মানব জীবনে দূর্বা ঘাসের উপকারিতা ও ব্যবহার

মানব জীবনে দুর্বা ঘাসের উপকারিতা ও ব্যবহার বলে শেষ করা যাবেনা। দুর্বা ঘাস যেখানে সেখানে হয়ে থাকে। এই গাছটির রং সবুজ এবং এর পাতাগুলো একদম চিকন চিকন ও লম্বা প্রকৃতির।
মানব জীবনে দূর্বা ঘাসের উপকারিতা ও ব্যবহার
দূর্বা ঘাস যত্ন ছাড়ায় হয়। দূর্বা ঘাস এতটাই উপযোগী যে এটি দিয়ে অনেক ঔষধি গুনাগুন পাওয়া যায়। আজকে মানব জীবনে দূর্বা ঘাসের উপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে জানব।

সূচিপত্রঃ মানব জীবনে দূর্বা ঘাসের উপকারিতা ও ব্যবহার সমূহ

দূর্বা ঘাসের ঔষধি গুনাগুন

দূর্বা ঘাসের ঔষধি গুনাগুন মানব জীবনে বিশেষ অবদান রেখেছে।পথে ঘাটে বাড়ির আশেপাশে যে কোন জায়গায় এটি কোন যত্ন ছাড়া বেড়ে ওঠে কিন্তু এর গুরুত্ব অনেক বেশি। দূর্বা ঘাসে রয়েছে নানা ধরনের ওষুধি গুনাগুন। যার জন্য মানব জীবনে দূর্বা ঘাসের উপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে বলা হয়েছে। নিম্নে এটির ঔষধি গুনাগুন গুলো আলোচনা করা হল
  • শরীরের কোন জায়গায় কেটে গেলে কেটে যাওয়া জায়গায় দূর্বা ঘাস থেতলে বা বিষে বা বেটে যদিলাগিয়ে দেয়া যায় তাহলে কেটে যাওয়ার জায়গা থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
  • দূর্বা ঘাস শরীরে চেতন তন্ত্রের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।
  • প্রসাবের কষ্ট হলে বা জ্বালাপোড়া থাকলে দুর্বল ঘাসের রস ও দুধ এবং পানি মিশিয়ে খেলে এটি ভালো হয়ে যায়।
  • দুর্বাঘাস আমাশা রোগের সহায়ক হিসেবে কাজ করে। যাদের দীর্ঘস্থায়ী আমাশয় রয়েছে তারা দুর্বা ঘাসের রস দুই থেকে তিন চামচ ডালিম পাতার রস চার থেকে পাঁচ চামচ মিশিয়ে প্রতিদিন তিন থেকে চারবার খেলে দীর্ঘস্থায়ী আমাশয় থেকে পরিত্রাণ পাবেন।
  • যাদের বমি বমি ভাব রয়েছে তারা দুর্বা ঘাসের রস দুই থেকে তিন চামচ অল্প চিনির সঙ্গে মিশিয়ে এক ঘন্টা পর পর খেলে বমি ভাব কেটে যাবে। কিন্তু বমির ভাব কেটে যাওয়ার পরে এটার খেতে হবে না।
  • শরীরের বিভিন্ন অংশ দিয়ে রক্ত পড়তে থাকলে দূর্বা ঘাসের রসের সঙ্গে কাঁচা দুধ মিশিয়ে খেলে এই রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। কারণ দুর্বা ঘাসে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক ও এন্টি ইনফ্লামেটরি। যার ফলে এটি তাড়াতাড়ি রক্তপাত বন্ধ করে।
  • যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তারা এক গ্লাস দুর্বা ঘাসের রস প্রতিদিন সকালবেলা খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধান হয়।
  • চোখ ওঠা সেরে যাওয়ার জন্য এবং চোখের জ্বালাপোড়া দূর করতে চিকিৎসকরা দূর্বা ঘাস জাল দিয়ে এর পানি ব্যবহার করতে বলেন। এদের চোখের সমস্যার সমাধান হয়।
  • মেয়েদের শ্বেত প্রদোহ জনিত দুর্বলতায় দুর্বা ঘাসের রস অত্যন্ত কার্যকারী। দুর্বাঘাসের শিকড় এবং পাতা এবং কাঁচা হলুদের রস সমপরিমাণ মিশিয়ে খেলে শ্বেত প্রদোহ জনিত রোগ সেরে যায়। এটি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় প্রমাণিত।
  • দুর্বা ঘাস প্রসূতি দের বুকের দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে উপকারী।এটি চিকিৎসায় প্রমাণিত।
  • দুর্বা ঘাস সন্তান ধরনের ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় ওষুধ। এটি আয়ুর্বেদিক ওষুধের মহা ঔষধ।
  • দুর্বা ঘাস রক্ত উৎপাদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

দূর্বা ঘাসের শরবতের উপকারিতা

দূর্বা ঘাসের শরবতের উপকারিতা প্রচুর। দূর্বা ঘাসের শরবতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। দূর্বা ঘাসের শরবত যদি আপনি নিয়মিত খান তাহলে শরীর থাকবে ঠান্ডা শীতল। কিন্তু দুর্বা ঘাসের শরবত পরিমাণ মতো খেতে হবে। দূর্বা ঘাসের শরবত ঠান্ডা কাশি সারাতে সাহায্য করে। এমনকি এই শরবত যাদের শরীর অত্যন্ত গরম তাদের জন্য খুবই উপকারী।
দূর্বা ঘাসের শরবত একটানা ১৫ দিন খেলে শরীরের রক্তশূন্যতা দূর হয়ে যায়। যদি কারো রক্তশূন্যতার সমস্যা দেখা দেয় তাহলে দুর্বা ঘাসের শরবত খেতে পারেন।কিন্তু এটি ১৫ দিনের বেশি খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। আবার যারা অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠিন্যতে ভুগছেন তারা রোজ খালি পেটে দুর্বা ঘাসের শরবত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধান হয়।
দূর্বা ঘাসের শরবত ডায়রিয়া সারাতে উপযোগী। আবার যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের জন্য দুর্ব্য আকাশের শরবত অধিক কার্যকারী। যেহেতু ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে সুগারের মাত্রা বেশি থাকে তাই ডায়াবেটিস রোগীদের দূর্বা ঘাসের শরবত অতিরিক্ত সেবন করা যাবে না। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সপ্তাহে এই শরবত দুইদিন সেবন করার যথেষ্ট।

দূর্বা ঘাসের নানা ব্যবহার সমূহ

দূর্বা ঘাসের নানা ব্যবহারসমূহ গুলো হলো এটি শুধু ওষুধি গুণাগুনে ব্যবহৃত হয়ে থাকে তা নয়। দুর্বা ঘাস হিন্দুদের বিয়েতে ও অন্যান্য কাজও ব্যবহার হয়। চলুন আমরা এ সম্পর্কে জানি

ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেঃ
দূর্বা ঘাস বিশেষ করে অন্যান্য ধর্মে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। হিন্দুরা তাদের যেকোনো ধরনের পূজার থালায় দূর্বা ঘাস রাখে। কারণ তারা দুর্বা ঘাসকে পবিত্রতার প্রতীক মনে করে। হিন্দুরা তাদের পূজা দূর্বা ঘাস ছাড়া সম্পূর্ণ করতে পারে না। পূজার থালায় তারা ফুল পাতা সন্দেশ মিষ্টি ফল এসবের পাশাপাশি দুর্গা ঘাস রাখে।
বৌদ্ধরাও তাদের প্রার্থনার ক্ষেত্রে দূর্বাঘাস ব্যবহার করে থাকে। তারাও মনে করে দূর্বা ঘাস তাদের প্রার্থনার জন্য মঙ্গল কর।

বিয়ের ক্ষেত্রে দূর্বা ঘাসঃ
হিন্দু ধর্মাবলীর লোকজন বিয়ে-শাদী এবং যেকোনো অনুষ্ঠান যেমন বাচ্চাদের মুখে ভাত অনুষ্ঠান, গর্ভবতীর সাত মাসের সাধ, জন্মদিনেএবং যেকোনো মঙ্গলজনক কাজের ক্ষেত্রে তারা অন্যান্য জিনিসের সাথে দুর্বাঘাস রাখে। এই দুর্বা ঘাস ছাড়া তাদের কোন মঙ্গলজনক অনুষ্ঠান পালন করা হয় না। এটি বিভিন্ন আদিবাসী শ্রেণীর মধ্যেও দেখা যায়।

নজর কাটানোর জন্য দুর্বা ঘাসের ব্যবহারঃ
অনেক ধর্মেই যেকোনো ধরনের নজর বা শরীরের অসুখ-বিসুখ কমানোর জন্য দুর্বাঘাস দুধ সোনা রুপা তামা লোহা ইত্যাদি পানির সাথে মিশিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে গোসল করানো হয়। এতে নাকি ওই ব্যক্তির সকল নজর কেটে যায় এবং বালা-মুসিবত দূর হয়ে যায় বলে ধারণা করে গ্রামের লোকজন।

ফুলের তোড়া সাজাতে দুর্বা ঘাসের ব্যবহারঃ
আমরা অনেক সময় অনেক অনুষ্ঠানে বা আমাদের প্রিয়জনকে ভালোবেসে ফুলের তোড়া উপহার দেই।এই ফুলে তোরা সাজাতেও দুর্বা ঘাসের ব্যবহার হয়।মানব জীবনের সব কাজেই প্রায় দুর্বা ঘাসের ব্যবহার হয়ে থাকে। এজন্য বলা হয় মানব জীবনে দূর্বা ঘাসের উপকারিতা ও ব্যবহার অপরিহার্য।

চুলের যত্নে দূর্বা ঘাসের উপকারিতা

চুলের যত্নে দূর্বা ঘাসের উপকারিতা অন্যতম। আমরা অনেকেই আছি চুল ওঠা বন্ধ করতে নানা ধরনের দামী দামী শ্যাম্পু সাবান তেল হেয়ার প্যাক অনেক কিছু ব্যবহার করি। কিন্তু কিছুতেই চুল ওঠা বন্ধ হয় না। আমরা যদি প্রাকৃতিকভাবে চুল ওঠা বন্ধ করতে চাই তাহলে দুর্গা ঘাস ব্যবহার করতে পারি। নিম্নে চুলে দূর্বা ঘাসের ব্যবহার প্রণালী বর্ণনা করা হলো

উপকরণঃ
১। নারিকেল তেল
২। দুর্বা ঘাসের রস

তেল তৈরির পদ্ধতিঃ
একটি পাত্রে এক লিটার তেল নিতে হবে এবং এই তেল আগুনে গরম করে নিতে হবে। ততক্ষণ গরম করতে হবে যতক্ষণ না তেলে ফেনা আসে। ফেনা আসার পরে ওই তেলের মধ্যে ২০০ গ্রাম দুর্বা ঘাসের রস মিশিয়ে দিতে হবে। এবং আবার দুটি একসাথে করে জাল করতে হবে। যাতে তেল ও দুর্বার রস একসাথে ভালোভাবে মিশে যায়। এবার চুলা থেকে নামানো পর তেলটাকে ঠান্ডা করে ছেকে নিয়ে বোতলে তুলতে হবে।

তেল ব্যবহার পদ্ধতিঃ
দুর্বা ঘাসের তৈরি তেলটি প্রত্যেক দিন গোসলের এক ঘন্টা আগে মাথায় মেখে রেখে দিতে হবে। এবং এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিতে হবে। এইভাবে প্রতিদিন যদি নিয়ম করে এই তেল মাখা হয় তাহলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।

দুর্বা ঘাস সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর পর্ব

দুর্বা ঘাস সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর পর্ব আপনাদের সুবিধার জন্য রাখা হলো। অনেকে দুর্ভাগা সম্পর্কে নানা প্রশ্ন করে থাকে। তাই দুর্বা ঘাস সম্পর্কে কিছু প্রশ্নের ও উত্তর এখানে দেওয়া হল

প্রশ্নঃ দূর্বা ঘাসের জন্ম কোথায়?
উত্তরঃ দুর্বাঘাস একটি উদ্ভিদ যেটি সারা দুনিয়াতে পাওয়া যায়। এই দুর্বা ঘাস ইউরোপ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়া এবং এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলের স্থানীয় ভাবে দেখা যায়। এটি আমেরিকাতে প্রবর্তিত হয়েছে।

প্রশ্নঃ দূর্বা ঘাসের উপকারিতা কি কি?
উত্তরঃ দুর্বা ঘাস একটি প্রাকৃতিক উদ্ভিদ। দুর্বা ঘাসের উপকারিতা অনেক। দুর্বা ঘাস পাকস্থলী যৌন ও যকৃত সংক্রান্ত রোগের জন্য বেশ কার্যকর। এছাড়াও এটি কোষ্ঠকাঠিন্য চুলকানি রক্ত উৎপাদন বিভিন্ন কাজে উপযোগী। এটি মানব জীবনে অনেক উপকার করে থাকে।

প্রশ্নঃ দুর্বা ঘাস কি জাতীয় উদ্ভিদ?
উত্তরঃ দুর্বা ঘাস বা তৃণ একটি সাধারণ শব্দ যা এক ধরনের সপুষ্পক উদ্ভিদকে বোঝায়। দুর্বা ঘাস তৃণ জাতীয় উদ্ভিদ।

প্রশ্নঃ দূর্বা ঘাসের ইংরেজি নাম কি?
উত্তরঃ দূর্বা ঘাসের ইংরেজি নাম হল Durva grass এর বৈজ্ঞানিক নাম হল Cymodun dactylon pers

প্রশ্নঃ দুর্বা ঘাস কিভাবে খেতে হয়?
উত্তরঃ দুর্বা ঘাসের রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে শরীরকে বিষমুক্ত করে। এবং স্থূলতা ও কোলেস্ট্রল দূর্বা ঘাসের রস নিয়মিত সেবনে ওজন এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি কার্ডিয়াক ক ফাংশন গড়ায়। সবাই বেশিরভাগ দুর্বা ঘাস খালি পেটে সেবন করে এটি কার্যকারী বেশি।

দূর্বা ঘাসের বৈশিষ্ট্য সমূহ

দূর্বা ঘাসের বৈশিষ্ট্য সমূহ হল দূর্বা ঘাস এটি যেখানে সেখানে জন্মায়। দুর্বা ঘাস কোন যত্ন ছাড়াই বাড়ির আশেপাশে রাস্তার আশেপাশে জমির আলে যে কোন জায়গায় এই দূর্বাঘাস জন্য। দূর্বাঘাস দেখতে সবুজ রঙের এবং দূর্বা ঘাসের পাতা লম্বা লম্বা হয়। দুর্গা ঘাস গ্রামে যেমন যেখানে সেখানে হয় তেমনি এটি টবের মধ্যে যত্ন করে ফলানো যায়। 
মানব জীবনে দূর্বা ঘাসের উপকারিতা ও ব্যবহার অনেক। কিন্তু অনেকে দুর্বা ঘাস চেনে না তাই বোঝানোর জন্য বা চেনার জন্য দুর্বা ঘাসের ছবি দেওয়া হল। নিম্নের দূর্বা ঘাসের বৈশিষ্ট্য বোঝানোর জন্য ছবি দেখানো হলো।
মানব জীবনে দূর্বা ঘাসের উপকারিতা ও ব্যবহার
দুর্বাঘাস যে কোন কাজে ব্যবহার করা যায় বলে এটি শহরেও ফলানো হয় বা উৎপাদন করা হয়। এটি টবের মধ্যে মূলত শহরের মানুষেরাই দূর্বা ঘাস বেশি ফলায়। আয়ুর্বেদ অনুসারে দুর্বা ঘাসের স্বাদ-কষা মিষ্টি। দূর্বা ঘাসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পটাশিয়াম কার্বোহাইড্রেট ক্যালসিয়াম ফাইবার পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। এটিকে সকল রোগের ঔষধ বলা হয়।

হাইব্রিড জাতের দূর্বা ঘাসের বৈশিষ্ট্য

হাইব্রিড জাতের দুর্বা ঘাসের বৈশিষ্ট্য হলো এটি আমাদের দেশের প্রচলিত দুর্বা ঘাসের মতো না। এটি বিশেষ এক জাতের উন্নত মানের দুর্বাঘাস। হাইব্রিড দুর্বাঘাস মূলত পুকুরপাড় বেরিবাদ ও রাস্তার ধারে মাটি ধরে রাখার জন্য চাষ করা হয়। এটি মাটি ধরে রাখে বলে এই দুর্গা ঘাস বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়। হাইব্রিড জাতের দুর্গা ঘাস ১০% জায়গা ভালোভাবে কভার করার জন্য এক কেজি বীজের প্রয়োজন হয়।
হাইব্রিড জাতের দূর্বা ঘাসের বীজের বৈশিষ্ট্যঃ
  • এটি উচ্চ ফলনশীল
  • সাধারণত এই দূর্বা ঘাস দীর্ঘকাল প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকার ক্ষমতা রাখে মাটিতে হলে দুলে চলে বড় হয়।
  • এই দুর্বা ঘাস সাধারণত বহু বর্ষজীবী।
  • এই দুর্বা ঘাস প্রচন্ড শীত সারা বছর চাষ করা যায়।
  • সারা বছরই জন্মে তবে খরিফ মৌসুমে গরম ও ভেজা আবহাওয়াই বেশি জন্মে।
  • হাইব্রিড জাতের দুর্বা ঘাসের বীজ গোম অথবা সরিষার মতো চাষ করতে হয়।
  • এই ঘাসটি ১০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।
  • এই দুর্বা ঘাসের শিকড়ের দৈর্ঘ্য মাটির গঠনের উপর নির্ভর করে।

দূর্বা ঘাসের বৈজ্ঞানিক নাম

দূর্বা ঘাসের বৈজ্ঞানিক নাম হল Cynodon dactylon. দুর্বা ঘাস হচ্ছে একটি তৃণ ঘাস। একে অনেকে বারমুডা ঘাস বলে চেনে। এটি ইউরোপ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়া এবং এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে স্থানীয়ভাবে জন্মে। এটি আমেরিকাতে প্রবর্তিত হয়েছে। দুর্বা ঘাস এর না সাধারণ নামের পরিবর্তে এটি বারমুডা ঘাস বলা হয়। দূর্বা ঘাস অন্যান্য নামে পরিচিত।এর অন্যান্য নাম হল ধুব, ইথানা ঘাস, ডুবো, কুকুর ঘাস, কুকুরের দাঁত ঘাস, বাহমা ঘাস কাকড়া ঘাস, শয়তানের ঘাস ইত্যাদি।

দূর্বা ঘাসের অপকারিতা

দূর্বা ঘাসের উপকারিতা যেমন রয়েছে কিছু অপকারিতাও রয়েছে। আমরা এতক্ষন দুর্বা ঘাসের উপকারিতা ঔষধি গুনাগুন বৈশিষ্ট্য নানা কিছু নিয়ে আলোচনা করলাম। কিন্তু এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। মানব জীবনে দূর্বা ঘাসের উপকারিতা ও ব্যবহার আছে। যে কোন জিনিসেরই যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি ওই জিনিসের অপকারিতা রয়েছে। সেটি কম আর বেশি।
মানব জীবনে দূর্বা ঘাসের উপকারিতা ও ব্যবহার
দূর্বা ঘাসও অল্প কিছু অপকারিতা রয়েছে। দূর্বা ঘাস রক্ত উৎপাদন, আমাশয়, ডায়রিযয়া ইত্যাদি রোগের নিরাময়ক হিসাবে কাজ করে। কিন্তু এই সবগুলো রোগের জন্য সঠিক পরিমাণে দুর্বা ঘাস সেবন করার কথা বলা হয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় অধিক পরিমাণে দুর্বাঘাসের রস সেবন করার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
যাদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে তারা অতিরিক্ত সেবনের ফলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়।সতর্কতা এই যে দুর্বাঘাস যতটাই উপকারী তার চেয়েও ক্ষতিকারক হতে পারে যদি সেটি মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে যায়। সর্তকতা একটাই উপরের যতগুলো পরামর্শ রয়েছে সেগুলো গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন কিছুই সেবন বা গ্রহণ করবেন না।

লেখকের শেষ কথা

মানব জীবনে দূর্বা ঘাসের উপকারিতা ও ব্যবহার অনস্বীকার্য। আজ আমি আপনাদের দুর্বা ঘাসের নানাব ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে এবং গুনাগুন সম্পর্কে জানিয়েছি। আমি আমার ভাষায় মানব জীবনে দূর্বা ঘাসের উপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে বর্ণনা করে এর অবদান কতটা তা বুঝানোর চেষ্টা করেছি। 

আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি দূর্বা ঘাসের উপকারিতা গুনাগুন সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।আমার এই পোস্টটি কার্যকরী ও ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অন্যদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। যাতে মানব জীবনে দূর্বা ঘাসের উপকারিতা ও ব্যবহার কাজে আসে। ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিজু ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url