আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
আমেরিকাতে যারা যেতে ইচ্ছুক বা যারা আমেরিকাতে গিয়েছে তাদের প্রত্যেকের প্রধান
উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রীন কার্ড পাওয়া। গ্রীন কার্ড পেলে আমেরিকাতে স্থায়ীভাবে
বসবাস করা যাবে। কিন্তু আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে আপনার।যোগ্যতা ছাড়া আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়া যাবে না। তাই আজকে আমি আপনাদের
আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানাবো। তাই এই সম্পর্কে জানতে
সঙ্গেই থাকুন।
সূচিপত্রঃ আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা নিয়ে আলোচনা
- আমেরিকান গ্রিন কার্ড কি
- স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড
- পারিবারিক অভিভাষণের মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড
- ইবি অন ভিসার মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড
- স্পেশাল ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড
- বিয়ের মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড
- চাকুরীর মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড
- আমেরিকার গ্রীন কার্ডের বিশেষ কিছু সুবিধা
- আমেরিকার গ্রীন কার্ড সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর পর্ব
- আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
আমেরিকান গ্রীন কার্ড কি
আমেরিকান গ্রীন কার্ড কি এটি আগে আপনাকে সবার প্রথমে জানতে হবে। আমেরিকা
যাবার কথা ভাবছেন কিন্তু গ্রীন কার্ড কি সেটি না। তাহলে চলবে না।
আপনাকে গ্রীন কার্ড সম্পর্কে জানতে হবে। গ্রীন কার্ড হল
আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার একটি কার্ড। এই কার্ডটি দেখতে
সবুজ এবং এই কার্ডটি হচ্ছে আমেরিকার বসবাসের জন্য একটি বৈধ নাগরিক সনদপত্র।
আপনি যাতে আমেরিকায় বৈধভাবে থাকতে পারেন তারই একটি প্রমাণ পত্র।
উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশের
একটি সনদপত্র বা আইডি কার্ড আপনার কাছে থাকতে হবে। এই সনদপত্র বা আইডি
কার্ডের মাধ্যমে প্রমাণ করবে আপনি বাংলাদেশের নাগরিক। এবং আপনি বৈধভাবে বাংলাদেশ
সারা জীবনের জন্য থাকতে পারবেন এবং যেকোনো জায়গায় স্বাধীনভাবে চলাফেরা
করতে পারবে।
আরো পড়ুনঃ ভারতের ভিসা করতে কত টাকা লাগে
এটির মাধ্যমে আপনি যে বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা বা নাগরিক সেটি শনাক্ত করা
হয়। ঠিক তেমনি আপনি যদি আমেরিকার স্থায়ী নাগরিক হতে চান তাহলে অবশ্যই
আপনাকে গ্রীন কার্ড পেতে হবে। আপনি যদি গ্রীন কার্ড না পান বা আপনার কাছে যদি
আমেরিকান গ্রীন কার্ড না থাকে তাহলে আপনি ওই দেশের স্থায়ী নাগরিক হতে পারবেন
না।আমেরিকা বৈধভাবে থাকার জন্য এবং স্বাধীনভাবে চলাফেরার জন্য অবশ্যই আপনার
গ্রীন কার্ড থাকতে হবে।
স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড
স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা অনেক
বেশি। কেননা বেশিরভাগ স্টুডেন্টরাই পড়াশোনা শেষে আমেরিকাতে স্থায়ী
ভাবে চাকুরী এবং বসবাস করে। এই জন্য তাদের গ্রীন কার্ড পাওয়া খুব একটা জটিল কিছু
না। তারা পড়াশোনা শেষ করার পাশাপাশি চাকরি করে এবং গ্রীন কার্ডের জন্য ওই দেশের
সরকারের কাছে আবেদন করে।
এবং তার আবেদন গ্রান্টেড হওয়ার পরে এসে গ্রীন কার্ড পায়। গ্রীন কার্ড পাওয়ার
জন্য একজন স্টুডেন্টকে অবশ্যই ওই দেশের দীর্ঘদিন অবস্থান করতে হয়। এর ফলে সে
গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। আপনি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য এসএসসি
বা এইচএসসি পরেও এপ্লাই করতে পারেন। এমনকি আপনি অনার্স মাস্টার্স
করার জন্য আমেরিকায় স্টুডেন্ট ভিসায় এপ্লাই করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
পড়াশোনা শেষে যদিআপনি ওই দেশের কোন চাকরির অফার পান তাহলে আপনার পক্ষে গ্রীন
কার্ড পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে। আরেক গ্রীন কার্ডের মাধ্যমে আপনি ওই দেশের থাই
নাগরিক হতে পারবেন। যারা গ্রীন কার্ড ধারী নাগরিক তাদের জন্য আমেরিকার সরকার অনেক
সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে।
পারিবারিক অভিবাসনের মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড
পারিবারিক অভিবাসনের মাধ্যমে আমেরিকান গ্রীন কার্ড পাওয়া সম্ভব। আমেরিকান
সরকার ডিভি লটারি এর মাধ্যমে তাদের দেশে প্রচুর প্রবাসী নিয়ে যায়।
বাংলাদেশের তার ব্যতিক্রম নাই বাংলাদেশ ও প্রচুর লোককে আমেরিকান সরকার ডেভিল
লটারি মাধ্যমে আমেরিকাতে আশার অনুমতি দিয়েছে। এই ডিবি লটারি মাধ্যমে যারা
আমেরিকাতে গেছেন তারা তাদের পরিবারকে করে আমেরিকাতে নিয়ে গেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য ডিভি লটারি বন্ধ রয়েছে কিন্তু অন্যান্য দেশ থেকে
আমেরিকান সরকার ডিভি লটারির মাধ্যমে তাদের দেশে প্রবাসী আনছে। শুধু ডিবি লটারি
নয় অনেক মাধ্যমেই আমেরিকাতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে লোকজন গিয়েছে। তাদের
মধ্যে থেকে যারা আমেরিকাতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে তারা তাদের পরিবারের জন্য
আমেরিকান সরকারের কাছে আমেরিকায় আসার জন্য অনুমোদন চাই।
আরো পড়ূনঃ
আর একেই বলে পারিবারিক অভিবাসন। তারা তাদের পরিবারকে স্পন্সর করে আমেরিকাতে নিয়ে
আসতে চায়। আমেরিকা সরকার যদি সেটি অনুমোদন দেয় তাহলে তারা তাদের পরিবারকে
আমেরিকায় নিয়ে আসতে পারবে। বিশেষ করে কোন ব্যক্তি যদি আমেরিকান গ্রীন কার্ড
ধারী হয় তাহলে সে অবশ্যই তার পরিবারকে স্পন্সর করে আমেরিকাতে নিয়ে আসতে
পারবে।
এবং তার পরিবারের সদস্যরাও আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাবে অর্থাৎ তারাও আমেরিকার
গ্রীন কার্ড ধারী হবে। আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমেরিকাতে পাঁচ
বছর থাকতে হবে। তাহলে সে আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাবে।
ইবি অন ভিসার মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড
ইবি অন ভিসার মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়া যায়। ইবি অন ভিসা মূলত তারাই
এপ্লাই করতে পারবে যাদের মধ্যে বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। হতে পারে কেউ খুব ভালো
গবেষণা করতে পারে বা কেউ খুব ভালো অভিনয় করতে পারে এক্ষেত্রেও সে ইবি ভিসার জন্য
আবেদন করতে পারবে।
মূলত যারা খুব একটা অর্ডিনারি সব বিষয়ে তারাই শুধু ইবি ভিসায় আবেদন করবে। ইবি
ভিসা ক্যাটাগরিতে যারা আমেরিকায় গিয়েছে তারাও তাদের নিজেদের জন্য ও তাদের
ফ্যামিলির জন্য গ্রীন কার্ডের আবেদন করতে পারবে। এছাড়াও যদি আপনি পিএইচডি
ডিগ্রির ধারি হনতাহলে আপনি আমেরিকার রিসার্চ এর কোন জব অফার নিয়ে ওই দেশে গেলে
আপনার গ্রীন কার্ড পেতে অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।
একজন গবেষক আমেরিকার গ্রিন কার্ড ধারী হলে ওই দেশের স্থায়ী বাসিন্দা হতে পারবে
এবং তার পরিবারের সবাইকে ওই দেশের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার জন্য করবে। এবং
তারপর পরিবারবর্গ গ্রীন কার্ড পাবে।আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতার
মধ্যে অন্যতম। আপনার মধ্যে বিশেষ ক্যাটাগরি যোগ্যতা থাকলে আপনি আমেরিকান গ্রীন
কার্ড ধারী হতে পারবেন।
স্পেশাল ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড
স্পেশাল ইমিগ্রেশন এর মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড দেয়া হয়। স্পেশাল
ইমিগ্রেশন বলতে সংবাদ কর্মীদের এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের রিটার্ড পারসন যারা
বিদেশে কাজ করছে তারা গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। গ্রীন কার্ড
পাওয়ার মাধ্যমে তারা যে কোন দেশের স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে। এবং যেকোনো
ধরনের চাকুরী করতে পারে।
বিয়ের মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড
বিয়ে করার মাধ্যমেও আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়া সম্ভব। কিভাবে সম্ভব সেটি
চিন্তা করছেন তো। চলুন এবার আমি আপনাদের সেই সম্পর্কে জানাবো। কোন ব্যক্তি যদি
আমেরিকার নাগরিক হয় অর্থাৎ আমেরিকার ছেলে যদি অন্য দেশের মেয়েকে বিয়ে করে
তাহলে সে তার বিয়ে করার স্ত্রীর জন্য আমেরিকার ভিসা করার অনুমতি পাবে।
আরো পড়ুনঃ
এবং তার সাথে সাথে তার স্ত্রীও আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাবে। আবার অনুরূপভাবে
আমেরিকার কোন মেয়ে যদি অন্য দেশের কোন ছেলেকে বিয়ে করে তাহলে ওই মেয়ে তার
স্বামীকে আমেরিকায় নিয়ে আসার জন্য স্পন্সর করতে পারে এবং তার স্বামী ওই দেশের
গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। এইভাবে বিয়ে করার মাধ্যমে আমেরিকার
গ্রীন কার্ড পাওয়া যায়।
কিন্তু এখানে আরেকটি কথা উল্লেখযোগ্য যে কারো এই উদ্দেশ্যেই থাকে যে সে শুধু
গ্রীন কার্ড পাওয়ার জন্যই বিয়েটা করেছে তাহলে সেই ক্ষেত্রে আমেরিকান সরকার
যদি সেটির কার্যকরতা দ্বারা কি করে তাহলে উক্ত ব্যক্তি ওই দেশের গ্রীন কার্ড
পাবেনা এবং ওই দেশের কোন ভিসা তাকে দেওয়া হবে। আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার
যোগ্যতার মধ্যে এটি আরেকটি।
চাকুরির মাধ্যমে আমেরিকার গ্রীন কার্ড
চাকরির মাধ্যমে অতি তাড়াতাড়ি আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়া পাওয়া সম্ভব।
প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্র বা আমেরিকার অনেক লোক চাকরির উদ্দেশ্য করে যায়। তারা
মূলত চাকরি অফার নিয়েই আমেরিকাতে যায়। আমেরিকাতে অনেক ধরনের কাজের জন্য লোক
নিয়োগ করা হয়। আর এই কাজের অফার লেটারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন
মানুষ ওই দেশে যায়।
যেকোনো ব্যক্তি যেকোনো কাজেই আমেরিকায় যাক না কেন ওই ব্যক্তিকে আগে তার কাজের
প্রমাণ করতে হবে যে তিনি যে কাজটির জন্য আমেরিকায় যাচ্ছে সেই কাজের পারফেক্ট
কিনা। যদি ওই কাজে পারফেক্ট হয় তাহলে ওই ব্যক্তি আমেরিকার জবের জন্য অফার
লেটার পাবে। এবং যে কোম্পানি তাকে ওই কাজের জন্য অফার দিয়েছে সে কোম্পানিই তার
জন্য গ্রিন কার্ডের ব্যবস্থা করে দিবে।
আবার শুধু যে দক্ষতা সম্পন্ন মানুষদেরকে চাকরি দেয়া হয় এমনটা নয় অদক্ষ
লোককেও ওই দেশের চাকরির অফার দেওয়া হয়। কিন্তু যে কোম্পানি অদক্ষ লোক হিসাবে
চাকরির অফার দেবে সেই কোম্পানিকে আগে স্পন্সর করতে হবে তাহলেই সে অদক্ষ লোক
হিসাবেও উক্ত কোম্পানিতে চাকরির অফার নিয়ে আমেরিকায় যেতে পারবে এবং গ্রীন
কার্ড ধারী হতে পারবে।
আমেরিকার গ্রীন কার্ডের বিশেষ কিছু সুবিধা
আমেরিকার গ্রীন কার্ড ধারীরা বিশেষ কিছু সুবিধা পেয়ে থাকে। যারা আমেরিকায়
স্থায়ীভাবে বসবাস করছে তারা আমেরিকার গ্রীন কার্ড ধারী নাগরিক। তাই তারা
আমেরিকার সরকার থেকে কিছু বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন।আমরা যেমন আমাদের বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের সরকার থেকে কিছু বিশেষ
সুবিধা পায় অন্যান্য দেশের মতো আমেরিকার গ্রীন কার্ড ধারে নাগরিকরাও বিশেষ
কিছু সুবিধা পেয়ে থাকে। আমেরিকার সরকার এই সুবিধা দিয়ে থাকে যাতে বসবাসকারী
নাগরিকদের ওই দেশের স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে কোন অসুবিধা না হয়। চলুন এবার
জানা যাক কি সেই বিশেষ সুবিধা সমূহ।
- যারা আমেরিকার গ্রীন কার্ড ধারে ব্যক্তি তারা নিঃসন্দেহে আমেরিকায় সিটিজেনশিপ পাবেন। সিটিজেনশিপ পেতে তাদের কোন সমস্যা হবে না।
- আমেরিকায় গ্রীন কার্ড ধারী হলে তারা আমেরিকার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবে।
- আমেরিকায় থাকা অবস্থায় যদি কোন ঋণের দরকার হয় তাহলে গ্রীন কার্ড ধারী ব্যক্তিরা আমেরিকার সরকার থেকে ঋণের সুবিধা পেয়ে থাকে।
- গ্রীন কার্ড ধারী ব্যক্তিরা পাঁচ বছর আমেরিকায় থাকার পরে তারা যদি আমেরিকার নাগরিকত্ব পেতে চায় তাহলে তারা আমেরিকান নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবে।
- আমেরিকার গ্রীন কার্ড ধারী ব্যক্তিদের জন্য আমেরিকান সরকার তাদের সরকারি বেসরকারি সকল সুবিধা দিয়ে থাকে। গ্রীন কার্ড মেডিকেল চার্জ, পেনশন ব্যবস্থা, বাড়ি ভাড়া, বোনাস ব্যবস্থা ইত্যাদি করে থাকে।
- গ্রীন কার্ড ধারী ব্যক্তিরা খুব সহজে আমেরিকার যেকোনো দেশের ট্রাভেল করতে পারবে। তাদের জন্য কোন প্রকার নতুন করে ভিসা করার প্রয়োজন পড়বে না অন্য দেশের ট্রাভেল করার জন্য।
- আমেরিকার গ্রীন কার্ড ধারীরা তাদের পরিবার বর্গের জন্য এবং তাদের ২১ বছর কম বয়সের সন্তানদেরকেও আমেরিকায় নিয়ে আসতে পারবে।
- আমেরিকার গ্রিন কার্ডধারী ব্যক্তিরা আমেরিকার যেকোনো ধরনের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারবেন।
- গ্রীন কার্ডধারী ব্যক্তিরা আমেরিকান যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়াশোনা করার সুযোগ পাবে। এবং পড়াশোনা করতে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন সকল সুযোগ-সুবিধায় তারা পাবে। এটি ওই দেশের সরকার কর্তৃক নির্দেশিত।
- আপনি যদি আমেরিকার বৈধ গ্রীন কার্ড ধারী ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি উপরের উল্লেখিত সুবিধাগুলো পাবেন। আর যদি আপনি গ্রীন কার্ড ধারী ব্যক্তি না হন তাহলে এই সুবিধা গুলো আপনি পাবেন না। এগুলো আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা।
আমেরিকার গ্রিন কার্ড সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর পর্ব
আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে অনেক মানুষের অনেক প্রশ্ন থাকে।
যে প্রশ্নগুলো থেকে তারা সঠিক উত্তর জানতে চায়। আজকে আমি আমেরিকার গ্রীন কার্ড
সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন তুলে ধরব এবং সেটির উত্তর সঠিকভাবে দেয়ার চেষ্টা করব
যাতে তারা এই প্রশ্ন উত্তর গুলো থেকে সঠিক ধারণা নিতে পারে। নিম্নে আমেরিকার
গ্রীন কার্ড সম্পর্কে প্রশ্নোত্তর পর্ব আলোচনা করা হলোঃ
প্রশ্নঃ আমেরিকার নাগরিকত্ব পেতে কত বছর লাগে?
উত্তরঃ আমেরিকার নাগরিত্ব পাওয়ার জন্য আপনার অবশ্যই গ্রীন কার্ড থাকতে
হবে যা পেতে ১০ বছর সময় লাগতে পারে। একবার গ্রীন কার্ড হয়ে যাওয়ার পরে আপনি
পাঁচ বছর পরে আমেরিকান নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশী কিভাবে আমেরিকার নাগরিত্ব পাবে?
উত্তরঃ সাধারণভাবে একজন ব্যক্তি যে আমেরিকার নাগরিকত্ব পেতে ইচ্ছুক তাকে
অবশ্যই অভিবাসী ভিসার জন্য আবেদন করার আগে ইউ এস সিটিজেনশিপ এন্ড ইমিগ্রেশন
সার্ভিস দ্বারা অনুমোদিত একটি পিটিশন থাকতে হবে। আবেদনটি মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের একটি (USCIS) অফিসে একজন যোগ্য আত্মীয় বা সম্ভাব্য নিয়োগকর্তা
দ্বারা দায়ের করা হয়।
প্রশ্নঃ আমেরিকা ও বাংলাদেশে কি দ্বৈত নাগরিক হওয়া যায়?
উত্তরঃ বাংলাদেশে বংশোদ্ভুত মার্কিন নাগরিক (জন্মসূত্রে) এবং তাদের
সন্তানেরা দ্বৈত জাতীয়তা প্রশংসা পত্রের জন্য আবেদন করতে পারেন।
প্রশ্নঃ আমেরিকায় কি কি কাজের চাহিদা বেশি?
উত্তরঃ আমেরিকার সবচেয়ে বেশি চাহিদার মধ্যে চাকরি রয়েছে তথ্য
প্রযুক্তি ও সফটওয়্যার, প্রকৌশল, স্বাস্থ্য সেবা, নার্সিং, ব্যবস্থাপনা,
একাউন্টিং, বিক্রয়, আতিথেয়তা ও আরো অনেক কিছু।
প্রশ্নঃ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে কত টাকা লাগে?
উত্তরঃ কাগজে ফাইল করলে $760 অথবা অনলাইনে ফাইল করলে $710 জমা দিন।
আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কের লেখকের মন্তব্য
আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার জন্য যে যোগ্যতার প্রয়োজন সেগুলো সম্পর্কে আমি
বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। যাতে করে আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
সম্পর্কে আপনারা সঠিক তথ্যটি পান। আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টটি সম্পূর্ণ
ভালোভাবে পড়ে গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আমার
পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে যদি এই ধরনের পোস্ট আপনি আরো পেতে চান তাহলে অবশ্যই
কমেন্টস করে জানাবেন। ধন্যবাদ।
রিজু ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url