বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম - ২১টি নিয়ম আর্টিকেল লিখুন

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে আপনি কি জানেন, কিভাবে ওয়ান পেজ এসিও বাংলা আর্টিকেল লিখতে হয়। আমাদের অনেকেরই নিজস্ব ওয়েবসাইট আসে যেখানে অনেক ধরনের বাংলা আর্টিকেল লিখে থাকি। কিন্তু সঠিক নিয়ম না জানায় আর্টিকেলগুলো গুগল র‍্যাংকিং এর আসে না। 
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
তো বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের ২২টি নিয়মে প্রফেশনাল বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানাবো যাতে আপনারাও প্রফেশনাল একটি বাংলা আর্টিকেল লিখতে পারেন।

সূচিপত্রঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম - ২২টি নিয়মে আর্টিকেল লিখুন

শিরোনাম বা ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন

শিরোনাম বা ফোকাস কিওয়ার্ড হল একটি আর্টিকেলের প্রথম ও প্রধান অংশ। শিরোনাম ছাড়া কোন কিছুই শুরু করা যায় না। তেমন বাংলা আর্টিকেল লেখার সময়ও শিরোনাম লিখে শুরু করতে হবে। শিরোনাম বলতে আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখতে চাচ্ছেন সেই বিষয় সম্পর্কে একটা কিওয়ার্ড। যেমন ধরুন আপনি যদি স্বাস্থ্য বিষয় কোন জিনিস জানতে চান জানতে চান তাহলে আপনি কি লিখে গুগলে সার্চ দিবেন বলুন তো। 

অবশ্যই যেটি নিয়ে আপনি ভাবছেন সেটিই। ধরুন আপনি জানতে চাচ্ছেন কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে। তাহলে আপনি কালোজিরার উপকারিতা সমূহ লিখে সার্চ দিবেন তাই না। তাহলে এখানে কিওয়ার্ডটা কি হলো কালোজিরার উপকারিতা সমূহ। এরকম আপনি যে বিষয় নিয়ে বাংলা আর্টিকেল লিখবেন সেটার একটা শিরোনাম অবশ্যই দিতে হবে। কিন্তু আপনাকে এমন কোন শিরোনাম বা কিওয়ার্ড বাছাই করতে হবে যেটা সম্পর্কে মানুষ জানতে চায়। 

এমন কোন কিওয়ার্ড আপনি নির্বাচন করতে পারবেন না যেটি নিয়ে মানুষ সার্চ দেয় না সে বিষয়ে মানুষের কোন আগ্রহ নেই। তাই এমন কিওয়ার্ড নির্বাচন করা যাবে না সেটা নিয়ে লিখলে কোনদিন গুগলে রেঙ্কিং হবে না। আপনাকে অবশ্যই মানুষ জানতে চায় এমন কীওয়ার্ড নির্বাচন করে লেখালেখি করতে করতে হবে। আপনি যাতে সহজে কিওয়ার্ড সার্চ করে খুঁজে পান তার জন্য কয়েকটি ওয়েবসাইট লিংক নিম্নে দেওয়া হলো
  • Ahrefs
  • Keyword generator
  • Google Keyword Planner
আপনি যদি সহজে কিওয়ার্ড তৈরি করতে না পারেন তাহলে এ কয়েকটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি ফ্রিতে কিওয়ার্ড পেয়ে যাবেন। আমি নিজেও এই ওয়েবসাইট গুলো থেকে কিওয়ার্ড খুঁজে বের করে লিখেছি। আপনি এটি অনুসরণ করতে পারেন। শিরোনাম বা ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন করার নিয়মঃ
  • ফোকাস অবশ্যই কনটেন্ট এর মধ্যে হুবহু দশবার ব্যবহার করতে হবে। 
  • ফোকাস কিওয়ার্ড সর্বনিম্ন ৫ শব্দ থেকে ১০ শব্দের মধ্যে লিখতে হবে। 
  • ফোকাস কিওয়ার্ডের মধ্যে কোনভাবেই (?,!,।) এই চিহ্ন গুলো ব্যবহার করা যাবে না। 
  • এবং শিরোনামের মাঝে ২টি ফোকাস কি ওয়ার্ডের বেশি বসাতে পারবেন না। 
  • মনে রাখতে হবে দুটি ফোকাস কিওয়ার্ড বসালে তার মধ্যে হাইপেন ব্যবহার করতে হবে।

আর্টিকেলে ভূমিকা বা মেটাডেসক্রিপশন লেখার নিয়ম

আপনাকে অবশ্যই আর্টিকেলের ভূমিকা বা মেটাডেসক্রিপশন লেখার নিয়ম জানতে হবে। এমন ভাবে আর্টিকেলের ভূমিকা লিখতে হবে যাতে ভূমিকা অংশ পড়ে পাঠকের ইচ্ছা হবে আপনার পুরো পোস্টটি পড়ার। কেননা প্রত্যেক পাঠকই ভূমিকা অংশটা পড়ে যদি ভালো না লাগে আপনার ওয়েবসাইট থেকে বেরিয়ে যাবে। 
তাই পাঠককে আকর্ষিত করার জন্য এমন ভাবে আপনার ভূমিকা লিখতে হবে যাতে ভূমিকা পড়ে পাঠক বুঝতে পারে আপনার পুরো আর্টিকেলের মধ্যে কি কি বিষয় নিয়ে লেখা আছে। আপনার ভূমিকা যত ভালো হবে পাঠক ততো আপনার পোস্ট করার প্রতি আকর্ষিত হবে। এবার চলুন কিভাবে আপনি ভূমিকা লিখবেন সেটা জানা যাক। 
  • তিন থেকে চার লাইন এর মধ্যে ভূমিকা লিখে শেষ করবেন।
  • তিন থেকে চার লাইন ভূমিকার মধ্যে এমনভাবে আপনার পোস্ট সম্পর্কে মেইন বিষয়টা ফুটিয়ে তুলবেন যাতে পাঠক বুঝতে পারে আপনি কি বিষয়ে লিখছেন। 
  • ভূমিকা বা মেটাডেসক্রিপশন মধ্যে ফোকাস কিওয়ার্ড দুইবার ব্যবহার করতে হবে। 
  • মেটা ডেসক্রিপশন এর উপরে একটি ভূমিকা বাটন তৈরি করতে হবে। 
  • ভূমিকা বাটনের মধ্যে অন্য একটি আর্টিকেলের ফোকাস কি ওয়ার্ড বসাতে হবে
  • ফোকাস কি ওয়ার্ড এর মধ্যে অবশ্যই ওই কিওয়ার্ড লিংক যুক্ত করে দিতে হবে। 
এভাবে পাঠক আপনার ভূমিকা পরার পরে ভূমিকা বাটনে ক্লিক করে ওই কি অর্ডার আর্টিকেল করতে পারবে। ভূমিকার মধ্যে আপনাকে অবশ্যই এই নিয়মটি ব্যবহার করতে হবে না হলে ভূমিকা বা মেটা ডেসক্রিপশন সম্পূর্ণ হবে না। 

আর্টিকেলের সূচিপত্র তৈরি করার নিয়ম

আপনি যে আর্টিকেলটি লিখছেন সেই আর্টিকেলের মধ্যে অবশ্যই সূচিপত্র তৈরি করতে হবে। সূচিপত্র তৈরি না করলে পাঠক আপনার আর্টিকেলের মধ্যে তার যে বিষয় জানা প্রয়োজন সেটি সহজে খুঁজে পাবে না। আপনাকে এমনভাবে সূচিপত্র তৈরি করতে হবে যাতে পাঠক তার প্রয়োজনীয় বিষয় টুকু খুঁজে পায়। এজন্য আপনাকে সূচিপত্রের মধ্যে আপনার সাজানো কিওয়ার্ড গুলোর মধ্যে লিঙ্কিং করতে হবে।
আপনি যদি সূচিপত্রের কিওয়ার্ড গুলোকে সিরিয়াল বাই লিংকিন করেন তাহলে পাঠক আপনার পোস্টটি যখন পড়বে তখন তার যে বিষয়টুকু দরকার সেই বিষয়ের উপর ক্লিক করলে সহজেই তার প্রয়োজনীয় অংশটুকু খুঁজে পাবে ও পড়তে পারবে। সূচিপত্র তৈরি করার নিয়ম নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
  • সূচিপত্রের মধ্যে ফোকাস কিওয়ার্ড রাখতে হবে
  • ফোকাস কীওয়ার্ডের সাথে মিল রেখে সেকেন্ডারি কীওয়ার্ড রাখতে হবে
  • সূচিপত্র কে লিংকিং করতে হবে
  • সূচিপত্রকে Edite HTML মধ্যে লিংকিন করার জন্য id লিখে লিংক করতে হবে
  • সূচিপত্রকে Edite HTML মধ্যে ডিজাইন করার জন্য ul ট্যাগের মধ্যে class=” alert info” যুক্ত করতে হবে।
আপনি বলুন না আপনি এমন কোন তথ্য যাচ্ছেন যেটা আপনি খুঁজে পাচ্ছেন না তাহলে কি আপনার ওই পোষ্টটি বা আর্টিকেলটি বা কনটেন্টটি করতে ভালো লাগবে। অবশ্যই ভালো লাগবে না। আপনার যদি ভালো না লাগে পাঠক এলো ভালো লাগবে না। এই জন্য আপনাকে আর্টিকেলে মধ্যে সূচিপত্র তৈরি করে লিংকিং করতে হবে।

আর্টিকেলে প্যারাগ্রাফ শিরোনাম লেখার নিয়ম

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মের মধ্যে প্যারাগ্রাফ শিরোনাম করা আর একটু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।বাংলা আর্টিকেল লেখার সময় আর্টিকেলটি প্যারাগ্রাফ আকারে লিখতে হবে।আপনার আর্টিকেলটি প্যারাগ্রাফ শিরোনাম দিয়ে লিখতে হবে এবং প্যারাগ্রাফ শিরোনাম সাবহেডিং ব্যবহার করে লিখতে হবে। প্যারাগ্রাফ শিরোনামের মধ্যেকার শব্দ ৫ থেকে ৮ শব্দের মধ্যে হতে হবে। 
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
প্যারাগ্রাফ যাতে দেখতে সুন্দর দেখা যায়। প্যারাগ্রাফ লেখার সময় আপনি প্যারাগ্রাফের মধ্যে বুলেট লিস্টিং বার নাম্বার লিস্টিং করে লিখবেন। এইভাবে করে লিখলে পাঠকের বুঝতে সুবিধা হবে। এছাড়াও আপনি প্যারাগ্রাফ এর মধ্যে যেকোনো বিষয়ে লিংক দিবেন। আর্টিকেলের মধ্যে কার প্যারাগ্রাফ গুলো সর্বোচ্চ ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাইনের মধ্যে লিখতে হবে। 

এটা আপনার প্যারাগুলো দেখতে সুন্দর হবে। যা পাঠকের পছন্দের বিষয় হয়ে।আপনি যদি আর্টিকেলের মধ্যে পেরা পেরা করে না লিখেন তাহলে পাঠকের পড়ার ইচ্ছে করবে না। কারণ যে জিনিস দেখতে সুন্দর হয় না সে জিনিস পড়তেও ভালো লাগেনা। তাই অবশ্যই আর্টিকেলের মধ্যে আপনি প্যারা প্যারা করে লিখবেন এতে পাঠকের আকর্ষণ বেড়ে যাবে।

আর্টিকেলে আরো পড়ুন লেখার নিয়ম

আর্টিকেলের মধ্যে আরো করুন সেকশনটি অ্যাড করতে হবে। আরো বলুন সেকশনটি এড করার প্রধান কারণ হলো আপনি যে আর্টিকেল লিখেছেন সেটি পড়তে পড়তে পাঠক আপনার অন্য একটি পোস্ট চোখে পড়ে এবং ওই পোস্টে ক্লিক করে পোস্টটি পড়ে। এতে করে আপনার আর্টিকেলের মধ্যে পাঠক বেশি সময় ধরে থাকবে। যা গুগলে আপনার আর্টিকেল র‍্যাংকিং এ আসার জন্য সাহায্য করে। নিম্নে আরও পড়ুন লেখার নিয়ম টি তুলে ধরা হলোঃ
  • দুটি পাড়ার মাঝখানে একটি আরো পড়ুন যোগ করতে হবে।
  • ১৫০০ ওয়ার্ডের আর্টিকেলের জন্য চারটি আরো পড়ুন যোগ করতে হবে।
  • আরো পড়ুনের মধ্যে যে কি ওয়ার্ডটি অ্যাড করতে হবে সেটি অবশ্যই আপনার লেখা আর্টিকেলের সাথে মিল রেখে যে কিওয়ার্ড এ্যাড করতে হবে।
  • আরো পড়ুন এর কিওয়ার্ড কে লিংক করতে হবে।
  • আরো পড়ুনের মধ্যে একই রকম কিওয়ার্ড লেখা যাবে না আলাদা আলাদা কিওয়ার্ড এবং ঐ কিওয়ার্ডের লিংক যুক্ত করতে হবে।
এভাবে আপনি আপনার আর্টিকেলের মধ্যে আরো পড়ুন এড করবেন। আর্টিকেলের মধ্যে আরো করুন অ্যাড করা বাধ্যতামূলক। যা আপনার আর্টিকেলকে আরো তথ্যবহুল করে তোলে। এবং পাঠক আপনার একটি আর্টিকেলের মধ্যে অন্য আর্টিকেলের তথ্য পায়।

আর্টিকেলে ফিউচার ইমেজ ব্যবহার করার নিয়ম

আর্টিকেলে ফিউচার ইমেজ ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা পাঠক শুধু আপনার আর্টিকেল রচনার মত পড়তে পছন্দ করবে না। পাঠক আর্টিকেল পড়ার পাশাপাশি আর্টিকেলের প্রাসঙ্গিক পিকচার দেখতে পছন্দ করে।
কারণ একটি ফিউচার ইমেজ একটি আর্টিকেলকে যথেষ্ট অর্থবোধক করে তোলে। আপনি কি বিষয়ে লিখছেন সেই বিষয়ে যদি উপযুক্ত ছবি এড করতে পারেন তাহলে সেটি পাঠকের কাছে আকর্ষণীয় হয়। ফিচার ইমেজ ব্যবহার করার নিয়ম নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
  • একটি আর্টিকেলের মধ্যে কমপক্ষে তিনটি ফিউচার ইমেজ এড করতে হবে।
  • ফিউচার ইমেজের মধ্যে কার টাইটেল ইমেজ রিলেটেড হতে হবে।
  • ফিউচার ইমেজ অবশ্যই এআই থেকে নিয়ে আসতে হবে।
  • ফিউচার ইমেজ আর্টিকেলের মধ্যে সেন্টার এলাইমেন্ট এর রাখতে হবে।
  • ফিউচার ইমেজ কে অরিজিনাল সাইজে বসাতে হবে।

আর্টিকেলে ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স থেকে ছবি আনার নিয়ম

আপনি আপনার আর্টিকেলের মধ্যে ছবি এড করার জন্য বা ফিউচার ইমেজ আর্ট করার জন্য দুই ভাবে ফিউচার ইমেজ নিয়ে আসতে পারেন। একটি হচ্ছে এ আই থেকে আরেকটি হচ্ছে ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স থেকে। আপনি যদি প্রথমত এ আই থেকে পিকচার নিয়ে আসতে না জানেন তাহলে আপনি ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স থেকে ছবি নিয়ে আর্টিকেলে এড করতে পারেন।
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আপনি যদি ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স থেকে ছবি আপলোড করতে না পারেন তাহলে এইভাবে করতে পারেন। আপনাদের সুবিধার্থে আমি এই পিকচারটি অ্যাড করেছি। ছবিতে লাল দাগ দেওয়া চিহ্নগুলো ফলো করুন এবং তাহলে বুঝতে পারবেন কিভাবে লাইসেন্স থেকে ছবি নিয়ে আসতে হয়।

আপনারা প্রথম অবস্থায় ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স থেকে পিকচার নিয়ে আর্টিকেল লিখতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি গুগলে আপনার আর্টিকেলটা এক নম্বর রেংকিং এর মধ্যে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এ আই থেকে ছবি নিয়ে আসতে শিখতে হবে। কারণ গুগল সব সময় আপডেট জিনিস পছন্দ করে।

আর্টিকেলে ইমেজ সোর্স লিংকিং থেকে ছবি অ্যাড

আপনারা অনেকেই আছেন আর্টিকেলে ইমেজ সোর্স লিংকিং থেকে ছবি অ্যাড করে থাকেন। অনেকের কাছে ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স বা এ আই থেকে ছবি আনা ঝামেলা মনে করে আর্টিকেলে ইমেজ সোর্স লিংক থেকে ছবি এড করে থাকেন। কিন্তু আপনার আর্টিকেলে ইমেজ সোর্স লিংকিং থেকে ছবি এড করা যাবে না।
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
কারণ আপনি যদি ইমেজ সোর্স লিংক থেকে ছবি আপলোড করেন তাহলে ওই ছবির মালিক যদি কোন কারনে ছবিটি ডিলিট করে দেয় তাহলে আপনার আর্টিকেলের মধ্যে থেকে ছবিটি অটোমেটিকলি ডিলিট হয়ে যাবে। 

যার কারনে আর্টিকেলে ইমেজ সোর্স লিংক থেকে ছবি নেওয়া যাবে না। আপনি যদি ইমেজ সোর্স লিংক থেকে ছবি এড করেন তাহলে এই ধরনের সমস্যায় পড়বেন। এইজন্য আপনাকে অবশ্যই ইমেজ থেকে ছবি নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

আর্টিকেলে স্ক্রিনশট নেয়ার নিয়ম

বাংলা আর্টিকেল লেখার সময় স্ক্রিনশর্ট নেয়ার নিয়ম জানতে হবে। অনেক সময় বাংলা আর্টিকেল লিখতে গিয়ে অনেক দরকারে স্ক্রিনশট নিতে হয়। তাই আপনাকে অবশ্যই স্ক্রিনশট নেয়া শিখতে হবে। চলুন স্ক্রিনশটটা কিভাবে নিতে হয় সেটা দেখি।এবার দেখছেন তো স্ক্রিনশট কিভাবে নিতে হয়। 
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
একটা প্রফেশনাল আর্টিকেল লেখার জন্য প্রফেশনাল স্কিনশট নেওয়া খুবই জরুরী। উপরের ছবিতে দেখুন কিভাবে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে। আপনি যদি বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই স্ক্রিনশট নিতে পারবেন। তবুও আমি বলে দিচ্ছি স্ক্রিনশট নিতে গেলে অবশ্যই যতটুক দরকার ঠিক ততটুকুই নিতে হবে। এর বেশি অংশ স্ক্রিনশট এর মধ্যে রাখা যাবেন না। রাখলে সেটি দেখতে সুন্দর লাগবে লাগবে না

পোস্ট ফর মেটিং করে আর্টিকেল লেখার নিয়ম

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মের মধ্যে আরেকটি অন্যতম নিয়ম হলো পোস্ট ফরমেটিং করে আর্টিকেল লেখা। পোস্ট ফরমেটিং করে আর্টিকেল লিখলে লেখাটি দেখতে সুন্দর দেখায়। আর যেটি দেখতে সুন্দর দেখায় সেটি পড়তেও ভালো লাগে। পোস্ট ফরওয়ার্ডিং করলেন চতুর্দিকে লেখাগুলো সমান হবে এবং দেখতে সুন্দর দেখাবে। পোস্ট ফরমেটিং করে আর্টিকেল লেখার নিয়ম নিম্ন তুলে ধরা হলোঃ
  • আর্টিকেলের সম্পূর্ণ লেখা জাস্টিফাই অ্যালার্মেন্টে রাখতে হবে।
  • আপনি যদি ভয়েস টাইপিং এর মাধ্যমে অন্য জায়গায় থেকে লেখা কপি করে নিয়ে আসেন সেটি প্রথমে ক্লিয়ার ফরমেটিং করে তারপর জাস্টিফাই এলার্মেন্টে রাখতে হবে।
  • জাস্টিফাই অ্যালারমেন্ট এ না রাখলে লেখা এলোমেলো দেখাবে।

লাইন গ্যাপ দিয়ে আর্টিকেল লেখা

বাংলা প্রফেশনাল ভাবে আর্টিকেল লিখতে হলে অতিরিক্ত লাইন গাপ দেয়া যাবে না। আপনি ছোট ছোট প্যারা করে লিখবেন এবং দুটি পাড়ার মাঝখানে একটি গ্যাপ থাকবে। একটি গ্যাপের বেশি থাকা যাবে না। অনেকে আছে বেশি গ্যাপ দিয়ে ফেলে। অতিরিক্ত গ্যাপের কারণে আর্টিকেল দেখতে সুন্দর দেখায় না। এজন্য প্যারাগ্রাফ এর মধ্যে একটি গ্যাপের বেশি গ্যাপ দেওয়া যাবে না।

আর্টিকেলের মধ্যে আমি আপনি শব্দের ব্যবহার

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মের মধ্যে এটি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলা আর্টিকেল মধ্যে আপনাকে অবশ্যই আমি আপনি বলে আর্টিকেল লিখতে হবে। প্রত্যেক পাঠক চাই গল্পের মতো করে আর্টিকেল পড়তে।
আপনি যদি আর্টিকেলের মধ্যে আমি আপনি এই শব্দ দুটি ব্যবহার করেন তাহলে পাঠক মনে করবে আপনি তার সাথে গল্প করছেন। আর এই দুইটি শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি পাঠকের আর্টিকেল পড়ানোর আকর্ষণ বাড়াতে পারবেন। পাঠক গল্পের ছলে আপনার পুরো আর্টিকেলটি করবে।

বাংলা আর্টিকেলের বডি লেখার নিয়ম

একটি বাংলা আর্টিকেল পারফেক্ট ভাবে লেখার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের বডি সুন্দর হতে হবে। আপনাকে কমপক্ষে ১০ টি হেডিং দিয়ে আর্টিকেল লিখতে হবে।আপনার আর্টিকেলের মধ্যে ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ করে লিখতে হবে। এবং আর্টিকেল কমপক্ষে ১৫০০ শব্দের নিচে লেখা যাবে না। আর্টিকেলের মধ্যে প্রয়োজনীয় লিংক করতে হবে। 
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
আর্টিকেলের বডি সুন্দর করে লেখার জন্য আপনি বুলেট লিস্টিং ব্যবহার করে লিখতে পারেন। এতে আর্টিকেল লেখা দেখতে আরো সুন্দর লাগবে। এভাবে আর্টিকেল লিখলে পাঠক আটককেল পড়তে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে। এবং সহজে পাঠকের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো পাঠক খুঁজে পাবে।

আর্টিকেলে ডাউনলোড বাটন যুক্ত করা

একটা আর্টিকেলে যেমন ভূমিকা বাটন যুক্ত করা যায় তেমনি ডাউনলোড বাটানো যুক্ত করা যায়। ডাউনলোড বাটনে কোন বিষয়ে লিংক কিং করা যায়। এই লিংকিং করার মাধ্যমে ওই জিনিসটি সহজে পাঠক ডাউনলোড করতে পারে। তাছাড়া ডাউনলোড বাটন আর্টিকেলের মধ্যে এড করলে সেটি দেখতেও ভালো লাগে।

বাংলা আর্টিকেলে প্রশ্ন অ্যাড করার নিয়ম

বাংলা আর্টিকেলে আপনি প্রশ্ন অ্যাড করতে পারেন। সবসময় সবকিছু ধারাবাহিকভাবে আর্টিকেলের মধ্যে দেয়া যায় না কিছু প্রশ্ন থেকে যায়। এ প্রশ্ন এড করার মাধ্যমে পাঠকের না জানা বা না বোঝা অনেক প্রশ্নের উত্তর পাঠক পেয়ে যায়। এজন্য বাংলা আর্টিকেলের মধ্যে প্রশ্ন এড করা উচিত। আর্টিকেলের মধ্যে যেভাবে প্রশ্ন এড করবেনঃ
  • যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন সেই বিষয়ে কমপক্ষে পাঁচটি প্রশ্ন এড করুন। পাঁচটির বেশিও আপনি প্রশ্ন এড করতে পারবেন।
  • প্রশ্নগুলো খুব বেশি বড় হবে না। যাতে এর উত্তর এক দুই লাইনের মধ্যে শেষ করা যায়।
  • প্রশ্ন লিখে পুরো প্রশ্ন সিলেক্ট করে বোল্ড করে দিতে হবে। এতে প্রশ্নগুলো হাইলাইট হবে।
  • প্রশ্ন লেখার পরে ইন্টার দিয়ে যখন উত্তর লিখবেন তখন শুধু উত্তর লিখে উত্তরটুকুই সিলেক্ট করে বোল্ড করতে হবে। পুরো উত্তর হোল্ড করা যাবে না। এতে দেখতে খারাপ লাগবে।

আর্টিকেলে পার্মালিংক ব্যবহার করার নিয়ম

আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন সে বিষয় সম্পর্কে আপনাকে একটি পার্মালিংক করতে হবে। পার্মালিংক করলে আপনি সহজে আপনার আর্টিকেলের খুঁজে পাবেন এবং পাঠক তার প্রয়োজনীয় আর্টিকেল খুঁজে পাবেন। অন পেজ এসইও আর্টিকেলের জন্য ফরমালিং করা বাধ্যতামূলক। এটি গুগল রাংকিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পার্মালিংকব্যবহার করার নিয়মঃ
  • যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন সে বিষয়ে একটি পার্মালিংক দিতে হবে।
  • পার্মালিংকটি হবে ইংরেজি অক্ষরের দুটি শব্দ।
  • যে দুটি শব্দ দিয়ে পার্মালিংক করবেন সেই দুটি শব্দের প্রথম অক্ষর ছোট হাতের হতে হবে।
  • পার্মালিংক করা ইংরেজি শব্দ দুটির মাঝখানে হাইপেন ব্যবহার করতে হবে।

আর্টিকেলে সার্চ ডেসক্রিপশন যুক্ত করার নিয়ম

বাংলা আর্টিকেলের মধ্যে সার্চ ডেসক্রিপশন যুক্ত করা উচিত। কারণ এটিও গুগল রেংকিংয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সার্স ডেসক্রিপশনকে একটি আর্টিকেলের সারমর্ম বলা হয়। যার জন্য আর্টিকেলে সার্স ডেসক্রিপশন দিতে হয়। আর্টিকেলের ভূমিকা বা মেটাডেসক্রিপশনের নিচের দু'লাইন থেকে ১৫০ ওয়ার্ডের মেটাডেসক্রিপশন লিখতে হয়।

নতুন আর্টিকেলের ইমেল নোটিফিকেশন চালু করার নিয়ম

পাঠকরা দিন নতুন আর্টিকেল পড়তে অভ্যস্ত। পাঠক সব সময় চাই নতুন নতুন বিষয় জানতে। এমনকি পাঠক যে লেখকের আর্টিকেল পড়তে ভালো লাগে সে লেখকের আরো নতুন আর্টিকেল এসেছে কিনা সেটি সব সময় খেয়াল রাখে। এজন্য বাংলা আর্টিকেলে ইমেইল নোটিফিকেশন চালু করা উচিত। এই ইমেইল নোটিফিকেশন চালু করলে আপনার নতুন আর্টিকেল সম্পর্কে পাঠক নোটিফিকেশন পেয়ে যাবে। 

ফলে যে পাঠক আপনার আর্টিকেল পড়তে বেশি পছন্দ করে। সে আবার আপনার নতুন আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনার ওয়েবসাইটে আসবে। তাছাড়া গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য এই নোটিফিকেশনটি চালু করা দরকার। নোটিফিকেশন চালু হলে আপনার সমস্ত আর্টিকেল আপনার সকল পাঠকের কাছে সরাসরি পৌঁছে যাবে।

আর্টিকেলে শেষ কথা লেখার নিয়ম

আপনার আর্টিকেলটি পুরোপুরি লেখা শেষ হলে লেখক এর শেষ কথায় আপনি আপনার আর্টিকেল সম্পর্কে তুলে ধরবেন। এতে করে পাঠক বুঝতে পারবে আপনি পুরো আর্টিকেলে বুঝতে পারবে কি সম্পর্কে লিখেছেন। এবং এরপরে আপনার নিজের কিছু মতামত তুলে ধরবেন আপনার লেখা আর্টিকেলের উপর। আর্টিকেলে শেষ কথা লেখার নিয়মঃ
  • আর্টিকেলে শেষ কথা হতে হবে সর্বোচ্চ ২০০ ওয়ার্ডের মধ্যে
  • আর্টিকেলে শেষ কথার একটি প্যারা সর্বোচ্চ ৪ লাইনের মধ্যে লিখতে হবে।
  • প্রথম প্যারার চার লাইনেরএকটি প্যারার লেখার পরে আরেকটি প্যারা লেখার জন্য ইন্টার দিয়ে আবার চার লাইনের লিখতে পারবেন এর বেশি লেখা যাবে না।

বাংলা আর্টিকেলে ফোকাস কি ওয়ার্ডের গুরুত্ব

বাংলা আর্টিকেলে ফোকাস কিওয়ার্ডের গুরুত্ব অনেক। ফোকাস কি অর্ডার এর গুরুত্ব কেন এত বেশি এটাই ভাবছেন তো? তো চলুন এবার ফোকাস কি অর্ডার গুরুত্ব কেন এত বেশি সে সম্পর্কে আপনাকে জানাবো। আপনি আমি গুগল থেকে কোন বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য ওই বিষয়ের মূল টপিক দিয়ে গুগলে সার্চ করি। এরপর আমরা গুগল থেকে ওই সম্পর্কে জানতে পারি। 

তাই এই কীওয়ার্ড এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যাতে ওই কীওয়ার্ডের উপর মানুষের চাহিদা থাকে। এবং একটি ফোকাস কিওয়ার্ড একটা আর্টিকেলের মধ্যে অ্যাপ কমপক্ষে ১০ বার থাকতে হবে। এতবার ফোকাস কি ওয়ার্ড থাকার ফলে যখন কোন ব্যক্তি ওই কিওয়ার্ড দিয়ে গুগলে সার্চ করে তখন গুগল দেখে তার লেখা কিওয়ার্ড কোন পোষ্টের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছে সেটি গুগলের সার্চ রেজাল্টের প্রথমে দেখায়। 

এইজন্য ফোকাস কীওয়ার্ডের গুরুত্ব এতটা বেশি দেওয়া হয়। আপনার আর্টিকেলের কীওয়ার্ড গুলো বেশি থাকায় মানুষজন সেই কিওয়ার্ড সার্চ দিলে আপনার আর্টিকেলটি গুগলের প্রথম পৃষ্ঠায় আসে। এবং আপনার আর্টিকেলটি তখন মানুষ বেশি দেখবে।

পাঠকের দৃষ্টিতে সেরা আর্টিকেল

পাঠকের দৃষ্টিতে সেরা আর্টিকেল হল যে আর্টিকেলটি অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে লেখা হয় সেটাকে বোঝায়। অর্থাৎ ওই আর্টিকেলের মধ্যে এমন কিছু তথ্য দেয়া আছে যেটি ওই আর্টিকেলের জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ যা অন্য কোন আর্টিকেলের মধ্যে নেই। গুগলে আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন সেই বিষয়ে আরো হাজার হাজার মানুষ হাজার হাজার রকমের করে লিখে রেখেছে।

কিন্তু আপনাকে আপনার আর্টিকেলটি এমন ভাবে লিখতে হবে যাতে গুগলে থাকা ওইসব আর্টিকেল থেকেও আলাদা হয় এবং তথ্যবহুল হয়। আপনি যদি একটা আর্টিকেলের মধ্যে ওই আর্টিকেলের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে পারেন তাহলেই সেটি পাঠকের দৃষ্টিতে সেরা আর্টিকেলের স্থান পাবে।আর এইরকম আর্টিকেল ওই একজন পাঠক করতে চাই। 

এই ধরনের তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়ে পাঠক খুশি হয়। আপনি যদি আপনার আর্টিকেলটি তথ্যবহুল করে লিখতে না পারেন তাহলে সেটি পাঠকের দৃষ্টিতে সেরা আর্টিকেল হবে না। পাঠক আপনার আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ না পড়েই আপনার ওয়েবসাইট থেকে চলে যাবে। তাই সাজানো গোছানো আর্টিকেলটাই হচ্ছে পাঠকের কাছে সেরা আর্টিকেল।

লেখকের মন্তব্যঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম - ২২টি নিয়মে আর্টিকেল লিখুন

বাংলা প্রফেশনাল আর্টিকেল লিখতে হলে অবশ্যই বাংলা আর্টিকেল এর নিয়ম সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। আজকে আমি আপনাদেরকে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম - ২২টি নিয়মে আর্টিকেল লিখুন এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। একটা আর্টিকেল গুগলের রেংকিং করার জন্য কিভাবে এসিও ফ্রেন্ডলি নিয়মে লিখতে হয় সেই সম্পর্কে আমি আপনাদেরকে জ্ঞান দেয়ার চেষ্টা করেছি। 

আশা করছি এইভাবে ওয়ান পেজ এসিও আর্টিকেল লিখলে আপনার আর্টিকেল গুগলে অবশ্যই র‍্যাংকিং করবে। আপনি শতভাগ আস্থা আমার উপর রাখতে পারেন। আমার আর্টিকেলটি আপনার যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিজু ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url