ভারতের ভিসা করতে কত টাকা লাগে

ভারতের ভিসা করতে কত টাকা লাগে আমরা সবাই জানিনা। কেউ জানে কেউ জানে না। ভারত আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ। আমাদের অনেকেরই ভারতে কোন না কোন দরকারে যার প্রয়োজন পড়ে।
ভারতের ভিসা করতে কত টাকা লাগে
কারো হয়তো ব্যবসার, কারো চিকিৎসার আবার কেউ ভ্রমণ করতে। কিন্তু সবকিছুুর আগে জানা দরকার ভারতের ভিসা করতে কত টাকা লাগে। আমরা যারা ভারতের ভিসা করতে কত টাকা লাগে না জানি তাহলে এই পোস্টটি শুধু তাদের জন্য।

সূচিপত্রঃ ভারতের ভিসা করতে কত টাকা লাগে বিস্তারিত জানুন

ভারতের ভিসা করতে কত টাকা লাগে বাংলাদেশ থেকে

ভারতের ভিসা করতে কত টাকা লাগে বাংলাদেশ থেকে এটা কি আমরা কেউ সঠিকভাবে জানি? যদি না জেনে থাকি তাহলে আজকে আমরা জানবো। ভারতে ভিসার আবেদন করতে ৮০০ টাকা লাগে। এটি সরকারি নিয়মে। কিন্তু বিভিন্ন এজেন্সি ভিসা আবেদনের জন্য ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা নেয়। আপনি এর থেকে কম টাকা দিয়েও ভিসা করে নিতে পারেন।
যেখানে কম পাবেন সেখানে ভিসা করবেন। তবে একটা কথা ভিসা করার আগে অবশ্যই পাসপোর্ট করতে হবে। কারণ পাসপোর্ট ছাড়া ভিসা করা যাবে না। যে কোন দেশে যেতে গেলে পাসপোর্ট ভিসা দুটোই লাগবে। তাই ভিসা করার আগে পাসপোর্ট করে নিতে হবে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার অনেকগুলো মাধ্যম আছে।
ভারতে আপনি বিমানে করেও যেতে পারেন। বাসে করে যেতে পারেন। ট্রেনে করেও যেতে পারেন। শুধু যাতায়াতের খরচটা কম বেশি হবে। আকাশপথে যেতে গেলে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাগতে পারে। ট্রেনে করে গেলে ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা লাগতে পারে। এবং বাসে করে গেলে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা লাগতে পারে।
ভিসা কয় প্রকার হয়। এরপর ভিত্তি করেও ভিসাতে কম বেশি টাকা লাগতে পারে। কারন টুরিস্ট ভিসা মেডিকেল ভিসা থেকে অনেক বেশি টাকা লাগে। মেডিকেল ভিসায় কম টাকা লাগে। এরকম ক্যাটাগরি ভিত্তিক টাকা কম বেশি লাগে। আবার আপনি ফ্যামিলি টুরিস্ট ভিসা করতে গেলেন আরো একটু বেশি টাকা লাগবে।

ভারতে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

ভারতে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে জানতে হবে এবং ধারণা থাকতে হবে। তা না হলে ভিসা হবে না। আপনাকে ভিসা পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। যে কোন ধরনের ভিসা যেমনঃ মেডিকেল ভিসা, বিজনেস ভিসা, টুরিস্ট ভিসা এই সকল ভিসার জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে।
ভারতের ভিসা করতে কত টাকা লাগে
কিন্তু এর আগে কিছু প্রসেস রয়েছে সেটি হল অনলাইনে ভিসা ফরম পূরণ করার আগে এর জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা লাগবে। এই যোগ্যতার শর্তগুলো জানা লাগবে। এবং আপনি যদি এই শর্তগুলো পূরণ করতে পারেন তাহলে ভারতের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যাবতীয় যোগ্যতার শর্তগুলো জানার পরে আপনাকে অনলাইনে আবেদন পূরণের জন্য http://www.ivacbd.com/এই লিংকে প্রবেশ করতে হবে। 
এই লিংকে প্রবেশ করার পরে যে যে বিষয়ে আপনাকে পূরণ করতে বলবে আপনাকে সঠিকভাবে সেই সেই বিষয়ে পূরণ করতে হবে। এইভাবে যদি আপনি পূরণ করেন তাহলে আপনার ভীর সাথে সমস্যা হবে না। আর যদি আপনি আবেদনে উল্লেখিত বিষয়গুলোর সঠিকভাবে পূরণ না করেন তাহলে আপনার ভিসা ক্যানসেল হয়ে যাবে।

ভারতের ভিসা করতে কি কি লাগে

ভারতের ভিসা করতে যা যা লাগবে সেগুলো সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। আপনি যদি ভিসা করতে কি কি লাগবে সেটি সম্পর্কে না জানেন তাহলে কিভাবে ভিসা করবেন। ভিসা করতে গেলে অবশ্যই প্রয়োজনে কিছু কাগজপত্র লাগে। যে কাগজপত্র ভিসা পুরোপুরি সম্পন্ন হবে চলুন সেগুলো সম্পর্কে জানব।
  • ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার সময় ৬ মাস মেয়াদসহ মূল পাসপোর্ট এর কমপক্ষে দুটি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে। এর সাথে পাসপোর্ট এর কপি সঙ্গে দিতে হবে। এবং আবেদনপত্রের সঙ্গে পুরনো সব পাসপোর্ট জমা দিতে হবে যদি আপনার অনেকগুলো পাসপোর্ট থাকে। এবং পাসপোর্ট অবশ্যই বৈধ হতে হবে।
  • আবেদনের জন্য পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি দিতে হবে। ছবিটির জন্য শব্দ তোলা হয় ছবিটির ১৫ থেকে ১ মাসের মধ্যে তোলা হলে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু কিছুতে তিন মাস পার হয়ে গেছে এমন কোন ছবি দেয়া যাবে না। ছবিটি অবশ্যই পাসপোর্ট সাইজের হতে হবে এবং ছবিতে পুরো ফেস কানসহ দেখা যায় এরকম হতে হবে।
  • অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি থাকতে হবে।
  • বসবাসের প্রমান সরূপ আপনি যেখানে বসবাস করছেন সে বাসার ইলেকট্রনিক বিলের কাগজ টেলিফোন বিলের কাগজ গ্যাস বা পানি বিলের কাগজ এর ফটোকপি দিতে হবে।
  • একদিনআপনি যে পেশায় আছেন সেই পেশার নাম এবং যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন সে প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কর্মকর্তার চিঠি লাগবে। এবং ছাত্রদের ক্ষেত্রে উক্ত ছাত্রের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচয় পত্র দিতে হবে।
  • আপনাকে অবশ্যই আপনার ব্যাংক বিগত তিন মাসের স্টেটমেন্ট দিতে হবে। আপনার ব্যাংকে কম করে হলেও ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা থাকতে হবে। একটু বেশি রাখাই ভালো ৩০০০০ পর্যন্ত রাখতে পারেন।
  • বিডিজি রেজিস্ট্রেশন নম্বর সহ অনলাইন ভিসা আবেদন পত্র
  • অনলাইন ভিসা আবেদন পত্রের প্রদত্ত জায়গা আবেদনকারীর ছবি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। 
  • আবেদনপত্রের সাথে পুরনো সব গুলো পাসপোর্ট জমা দিতে হবে তা না হলে ভিসা আবেদন অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হবে।

ভারতের ভিসা পেতে কতদিন লাগে

ভারতের ভিসা পেতে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ১৫ দিন লাগতে পারে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে এক মাস বা তার অধিকও লাগতে পারে। এক্ষেত্রে যাদের বেশি সময় লাগছে তাদের হয়তো ভিসার ফর্ম পূরণ করতে কোন জায়গায় সমস্যা হতে পারে। এজন্য বেশি সময় লাগতে পারে।

আপনি ভারতের যেকোনো বিষয় করুন না কেন স্টুডেন্ট ভিসা মেডিকেল ভিসা টুরিস্ট ভিসা যেটাই করুন না কেন সবগুলোই একটু সময় লাগতে পারে। তবে এক্ষেত্রে যারা মেডিকেল রয়েছেন তাদের ভিসা আর গুলো ভিসার চাইতে একটু তাড়াতাড়ি হয়। কারণ যারা মেডিকেল ভারতে যাবে তারা মূলত চিকিৎসার ক্ষেত্রে যাবে। 

তাই এক্ষেত্রে হাইকোর্ট চিকিৎসার কথা বিবেচনা করে মেডিকেল ভিসা অন্য সকল বিচার চাইতে তাড়াতাড়ি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কারণ মেডিকেল ভিসা খুবই জরুরী। আবার অনেকের এরকম আছে যে ভিসা পায় না এর প্রধান কারণ হচ্ছেন আবেদন ফর্মে সঠিক তথ্য দেয়নি এই জন্য তাদের ভিসা আসে না। তাই ভিসা তাড়াতাড়ি পাওয়ার জন্য খুব সুখ্য ভাবে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।

ভারতীয় ভিসা কত প্রকার ও কি কি

ভারতীয় ভিসা কত প্রকার ও কি কি আমাদের অবশ্যই জানা দরকার। কারণ না জানলে আমরা কোন ভিসা নিয়ে বিদেশে যাব সেটা বুঝতে পারবো না। ভারতীয় ভিসা প্রধানত ৯ প্রকার। সেগুলো হল
  • এমপ্লয়মেন্ট ভিসা
  • বিজনেস ভিসা
  • প্রজেক্ট ভিসা
  • প্রবেশ/"X" ভিসা
  • টুরিস্ট ভিসা
  • রিচার্জ ভিসা
  • ট্রানজিট ভিসা
  • কনফারেন্স ভিসা
  • মেডিকেল ভিসা
এই সবগুলো ভিসায় রয়েছে ভারতের। আমরা এক একজন এক এক ভিসা নিয়ে ভারতে যায়। কেউ চিকিৎসার জন্য। কেউ কোন কিছু রিসার্চ করার জন্য বা গবেষণার জন্য। কেউ বিজনেস করার জন্য আবার কেউ ভ্রমণ করার জন্য যায়। অনেকের অনেক ধরনের সেমিনারের জন্য যেমন আন্তর্জাতিক সেমিনার। এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলোর সেমিনার এ ধরনের অনেক সেমিনারগুলোতে ভারতের যেতে হয়।

প্রজেক্ট ভিসা এটি মূলত বিভিন্ন ধরনের বিষয়ের উপর যা হয়। যেগুলো সরকারি প্রজেক্ট যেমন বিদ্যুৎ এবং ইস্পাত খাতে প্রজেক্ট কার্যকর করার জন্য এই ধরনের সরকারি অনেক প্রজেক্ট এর জন্য এই ভিসা করা হয়েছে। এমপ্লয়মেন্ট ভিসা মূলত যারা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বা উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে এই ভিসা করে থাকেন।

ভারতীয় ভিসার অনলাইন নিবন্ধনের পরবর্তী কাজ

ভারতীয় ভিসার অনলাইন নিবন্ধনের পরবর্তীতে আপনাকে যে যে কাজ করতে হবে সেটা হল আপনাকে অবশ্যই নিবন্ধনের পর ভিসার আবেদন পেশ করতে হবে। রাজশাহী বিভাগের যারা বসবাস তারা এই ভিসা আবেদন দাখিলের জন্য রাজশাহী আইভ্যাক এবং রংপুর আইভ্যাকে করতে পারেন।

আর যারা চট্টগ্রাম বিভাগের বসবাসকারী আছেন তারা চট্টগ্রাম আইভ্যাকে ভিসা আবেদনের দাখিল করতে পারেন। আরো কয়েকটা আইভ্যা রয়েছে যেমন খুলনায় আইভ্যাক বরিশাল আইভ্যাক যশোর আইভ্যাক ময়মনসিংহ আইভ্যাক আগুন এগুলোতেও আবেদন করতে পারেন। আর যারা ঢাকা বিভাগের বসবাস করছেন তারা ঢাকা বিভাগের যমুনা ফিউচার পার্কের এই ভিসা আবেদন করতে পারেন। 

অনলাইন নিবন্ধনের পর আপনাকে অবশ্যই স্বশরীরে উপস্থিত থেকে এই ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে অবশ্যই ভিসা পাওয়ার জন্য পাসপোর্ট ভেরি হতে হবে। পাসপোর্ট ছাড়া আপনি ভিসা করতে পারবেন না। যে কোন আইভ্যাকেই যান না কেন আপনার অবশ্যই ভিসার জন্য বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।

ভারতীয় ভিসা প্রসেস ফি প্রদান

ভারতীয় ভিসা প্রসেস ফি প্রদান করার জন্য অবশেষে আপনাকে http://payment.ivacbd.com লিংকে প্রবেশ করতে হবে। প্রবেশ করার পরে আপনাকে আপনার আবেদনের জন্য নির্বাচিত হাইকমিশন নির্বাচন করতে হবে। এরপর ওয়েব ফাইল নম্বর দুইবার দিতে হবে। তারপর আবেদনের জন্য আপনাকে একটা নির্দিষ্ট আইভ্যাক নির্বাচন করতে হবে। 

এরপর আপনার ভিসা আবেদনের টাইপ নির্বাচন করে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে যেমন আপনার নিজের নাম, নাম্বার, ইমেইল আইডি যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সঠিকভাবে দিতে হবে। সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পরে অনলাইনে পেমেন্ট করতে পারবেন। 

পেমেন্ট করার জন্য আপনি মোবাইল ব্যাংকিং, রকেট, বিকাশ, মাই ক্যাশ, এম ক্যাশ, এগুলোর মাধ্যমেও টাকা প্রদান করতে পারবেন। আবার ইসলামী ব্যাংক এশিয়া ব্যাংক সব ধরনের ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে টাকা প্রদান করতে পারবেন। আবার ডেবিট ক্রেডিট ভিসা মাস্টার্স কার্ড এগুলোর মাধ্যমেও আপনি ভারতে ভিসা প্রসেস ফি প্রদান করতে পারবেন।

ভারতীয় ভিসা আবেদন ট্রাকিং পদ্ধতি

ভারতের ভিসা আবেদন ট্রাকিং পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি আপনার ভিসা আবেদন ট্র্যাকিং করতে পারবেন। আপনার আবেদন জমা দেওয়ার পরে আপনি এই ভিসা আবেদন ট্র্যাক করবেন যেভাবেI VAC ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করতে হবে। এরপর ভিসা স্টাটাস ট্রাকিং বিভাগে নেভিগেট করুন। এপ্লিকেশন রেফারেন্স নাম্বার এবং পাসপোর্ট নম্বর লিখে ট্র্যাক অ্যাপ্লিকেশন বোতাম ক্লিক করতে হবে।

এরপর আপনাকে উক্ত ওয়েবসাইট থেকে ট্রাকিং পদ্ধতিটি সঠিক আপনার আবেদনকে সফলভাবে গৃহীত হয়েছে বলে জানাবে। এবং আপনার আবেদন বর্তমানে কর্তৃপক্ষ দ্বারা পর্যালোচনা করা হচ্ছে এটি জানাবেন এরপরে সবকিছু কমপ্লিট হওয়ার পরে আপনাকে অভিনন্দন জানাবে। আপনি ভিসা আবেদনের জন্য অনুমোদন পেয়েছেন এটি জানাবে। 
ভারতের ভিসা করতে কত টাকা লাগে
আবার দুর্ভাগ্যবশত আপনার আবেদনটি অনুমোদন করা হয়নি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে কিন্তু কেন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এটি পরীক্ষা করতে হবে এবং প্রয়োজনে পুনরায় আবেদন করার কথা বলবে।এভাবে আপনি আপনার ভিসা আবেদন ট্রাকিং পদ্ধতি অনুসরণ করে ট্র্যাকিং করে নিতে পারবেন। ভিসা আবেদন ট্র্যাকিং করা খুবই জরুরী যা আপনার নিয়মের মধ্যে পড়ে। তাই সঠিকভাবে আবেদনটির ট্রাকিং করুন।

ভিসা প্রত্যাখ্যান হলে আপনি আশা হারাবেন না।আপনার ভিসা কেন প্রত্যাখ্যান করা হলো সেটি বোঝার চেষ্টা করবেন।কারণ এটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিসা কেন প্রত্যাখানো হলো এটির জন্য আপনি কর্তৃপক্ষের কাছে প্রত্যাখিত চিঠি দিয়ে পর্যালোচনা করুন। বিষয়ে ভিসাটি প্রত্যাখিত হল সেটি সমাধান করার চেষ্টা করুন। এবং প্রয়োজন পড়লে বিশেষজ্ঞ বা আইনি পরামর্শ নিতে পারেন।

ভারতীয় ভিসা নিয়ে প্রশ্ন উত্তর পর্ব

কভারতের ভিসা নিয়ে অনেকের অনেক প্রশ্ন থাকে। কেননা সবাই সব ধরনের ইনফরমেশন গুলো জানে না। আরে ভিসা নিয়ে সঠিক ইনফরমেশনের জন্য অনেকে অনেক প্রশ্ন করে থাকে। চলুন আমরা এই প্রশ্ন উত্তর গুলো জানব।

প্রশ্নঃ ভিসা করার পূর্ব শর্ত কি?
উত্তরঃ পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ মিনিমাম ৬ মাস থাকতে হবে।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশ থেকে ভারতের ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করব?
উত্তরঃ অনলাইনের মাধ্যমে ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে
  • IVAC ওয়েবসাইট দেখুন।
  • আপনার ভিসার ধরন নির্বাচন করুন।
  • সুনির্দিষ্ট বিবরণ সহ অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করুন।
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করুন।
  • প্রস্তাবিত অর্থ প্রদানের পদ্ধতি ব্যবহার করে অনলাইনে ভিসা ফি প্রদান করুন।
প্রশ্নঃ কত ডলার পর্যন্ত নিতে পারব?
উত্তরঃ ভারতের ৫০০০ ডলার পর্যন্ত নিতে পারবেন এক কেলেন্ডার ইয়ারে। তবে আপনি ২০০ ডলার এন্ডরস করে ৩০০ ডলার নিতে পারবেন।

প্রশ্নঃ কোন পোর্ট দিয়ে গেলে আমার জন্য ভালো হবে?
উত্তরঃ আপনি কোথায় যাবেন তার উপর নির্ভর করবে আপনি কোন পোর্ট দিয়ে যাবেন।

প্রশ্নঃ বাংলা কত টাকা নিয়ে যেতে পারবে এবং আনতে পারব?
উত্তরঃ দশ হাজার টাকা নিয়ে যেতে এবং আনতে পারবেন।

প্রশ্নঃ রুপি নিতে পারবো?
উত্তরঃ না রুপি নিতে পারবেন না।

প্রশ্নঃ ডি, এস, এল, আর নিলে কোন ঝামেলা হবে?
উত্তরঃ না কোন ঝামেলা হবে না।

প্রশ্নঃ ভিসা সেন্টারে কি আমার কোন ভাইবা নিবে?
উত্তরঃ না। সকাল সকাল ভিসা সেন্টারে চলে যাবেন গেলে বাকি প্রসেস বোঝা যাবে।

প্রশ্নঃ কতদিন লাগবে ভিসা পেতে?
উত্তরঃ নরমালি তিন থেকে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে পেয়ে যাবেন। আবেদন জমা দেওয়ার পর একটা রিসিপ দিবে যেখানে আপনার পাসপোর্ট কানেকশন এর ডেট লেখা থাকবে।

প্রশ্নঃ ভিসা ফি কত?
উত্তরঃ সকল ভিসা সেন্টারের ফি এখন থেকে ৮০০ টাকা করা হয়েছে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

ভিসা পাসপোর্ট এগুলো সব কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। যে কোন মানুষেরই যেকোনো সময় দেশের বাইরে যেতে হতে পারে। আর দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট ভিসা এগুলোর দরকার পড়ে। কারণ ভিত্তা পাসপোর্ট ছাড়া বাইরের দেশের আপনাকে এলাও করবে না। 

তাই কিভাবে ভিসা করতে হয়, ভিসা করতে কত টাকা লাগে, ভিসা পাসপোর্ট করা কেন জরুরী ভিসা পাসপোর্ট করার নিয়ম এই সমস্ত কিছু সম্পর্কে আমাদের সঠিক জ্ঞান এবং ধারণা থাকতে হবে। তা না হলে ভিসা পাসপোর্ট কোনটাই হবে না। ভিসার ফরম খুবই সতর্কতার সাথে পূরণ করতে হয়। কোথাও যদি কোন ভুল ইনফরমেশন থাকে তাহলে সাথে সাথে আবেদন ফরমটি প্রত্যাখ্যান করা হয়। 

আজকে আমি এই আর্টিকেলে ভারতের ভিসা করতে কত টাকা লাগে, ভিসা করতে কি কি লাগে, ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া, ভিসা ফি এ সকল কিছু সম্পর্কে আপনাদেরকে জানিয়েছে। আশা করি আপনারা ভারতের ভিসা করতে কত টাকা লাগে এই পোস্টটি থেকে সঠিক তথ্য পেয়েছেন। পোস্টটি ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিজু ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url