রাতে ঘুম না হওয়ার কারন ও তার প্রতিকার
রাতে ঘুম না হওয়ার কারন ও প্রতিকার। একজন মানুষের সুস্থ থাকার প্রধান উপাদান হল ঘুম। ঘুম না হলে সুস্থ থাকা যায় না। ঘুম না হওয়ার নানা কারন আছে।
চলুন আজকে আমরা রাতে ঘুম না হওয়ার কারন ও প্রতিকার সম্পর্কে জানব।কি কি কারনে আমাদের ঘুমাতে সমস্যা হয়। রাতে কেন ঘুম হয় না ও তার প্রতিকার বা সমাধান।
সুচিপত্রঃ রাতে ঘুম না হওয়ার কারন ও প্রতিকার
- অতিরিক্ত দূশ্চিন্তার কারনে রাতে ঘুম হয়না
- ভিটামিন যুক্ত খাবারের অভাবে রাতে ঘুম হয়না
- ক্যাফিন যুক্ত খাবারের অভাবে রাতে ঘুম হয়না
- ডিভাইসে আসক্ত হওয়ায় রাতে ঘুম হয়না
- ধুমপান করলে রাতে ঘুম হয়না
- দিনে বেশি ঘুমালে রাতে ঘুম হয়না
- নিয়মিত ব্যায়ামের অভাবে রাতে ঘুম হয়না
- রুটিন অনুযায়ী না ঘুমালে রাতে ঘুম হয়না
- রাতে ঘুম না হওয়ার প্রতিকার সম্পর্কে জানুন
- ঘুম না হওয়ার কারন ও সমাধানে লেখকের মন্তব্য
অতিরিক্ত দূশ্চিন্তার কারনে রাতে ঘুম হয়না
অতিরিক্ত দূশ্চিন্তার কারনে রাতে ঘুম কম হয়। দিন দিন আমরা সবাই কর্ম ব্যস্ততায় নিজেকে ডুবে রাখছি।সারাদিনের ব্যস্ততা আর অধিক ক্লান্তি আমাদের ব্রেনের উপর চাপ সৃষ্টি করে।যখন আমরা ঘুমাতে যায় তখন আমরা এসব নিয়ে ভাবি আর চিন্তা করি।এই চিন্তাই এক সময় দূশ্চিন্তায় পরিনত হয়।
আর এই দূশ্চিন্তার কারনে আমাদের মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। মানসিক চাপের কারনে রাতে ঘুম কম হয়। ঘুম আসতে চায় না।এই দূশ্চিন্তা এতোটাই খারাপ যার কারনে নানা অসুকের সৃষ্টি হয়।দূশ্চিন্তার করনে উচ্চ রক্ত চাপ সহ আরো অনেক রোগের সৃষ্টি হয়।যার কারনে আমাদের রাতে ঘুম হয় না।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় সফেদা খাওয়ার উপকারিতা
এই জন্য আমরা বলতে পারি রাতে ঘুম না হওয়ার প্রধান কারন হলো অতিরিক্ত দূশ্চিন্তা।দূশ্চিন্তা মানুষের ইন্দ্রীয় শক্তিকে দুর্বল করে ও মেজাজকে খিট খিটে করে।মেজাজ খিটখিটে হওয়ার কারণে তার কোন কাজে তার কোন কাজে মন বসে না।সে ঠিকঠাক করে কাজ করতে পারে না।দুশ্চিন্তা ঘুম না হওয়ার সবচাইতে বড় একটা কারণ।
ভিটামিন যুক্ত খাবারের অভাবে রাতে ঘুম হয়না
ভিটামিন যুক্ত খাবারের অভাবে রাতে ঘুম কম হয়। একজন মানুষ অনিদ্রায় ভোগে পর্যাপ্ত পরিমান ভিটামিন এর অভাবে। শরীরে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি ও বিটামিন বি এর অভাব পড়ে তাহলে শরীর ভিশন ভাবে দুর্বল হয়ে পরে। ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার গুলো হল চিনা বাদাম সয়াবিন এবং ওরস এ ধরনের। তাছাড়াও সূর্যের আলো রয়েছে ভিটামিন ডি।
ভিটামিন ডি এর অভাবে আমরা শারীরিক ও মানসিক ভাবে অসাস্থকর হয়ে পড়ি। ভিটামিন ডি এর অভাবে শরীরে ও মস্তিস্কে অস্থিরতার সৃষ্টি হয় এবং রাতে ঘুম হয় না। ভিটামিন বি আমাদের শরীরে হরমোনের যোগান দেয়। ভিটামিন বি এর অভাবে হরমোনের ঘাটতি দেখা দেয়। যার ফলে আমাদের ঘুমের চরম ব্যাঘাত ঘটে।
এছাড়াও আমাদের শরীরে নানা ধরনের ভিটামিন এর প্রয়োজন।একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিনের দরকার। রাতে ঘুম না হলে অবশ্যই পরদিন শরীর ক্লান্ত লাগবে। আর ক্লান্ত লাগাটাই স্বাভাবিক। অনিদ্রার প্রধান কারণই হচ্ছে ভিটামিন যুক্ত খাবারের অভাব। রাতে ঘুম না হওয়ার কারন ও তার প্রতিকার নিয়ে ধারনা থাকা উচিত।
ক্যাফিন যুক্ত খাবারের অভাবে রাতে ঘুম হয়না
ক্যাফিন যুক্ত খাবারের অভাবে রাতে ঘুম হয় না।ক্যাফিন যুক্ত খাবার বলতে চা কফি ড্রিংসকে বোঝানো হয়ে থাকে মানুষ পানির পরিবর্তে চা পান করে।চা ক্লান্তি দূর করার সাথে সাথে ঘুমের মাত্ররাও কমিয়ে দেয়।আমরা কেন পান করি জানেন ক্লান্তিকে দূর করার জন্য। যারা রাত জেগে কাজ করে তারা বেশিরভাগই চা পান করে থাকে বা কফি এই ধরনের জিনিস।
চা একটি গরম পানীয় এটি গরম পানির সাথে জাল করে আমরা পান করি।এটি যেহেতু একটি গরম পানীয় তাই এই চা আমাদের শরীরকে গরম অনুভব করায়। যার ফলে আমরা অনেকক্ষণ জেগে থাকতে পারি। শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।ঘুমানোর আগে যদি আমরা চা পান করি তাহলে আমাদের সহজে ঘুম আসে না। এটি রাতে ঘুম না হওয়ার কারন ও তার প্রতিকারের একটি।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে অনলাইনে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায়
কফি যেহেতু ক্যাফিন যুক্ত পানীয় তাই এটি ঘুমের মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। চায়ে থাকা থিও ফাইলিন একটি রাসায়নিক উপাদান যা আমাদের শরীরে নানাভাবে সমস্যা তৈরি করে। চায়ে থাকার রাসায়নিক উপাদান শরীরে উদ্বেগ অস্থিরতা সৃষ্টি করে যার কারণে রাতে ঘুম হয় না।
এনার্জি ড্রিংক ও এক ধরনের পানীয় যাতে থাকে প্রচুর মাত্রায় সুগার ও ক্যাফিন। বেশি পরিমাণে এনার্জি ড্রিঙ্ক খেলে শরীরে ফ্যাট বাড়ায়, ডায়াবেটিসের সমস্যা বাড়ায়, নিয়মিত মাথা যন্ত্রণা ও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। ড্রিংক পান করা মানে শরীরের ক্ষতি করা।
ডিভাইসে আসক্ত হওয়ায় রাতে ঘুম হয়না
রাতে ঘুম না হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস আসক্ত হওয়া। বর্তমান যুগে বা সময় আমরা সবাই বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসের সাথে পরিচিত। আর এইসব ডিভাইসের মাধ্যমে আমরা নানা কাজ করে থাকি। এই ডিভাইস যেমন আমাদের সমস্যার সমাধান করে তেমনি ক্ষতি করে থাকে।
আমরা প্রায় অনেক রাত জেগে মোবাইল বা ল্যাপটপ ডেক্সটপ এর মাধ্যমে চ্যাটিং গেমিং অফিসের নানা কাজ করে থাকি। এইসব ডিভাইসের উজ্জ্বল রশ্নি আমাদের চোখে লাগার ফলে ঘুম কমিয়ে দেয়। এইসব ডিভাইসের আলোটা আমাদের চোখের জন্য ক্ষতিকারক।
আমরা সবাই জানি ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে যে ইউ ভি রশ্মি রয়েছে সেটি চোখের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এই রশ্মি চোখের পানিকে শুকিয়ে দেয় যার ফলে চোখে সমস্যা দেখা দেয়। চোখের সাথে ব্রেনের কানেকশন অনেক বেশি বলে এটি ব্রেনে ব্যাপক ক্ষতি করে।ডিভাইসে আসক্ত ঘুমের ব্যঘাত ঘটায়।
ধুমপান করলে রাতে ঘুম হয়না
রাতে ঘুম না হওয়ার আর একটি কারন হল ধূমপান।ধূমপান করা মানে বিষ পান করা।আমরা সবাই জানি ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে তামাক।তামাক শরীরের জন্য ক্ষতিকার একটি দ্রব্য।তামাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ নিকোটিন। নিকোটিন একটি উত্তেজিত পদার্থ। উত্তেজিত পদার্থ শরীরে প্রবেশ করলে শরীর উত্তেজিত হয়।
গবেষণায় জানা গেছে যে ধূমপানের কারণে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।ধূমপান অতিরিক্ত করার ফলে ফুসফুস ও মস্তিষ্ক থাকা জিনের এক্সপ্রেশনের পরিবর্তন হতে পারে।এর ফলে রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে অনেকের ঘুম হয় না।আর এটা আমাদের প্রায় মানুষেরই সমস্যা।অতিরিক্ত ধূমপানে এতটাই ক্ষতিকর যে এটি মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ পতঙ্গের ক্ষতি করে।
ধূমপানে রয়েছে অতিরিক্ত পরিমাণে নিকোটিন।যা মানুষের শরীরে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যার সৃষ্টি করে।এমনকি ব্রেন স্ট্রোক হতে পারে। আপনি দেখবেন যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে বা যারা স্ট্রোক করেছে তারা রাতে ঘুমাতে পারে না।এজন্য ধুমপান করলে রাতে ঘুম হয়।
দিনে বেশি ঘুমালে রাতে ঘুম হয়না
দিনে বেশি ঘুমালে রাতে ঘুম হয় না। ঘুমের একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। ওই নির্দিষ্ট সময় ছাড়া যদি আপনি অতিরিক্ত সময় ঘুমান তাহলে আপনার রাতে ঘুম হবেনা।দিনের ঘুম কখনোই ভালো না।গবেষণায় আছে দিনের বেলা ২০ মিনিটের বেশি ঘুমানো ঠিক না।আপনি যদি দিনের বেলায় বেশি ঘুমান তাহলে রাতের বেলায় আপনার ঘুম আসবে না এটাই স্বাভাবিক।
কেউ কেউ আছে দুপুরবেলা খাবার পরে রেস্ট নেয়ার জন্য ঘুমায়।আবার অনেকে আছে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘুমায়।দিনের বেলায় এত দীর্ঘ সময় ঘুমালে রাতে সঠিক ঘুম হবেনা।একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনরাত মিলে সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমালে যথেষ্ট।আর এই ঘুম যদি রাতে না ঘুমে দিনে ঘুমায় তাহলে রাতের ঘুমটা হবে নারাত আর দিনের ঘুমের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে।
সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই দিনে ঘুম বাদ দিয়ে রাতে ঘুমাতে হবে।দিনে বেশি ঘুমালে অনেক সময় কজের প্রতি মনযোগ হারিয়ে যায়।দিনের অতিরিক্ত ঘুমের কারনে রাতের ঘুম সঠিক টাইমে ঘুম আসে না। রাতে ঘুমের প্রতিমান কমে যায়।নিয়মিত ব্যায়ামের অভাবে রাতে ঘুম হয়না
নিয়মিত ব্যায়ামের অভাবে রাতে ঘুম হয়না
একজন মানুষ দিনে কিছু সময় যদি ব্যায়াম করে তাহলে সে শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে প্রশান্তিবোধ অনুভব করে। ব্যায়াম মানুষের শরীরে ক্লান্তি দূর করে কাজে মনোযোগী হতে সহায়তা করে। যেকোনো কাজের প্রফুল্ল থাকার জন্য ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা বর্তমান সময়ে এতটাই কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছি যেব্যায়াম করার সময় হয়ে ওঠে না
বয়স ভেদে পৃথিবীতে প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষই অনিদ্রায় ভোগে।আর এই অনিদ্রা হয়ে থাকে অনেক সময় ব্যায়ামকেও কেন্দ্র করে।ব্যায়াম আপনাকে যেমন সারা দিন প্রফুল্লো রেখে কাজে মনোযোগ বাড়ায়।একটানা কাজ করতে এনার্জি দেয় ফলে অনেক কাজ এক সাথে করা যায়।আর অনেক কাজ করার ফলে শরীরে আলাদা একটা ক্লান্তি চলে আসে।
এর ফলে সহজেই রাতে ঘুম চলে আসে।এ থেকে বোঝা যায় ব্যায়াম আপনার আমার ঘুমের জন্য কতোটা দরকার।নিয়মিত ব্যায়াম না করলে রাতে ঘুম হয় না।রাতে ঘুমের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম দরকার আসে।ব্যায়াম আপনার ঘুমের ঘাটতি পুরন করে।
রুটিন অনুযায়ী না ঘুমালে রাতে ঘুম হয়না
রুটিন অনুযায়ী না ঘুমালে কিন্তু রাতে ঘুম হবে না এটা পরিক্ষিত।প্রতিদিন আমরা যে সময়ে ঘুমায় সে সময়ে না ঘুমায় তাহলে ঘুম হবে না। আবার আমরা যে বিছানায় ঘুমায় সেই বিছানা ছাড়া অন্য বিছানা বা অন্য জায়গায় ঘুমাতে গেলে ঘুম হয় না।আবার অনেক সময় আছে আমরা জোড় করে ঘুমায়।একারনেও রাতে ঘুম হয় না।
আমাদের অভ্যাসের পরিবর্তন হলেই রাতে ঘুমের সমস্যা হয়।রাতে ঘুমটা হলো প্রকৃত ঘুম।আমরা যদি আমাদের রুটিন সারা প্রতিদিন যে সময়ে ঘুমায় সেটার পরিবর্তে অন্য সময় ঘুমায় তাহলে ঘুম হবে না।রুটিন এমন একটা জিনিস যে রুটিন অনুযায়ী যেকোনো কাজ করলে আপনি সঠিক সময়ে এবং ভালো ভাবে করতে পারবেন।
ঘুমের ক্ষেত্রে ও ঠিক একি রকম।রুটিন অনুযায়ী রাতে তারাতাড়ি ঘুমালে রাতের ঘুমটা পরিপূর্ণ হয়। অতিরিক্ত ডিভাইস দেখা, অতিরিক্ত ধূমপান, দিনে বেশি সময় ঘুমানো অর্থাৎ রুটিন ছাড়া ঘুমালে রাতে ঘুম হবে না।যা আপনার মানসিক প্রশান্তিকে নষ্ট করে দেয়।মানসিক চাপ সৃষ্টি ও উত্তেজনা বাড়ায়।
রাতে ঘুম না হওয়ার প্রতিকার সম্পর্কে জানুন
এতক্ষন আমরা জানলাম রাতে ঘুম না হওয়ার কারন।এখন আমরা জানব রাতে ঘুম না হওয়ার প্রতিকার বা সমাধান সম্পর্কে। রাতে ঘুম না হওয়ার কারন ও তার প্রতিকার সমন্ধে আমাদের ভালো ভাবে জানা দরকার। রাতে ভালো ভাবে ঘুম হওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই ভিটামিন যুক্ত খাবার খেতে হবে।গরম দুধ রাতে ঘুম হওয়ার জন্য ব্যাপক কাজ করে।কারন গরম দুধে আসে ট্রিপটোফেন যা লম্বা সময় ধরে ঘুম হতে সাহায্য করে।
এর সাথে সাথে কলা রাতের ঘুমের জন্য কার্যকারী। কলাই আসে পর্যাপ্ত পরিমানে আয়রন।কলা ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করে।এছাড়াও পনির, মাছ, মাংস, বাদাম, মাখন, মাশরুম,ডিমের কুসুম জাতীয় খাবার শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ক্লান্তি দূর করে।শরীরের উত্তেজনা কমায় যার ফলে ঘুমানোর সমস্যার সমাধান হয়।
অতিরিক্ত ধূমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।এটি একেবারেই ছাড়তে না পারলে অন্তত ঘুমের ১ ঘন্টা আগে ধুমপান করতে পারেন। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা যাবে না।দুশ্চিন্তা মানসিক চাপ বাড়ায় আর মানসিক চাপ হলে রাতে ঘুম হবেনা। দুশ্চিন্তা কমানোর জন্য আপনি ঘুমানোর আগে গল্পের বই পড়তে পারেন। রাতে ঘুম না হওয়ার কারন ও তার প্রতিকার জানতে হবে।
আপনি যদি রাতে ভাল ঘুম দিতে চান তাহলে রাতে অবশ্যই রুটিন করে নিন আপনি একটা নির্দিষ্ট টাইমে ঘুমাবেন।বিছানা দেখলেই যেন আপনার ঘুম ছাড়া অন্য কিছু মনে না আসে।কখনোই দিনে ঘমাবেন না যদিও ঘুমাতে চান তাহলে অবশ্যই ২০ মিনিটের বেশি ঘুমাবেন না।চা কফি এই ধরনের খাবার বেশি খাবেন না পারলে এড়িয়ে চলেন।
ঘুম না হওয়ার কারন ও সমাধানে লেখকের মন্তব্য
রাতে ঘুম না হওয়ার কারন ও তার প্রতিকার থেকে আশা করি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি সঠিক তথ্য পেয়েছেন। আমাদের রাতে ঘুম না হওয়ার কারন এবং তার প্রতিকার কি। রাতের ঘুম আমাদের প্রত্যেকের জন্য খুবই জরুরী।নির্দিষ্ট টাইমে এবং লম্বা সময় ধরে ঘুমালে মাইন্ড ফ্রেশ হয়। সুস্থ থাকার জন্য ঘুমের বিকল্প নাই। তার রাতে ঘুম হওয়াটা খুব জরুরি। ধন্যবাদ।
রিজু ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url