা না
করার মধ্যে কোন পার্থক্যই থাকবে না। সে হয়তো শিক্ষিত হবে কিন্তু কর্মের দিক থেকে
সে পিছিয়ে থাকবে। আর আমরা পড়াশোনা শুধু শিক্ষিত হওয়ার জন্যই করি না এই শিক্ষা
গ্রহণ করে যাতে আমরা একটা কর্মের ব্যবস্থা করতে পারি এবং দিনশেষে আমাদের পরিবারের
সকল চাহিদা মেটাতে পারি।
তাই একজন স্টুডেন্ট বা ছাত্র যদি কর্মক্ষেত্র থেকে পিছিয়ে থাকতে না চায় তাহলে
পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যদিকে সময় ব্যয় না করে কোন অন্য কোন কাজের মাধ্যমে তার
কর্মের সন্ধান করা। হতে পারে সেটা টিউশনি হতে পারে পার্ট টাইম জব হতে পারে
ব্যবসা। প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদেরকে ছাত্র অবস্থায় অর্থ উপার্জন
করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি। যদি আমার বলা উপায় গুলো আপনার কোন
কাজে আসে তাহলে অবশ্যই আমার পোস্টটি অন্যের কাছে শেয়ার করে দিন যাতে অন্যরাও এই
পোস্টটি থেকে উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ।
রিজু ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url