নিম পাতার ব্যবহারবিধি ও ২৩টি ওষধি গুনাগুন
নিম পাতার ব্যবহারবিধি ও ২৩টি ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর
কোথাও না যেয়ে আমার এই পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন। আপনি কি নিমের সকল ধরনের ব্যবহার
ও ঔষধি গুনাগুন জানেন, হয়তো কিছুটা জানেন আবার কিছুটা জানেন না।আজকে আমি নিম
পাতার ব্যবহারবিধি ও ২৩টি ওষুধি গুণাগুণ সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আপনাদেরকে
বিশ্লেষণ করে জানাবো। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
সূচিপত্রঃ নিম পাতার ব্যবহারবিধি ও ২৩টি ঔষধি গুনাগুন জানুন
নিম সম্পর্কে কিছু সার কথা
নিম সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি জানি। কিন্তু এমন কিছু তথ্য আমাদের না জানা থাকতে
পারে যেগুলো আমাদের জানা খুবই দরকার। আজকে আমি আপনাদেরকে নিমের গাছ, নিমের পাতা,
নিমের ছাল, নিমের ফল মূলত নিমের যাবতীয় ব্যবহারবিধির সম্পর্কে আমরা জানবো। তো
সবার আগে চলুন জানি নিমগাছ আসলে কি ধরনের গাছ।
নিম গাছ হলো একটি বহুবর্ষজীবি ও চিরহরিত গাছ। এই গাছ আমাদের মানবজীবনে প্রত্যেকটা
সমস্যার সমাধানে আমরা ব্যবহার করে থাকি। এই গাছের এমন কোন অংশ নেই যেটা আমাদের
মানব জীবনের কোন কাজে লাগে না। নিম আমরা আমাদের প্রত্যেকটা সমস্যায় ব্যবহার করি।
নিম শুধু আমরা বাহিক্য সমস্যায় ব্যবহার করি না নিম আমরা ওষধ হিসেবে খেয়ে
থাকি।
মাথা থেকে শুরু করে পা অব্দি মানুষের জীবনের যত সমস্যা রয়েছে সকল সমস্যার
নিরাময় হিসেবে নিমকে আমরা ব্যবহার করি। ঔষধি গাছ হিসাবে নিমের ব্যবহারটাই বেশি
অন্যান্য ঔষধি গাছের থেকে। নিম পাতার বা নিম এর ঔষধি গুনাগুন অন্যান্য গাছের ঔষধি
গুনাগুন থেকে বহুবিধ হওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিম কে ২১ শতকের বৃক্ষ বলে
ঘোষণা করেছে। নিম স্বাদে তেতো কিন্তু এর গুনাগুন বহু।
নিম পাতার ২২ টি ঔষধি গুনাগুন
নিমপাতার ২২টি গুনাগুন সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথে থাকুন। ঔষধি গুনাগুন পেতে হলে
আমার মনে হয় নিমের বিকল্প কোন কিছুই নেই। নিমপাতার ঔষধি গুনাগুন শুনলে আপনি অবাক
হয়ে যাবেন। নিম পাতা মানুষের এত উপকারে আসে যা ধারণার বাইরে। তো চলুন নিম পাতার
ব্যবহার বিধি ও ২২টি ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে জানি।
চুলকানি বা এলার্জি নিরাময়ঃ
নিম পাতা চুলকানি বা এলার্জি নিরাময় সবচাইতে বেশি ব্যবহার করা হয়। নিমপাতার রস
বা পানি বা ওষুধ আপনি যেভাবে ব্যবহার করুন না কেন চুলকানি বা এলার্জিতে এটি
এন্টিসেপটিক হিসাবে কাজ করে। এটি শরীরের সকল প্রকার ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে
সাহায্য করে। আপনি যদি ক্ষত সারাতে চান তাহলে নিমপাতা ও ঘি একসাথে ভেজে নিয়ে
সেটি ঠান্ডা করে ক্ষততে লাগালে অতি তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।
আরো পড়ুনঃ
ডিমের পুষ্টিগুন সমূহ আলোচনা
আপনি চুলকানিতে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ একসাথে ব্লেন্ড করে আক্রান্ত স্থানে লাগালে
খুব তাড়াতাড়ি এই চুলকানি ভালো হয়ে যাবে। তাছাড়া এলার্জি বা চুলকানি হলে আপনি
কিছু নিমপাতা ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে গরম পানিতে সিদ্ধ করে ওই পানি গোসলে ব্যবহার
করলে আপনার শরীরের সকল ধরনের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হবে।
কৃমি নাশক হিসেবে নিমঃ
কৃমি নাশক হিসেবে নিমের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কৃমি ধ্বংস করতে নিম ব্যবহার করলে
আপনি অতি তাড়াতাড়ি কৃমি থেকে রেহাই পাবেন। মূলত কৃমি বেশিরভাগ বাচ্চাদের বেশি
হয়ে থাকে। আর বাচ্চাদের এই কৃমি থেকে রেহাই পেতে হলে আপনি অবশ্যই নেমের ছালের
গুড়া গরম পানির সাথে মিশে খালি পেটে খেতে দিন এক সপ্তাহ। তাহলে দেখবেন খুব
তাড়াতাড়ি কৃমি সেড়ে গেছে।
ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে নিম পাতাঃ
নিম বা নিমের পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে মহা ঔষধ।যাদের ডায়াবেটিস প্রচুর
পরিমাণে তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিম পাতার ব্যবহার করা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ।ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা রক্তের সুগার লেভেল কমাতে প্রতিদিন ভোর
বেলায় খালি পেটে নিমের নতুন যে পাতা অর্থাৎ পুঁজিপাতা রস করে খেতে পারেন। এতে
করে আপনার ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসবে।
চুলের যত্নে নিমপাতাঃ
চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার অতুলনীয়। আপনি সপ্তাহে একদিন নিম পাতা
ব্লেন্ডারের বেটে পুরো চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে গোসলের সময় ধুয়ে ফেলুন। এতে করে
আপনার চুল পড়া কমবে এবং চুল মজবুত হবে। এছাড়াও যদি আপনি নিম পাতার রসের সাথে
আমলকি ও লেবুর রস মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন এতে করেও ভালো ফলাফল
পাবেন।
খুশকি দূর করতেঃ
আমাদের প্রায় সবার মাথায় খুশকি রয়েছে। খুশকি সাধারণত এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা
ছত্রাক। আপনি কিছু পরিমাণে নিমপাতা পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে সেটি গরম
পানিতে ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর ওই গরম পানি হালকা কুসুম থাকা অবস্থায়
আপনি গোসল করে নিন। এভাবে যদি আপনি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত নিয়মিত
করতে পারেন তাহলে অবশ্যই খুশকি দূর হবে।
উকুন দূর করতেঃ
আপনিযদি উকুন থেকে রেহাই পেতে চান তাহলে নিমপাতা বেটে মাথার তালুতে ভালোভাবে
লাগিয়ে রাখুন। এরপর গোসলের সময় শ্যাম্পু করে ভালোভাবে গোসল করুন। এইভাবে যদি
নিয়ম করে ব্যবহার করতে থাকেন তাহলে উকুন থেকে রেহাই পাবেন।
রক্ত পরিষ্কারে নিমপাতাঃ
রক্ত পরিষ্কার করতে নিমপাতা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আপনার শরীরের রক্ত
পরিষ্কার এর জন্য আপনি প্রতিদিন নিমপাতার রস খেতে পারেন। এতে করে রক্ত পরিষ্কারের
সাথে সাথে অন্যান্য সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে।
জন্ডিস নিরাময়েঃ
জন্ডিস নিরাময় নিম পাতার রস ব্যাপক কার্যকরী।আপনি যদি জন্ডিসের আক্রান্ত হন
তাহলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস ও মধু মিশিয়ে খান তাহলে দেখবেন খুব
দ্রুত জন্ডিস থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
চোখের রোগ থেকে নিরাময়ঃ
আমাদের অনেকের চোখের প্রচুর পরিমাণে এলার্জি। আমরা প্রায়শই এই এলার্জির কারণে
প্রতিনিয়ত চোখ চুলকাতে থাকি। আপনি যদি চোখের এই এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে চান
তাহলে নিমপাতা ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে সেটি গরম পানিতে সিদ্ধ করে নিয়ে ওই গরম
পানির হালকা উষ্ণ করে চোখে ছিটান। এটি নিয়মিত করলে অতি তাড়াতাড়ি চোখের
এলার্জিক দূর হয়ে যাবে।
বাত ব্যথা নিরাময়েঃ
বাত ব্যথা খুবই কষ্টকর একদিন জিনিস। এটি সব ধরনের বয়সে প্রায় হয়ে থাকে। বিশেষ
করে বৃদ্ধদের এই ব্যথাটি বেশি হয়। তাই এই বাত ব্যথা নিরাময়ে করার জন্য আপনি
নিমের তেল ব্যবহার করতে পারেন। নিমের তেল বাত ব্যথার জায়গায় মালিশ করলে আরাম
অনুভব করা যায়। তবে হ্যাঁ এটি আপনাকে নিয়মমাফিক মালিশ করতে হবে কোনভাবেই ব্যথা
সেরে গেলে আবার ছেড়ে দেয়া যাবে না।
রূপচর্চায় নিম পাতাঃ
প্রাচীনকাল থেকে রূপচর্চায় নিম পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। বর্তমান আধুনিক যুগেও
নিমপাতা রূপচর্চায় নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। তবে আধুনিক যুগে কসমেটিক হিসাবে
বিভিন্ন প্রসাধনের সাথে নিম পাতার নির্যাস বা নিম গাছের ছাল শেকর নিমের সবকিছুই
প্রায় উক্ত প্রসাধনের মধ্যে অ্যাড করে মানুষের ত্বকে ব্যবহারে বিক্রয় উপযুক্ত
করা হয়েছে। ফলে এ ধরনের প্রসাধনি ব্যবহার করে আমরা সবাই উপকৃত হচ্ছি।
দাঁতের সমস্যা সমাধানেঃ
অনেকের দাঁতের অনেক সমস্যা থাকে। যেমন দাঁতের ক্ষয়, দাঁতের উজ্জ্বলতা হারিয়ে
ফেলা,দাঁতের ব্যথা, মাড়ি ফুলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে। আর এইসব সমস্যা
থেকে সমাধান পেতে হলে আপনি নিমের ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে সকল প্রকার সমস্যা
থেকে সমাধান পাবেন।
অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি কমাতেঃ
আপনার যদি অতিরিক্ত মেদের সমস্যা থাকে সমস্যা থাকে তাহলে আপনি প্রতিদিন খালি পেটে
সকাল বেলা নিম ফুলের রস করে তার সাথে লেবু ও মধু মিশিয়ে খান। এটি নিয়মিত খেতে
থাকবেন তাহলে আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।
ক্ষত ভালো করতে নিমপাতাঃ
ক্ষত ভালো করতে নিমপাতার অতুলনীয়। কেননা নিমপাতা এতটাই উপকারী যে নিম পাতার বেটে
ক্ষতস্থানে লাগালে সেটি যত পুরনো ক্ষতই হোক না কেন সেরে যায়। যেকোনো ধরনের
পোকামাকড় কামড় দিলে ওই কামড়ের জায়গায় যদি নিম পাতার রস বা নিমপাতা বেটে
দেওয়া হয় তাহলে ওই ক্ষত সেড়ে যায়।
বুকের ব্যথা ভালো করতেঃ
আমাদের অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে বা সর্দি কাশির ফলে অনেকেরই বুকের ব্যথা হয়। আর
এই বুকের ব্যথা ভালো করতে যদি আপনি নিম পাতার রস দু থেকে তিন চামচ গরম পানির সাথে
মিশিয়ে খান তাহলে আপনার বুকের ব্যথা ভালো হয়ে যাবে।
ভাইরাস জনিত রোগ সারতেঃ
মানুষের দেহেরসকল প্রকার ভাইরাস জনিত রোগ সারাতে নিম পাতার বিকল্প কিছু হতে পারে
না। প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত যত ধরনের ভাইরাসজনিত রোগ এসেছে এই সকল প্রকার
রোগে নিম পাতার ব্যবহার কে অনিবার্য করা হয়েছে। কারণ এটি সকল রোগের প্রধান ওষুধ।
ব্রণের চিকিৎসায় নিমপাতাঃ
ব্রণের চিকিৎসায় নিমপাতা একটি মহা ঔষধ। ডাক্তার পর্যন্ত সাজেস্ট করেন যদি কারো
প্রচুর পরিমাণে ব্রণের সমস্যা থাকে বা সামান্য ব্রণের সমস্যাও থাকে তাহলে আপনি
নিম পাতার রস এবং নিম পাতার পেস্ট ব্যবহার করতে বলেন। এতে করে ব্রণের সমস্যার দূর
হয়।
মশার উপদ্রব কমাতে নিমপাতাঃ
আপনার বাসায় যদি অতিরিক্ত মশার উপদ্রব হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিমপাতা পানিতে গরম
করে ওই পানি ঠান্ডা করে পুরো ঘরে ছিটিয়ে দিবেন। এর ফলে আপনার ঘরের মজার উপদ্রব
কমবে এবং আপনি ম্যালেরিয়া রোগ থেকে সহজে বেঁচে যাবেন।
পোকামাকড়ের উপদ্রব কমাতে নিমপাতাঃ
অনেকেরই ঘরে পোকামাকড়ের উপদ্রব হয়ে থাকে। এই পোকামাকড় কমাতে আপনি নিম পাতার
ব্যবহার করতে পারেন। নিম পাতা সিদ্ধ করা পানি ঘরে ছিটালে পোকামাকড় চলে যাবে।
এছাড়াও চালে পোকা ধরলে আপনি চালের মধ্যে নিমপাতা রেখে দিবেন এতে করে চালের
মধ্যেকার সকল পোকা বেরিয়ে যাবে।
ফোরা সারতে নিমপাতাঃ
ত্বকের যে কোন স্থানে ফোড়া দেখা দিলে উক্ত স্থানে নিম পাতার পেস্ট ও কাঁচা হলুদ
একসাথে মিশিয়ে লাগালে ফোড়া ভালো হয়ে যায়। এটি খুবই কার্যকারী একটি ওষুধ।
পাতলা পায়খানা ভালো করতেঃ
আপনার যদি পাতলা পায়খানা হয় তাহলে আপনি আপনার পেটের সমস্যায় নিম পাতার রস খেতে
পারেন। নিমপাতা পাতলা পায়খানা ভালো করতে কার্যকার।
অরুচির সমাধানে নিমপাতাঃ
নিম পাতার রস মুখের রুচির আনতে সাহায্য করে। কারো যদি অরজের সমস্যা থাকে তাহলে সে
নিম পাতার রস খেতে পারে। এছাড়াও নিম পাতা বেটে বরি করেও খেতে পারে। এতে করে তার
মুখের রুচি ফিরে আসবে।
লিভারের সমস্যা দূর করতে নিমপাতাঃ
নিমপাতা লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। যাদের অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠিন্য তারা
যদি নিমপাতা রস নিয়মমাফিক পান করতে পারেন তাহলে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যসহ লিভারের
সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
কীটনাশক হিসেবে নিম পাতার ব্যবহার
কীটনাশক হিসেবে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে কি আপনি জানেন? যদি না জানেন তাহলে
চলুন জানি কিভাবে কীটনাশক হিসেবে নিম পাতার ব্যবহার হয়ে থাকে। নিম এমন একটি ঔষধি
গাছ যার কোন অংশই বাদ দেয়া যাবে না। নিম পাতা ঔষধি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
আবার কীটনাশক হিসাবেও ব্যবহার করা হয়। চলুন সেই সম্পর্কে জানা যাক। নিমপাতা ১
লিটার শাবানের পানিতে বার ঘন্টা পর্যন্ত আপনি ভিজিয়ে রাখুন।
এরপর ঐই পানি স্প্রে বদলে করে আপনি আপনার যেকোন গাছে স্প্রে করতে পারেন এতে করে
আপনার গাছে থাকা পোকামাকড় মরে যাবে। এটি মূলত একটি কার্যকারী কীটনাশক
প্রক্রিয়া। এইভাবে নিম পাতার কীটনাশক মেডিসিন বানিয়ে যদি আপনি আপনার বাগানের
গাছে স্প্রে করেন তাহলে আপনার বাগানের সকল গাছের নিরাপদ থাকবে।
এবং পোকা মাকড় মরে যাবে।নিম পাতার এই কীটনাশক মেডিসিন টি যেমন
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হীন তেমনে গাছ পালার জন্য উপকারী একটি কীটনাশক। এটি গাছে
দিলে গাছের কোন প্রকার ক্ষতি হয় না। যদি কোন ভাবে এই কীটনাশক দেবার পরিমাণ বেশিও
হয়ে যায় তাতেও কোন প্রকার সমস্যা হয় না।
এবার আসি খরচের দিকে। আপনি যদি নিম পাতার এই কীটনাশকটি ঘরে বসেই তৈরি করতে পারেন
তাহলে আপনার আর বাহিরে থেকে কীটনাশক কিনে আনতে হবে না। এতে করে আপনার খরচে বেঁচে
গেল এবং স্বাস্থ্যকর একটি জৈব কীটনাশক ও আপনি পেয়ে গেলেন। এটি নিম পাতার
ব্যবহারবিধি ও ২২টি ওষধি গুনাগুন এর মধ্যে অন্যতম।
নিম পাতার উপকারিতা সমূহ
নিম পাতার উপকারিতা সমূহ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। হয়তো কেউ একটু কম আবার কেউ
একটু বেশি জানি। নিম পাতার যে শুধু ঔষধি গুনাগুনই রয়েছে এ ছাড়া নিম পাতা থেকে
আমরা কোন উপকার পায় না এটা বলা যাবে না। নিম পাতার যথেষ্ট উপকারিতা রয়েছে।
নিম্নে নিম পাতার উপকারিতা গুলো আলোচনা করা হলোঃ
নিমপাতাঃ
নিমপাতা আমরা চুলের যত্নে ব্যবহার করে এতে করে চলে যাব যে সমস্যা দূর হয়। এমনকি
শরীরের সমস্ত ক্ষত এবং অন্যান্য অসুক ভালো করাতে আমরা নিমপাতার ব্যবহার করি।নিম
পাতার রস বা নিম পাতার নির্যাস আমাদের শরীরে অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে।
নিমের ছালঃ
নিমের ছাল থেকেও আমরা যথেষ্ট উপকার পেয়ে থাকি। নিমের ছাল গুড়া করে আমরা আমাদের
নানা সমস্যার ব্যবহার করে থাকি। তাই নিমের ছালও খুবই উপকারী।
নিমের চাঃ
আমরা শরীরকে সুস্থ রাখতে নিমের চা খেতে পারি। আমরা বিভিন্ন ধরনের গ্রিন টি খেয়ে
থাকি এটি যেরকম আমাদের শরীরের নানা সমস্যার সমাধান করে এর সাথে সাথে যদি আমরা
নিমের চা খেতে পারি তাহলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে এবং সকল প্রকার রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
নিমের তেলঃ
নিমের তেল শুধু মাত্র বাত ব্যথায় কমায় না। নিমের তেল যদি আমরা যেকোনো ধরনের
ব্যথায় মালিশ করতে পারি তাহলে উক্ত ব্যথা অনেক আংশে কমে যায়।
নিমের মাজনঃ
আমরা অনেকে আছি যারা দাঁতের সুরক্ষায় নিমের ডাল থেকে দাঁত মাজনি বানিয়ে সেটি
দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করি। নিমের এই দাঁত মাজনি থেকে যেমন দাঁতের ব্যথা কমে তেমনি
দাঁতের সকল প্রকার সুরক্ষায় কাজ করে। নিমের উপকারিতা নিম পাতার ব্যবহারবিধি ও
২৩টি ওষধি গুনাগুনের আর একটি ধাপ।
নিম পাতার অপকারিতা সমূহ
প্রিয় পাঠক আপনি এর আগে নিম পাতার ব্যবহারবিধি ও ২৩টি ওষধি গুনাগুন এবং
উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছেন। কিন্তু নিম পাতারও যে অপকারিতা রয়েছে সে
সম্পর্কে কি জানেন? নিম পাতার উপকারিতার সাথে সাথে কিছু অপকারিতা রয়েছে। এতে
অবাক হওয়ার কিছুই নেই। প্রত্যেক জিনিসেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। তেমনি
নিম পাতারও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। নিম্নে এই সম্পর্কে তুলে ধরা হলোঃ
- অতিরিক্ত নিমপাতা সেবনের ফলে গ্যাস্ট্রিক বা গ্যাস ফর্ম করতে পারে।
- নিম পাতার রস বেশি পরিমাণে খেলে বমি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- যাদের প্রেসার লো তারা নিম পাতা খেলে তাদের সমস্যা হতে পারে। প্রেসার লো ব্যক্তিরা নিমপাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- প্রতিদিন সকালে খালি পেটে যারা নিম পাতার রস খান তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা বেশি হতে পারে। তাই রোজ রোজ খালি পেটে নিম পাতার রস না খাওয়াই উপযুক্ত।
- আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে নিম পাতার রস খান তাহলে আপনার সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা কমে যেতে পারে। এমনকি নিম পাতার রস যদি গর্ভবতী মহিলারা বেশি পরিমাণে পান করে তাহলে গর্বের সন্তান মারা যেতে পারে।
নিম পাতার খাওয়ার নিয়ম ও পদ্ধতি
নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম ও পদ্ধতি সম্পর্কে এক একজন এক এক ধরনের মতবাদ দিয়ে
থাকে। কেউ কেউ নিম পাতার রস খাওয়ার পরামর্শ বেশি দিয়ে থাকে। কারণ এতে অনেকে
মনে করে নিম পাতার রসে বেশি কার্যকারিতা এজন্য নিম পাতার রস খাওয়ার কথা বেশি
বলে থাকে। আবার কেউ কেউ নিম পাতার পেস্ট বানিয়ে সেটি ছোট ছোট বড়ি বানিয়ে
রোদে শুকিয়ে খেতে বলেন। এতে করে যারা খেতে পারেনা তাদের এভাবে খাওয়ার নিয়ম
বলে দেওয়া হয়।
আরো পড়ুনঃ
রাতে ঘুম না হওয়ার কারন ও তার প্রতিকার
বড়ি বানিয়ে খেলে এটি নিম পাতার রসের মত সরাসরি এত বেশি পরিমাণে তিতা লাগে
না। এই জন্য যারা বেশি তিতা খেতে পারেনা তাদের জন্য নিম পাতার বরি বানিয়ে
খাওয়ার কথা বলা হয়। শুধুমাত্র যে নিম পাতার রস এবং নিম পাতার বড়ি বানিয়ে
খাওয়া যায় সেটা নাই। নিমপাতা পানিতে জাল করে সেই পানিও খেতে পারেন। আবার
অনেকেনিম পাতার সাথে কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে রোগ নির্মময় খেয়ে থাকে।
আপনি যেভাবেই নিম পাতা খান না কেন তাতে কোন সমস্যা নেই। মোট কথা আপনি যদি
নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণে না খেয়ে আপনার জন্য যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকু
খেলে আপনি সকল প্রকার রোগের থেকে আরোগ্য লাভ করবেন। সেটি আপনি নিম পাতার রস
খান আর নিম পাতার বড়ি খান যেভাবেই খাননা কেন। এই নিয়ম ও পদ্ধতি নিম পাতার
ব্যবহারবিধি ও ২৩টি ওষধি গুনাগুন এর একটি অংশ।
নিম পাতা সংরক্ষণ পদ্ধতি
নিমপাতা সংরক্ষণ পদ্ধতি বলতে কিভাবে আমরা নিমপাতা সংরক্ষণ করব সেটাকে বোঝানো
হয়েছে। যারা আমরা গ্রামে বাস করি তাদের ক্ষেত্রে নিম পাতা সংরক্ষণ করা খুব
একটা সমস্যা হয় না। কারণ গ্রামে নিমপাতা সবসময় পাওয়া যায়। গ্রামে
প্রত্যেকটি বাড়িতে প্রায় নিম গাছ আছে। এক্ষেত্রে নিম পাতা সংরক্ষণ করা খুব
একটা কষ্ট সাধ্য হয় না।
কিন্তু যারা শহরে বাস করে তাদের ক্ষেত্রে নিম পাতা সংরক্ষণ করা অনেকটা
কষ্টসাধ্যই বলা চলে। কারণ তারা সব সময় নিমপাতা পায় না। নিম পাতা সংরক্ষণ
করার জন্য তাদেরকে বাজার থেকে নিমপাতা কিনতে হয় বা গ্রাম থেকে নিমপাতা
সংরক্ষণ করে রেখে দিতে হয়।
আরো পড়ুনঃ জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়
তো যাই হোক যে যেখানেই থাকুন না কেন শহরে বা গ্রামে নিমপাতা যদি আপনি
সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন তাহলে আপনি নানা উপকার পেয়ে থাকবেন এটি
থেকে। কারণ নিম পাতার ব্যবহারবিধি ও ২৩ টি ঔষধি গুনাগুন পেতে হলে আপনাকে
অবশ্যই নিমপাতা সংরক্ষণ করতে হবে। নিম পাতার সংরক্ষণ পদ্ধতিঃ
- নিমপাতা আপনি যদি বছর সাল বাসায় সংরক্ষণ করে রাখতে চান তাহলে প্রথমে গাছ থেকে নিমপাতা পেড়ে নিমপাতা ছাড়িয়ে নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে হাফ চামচ লবণ কথাগুলোর সাথে মিশিয়ে নিয়ে করাই ভালোভাবে নেড়েচেড়ে ভেজে নিন। আপনাকে পাতাগুলো এমন ভাবে ভাজতে হবে যাতে পাতাগুলো পুড়ে না যায়। তারপর ভাজা হয়ে গেলে পাতাগুলোকে একটু ঠান্ডা করে গুঁড়ো করে কাঁচের বয়ামের মধ্যে ভরে রেখে দিন। এতে করে নিম পাতার গুঁড়ো অনেকদিন সংরক্ষিত থাকে।
- আপনার আশেপাশে যদি নিমপাতা না থাকে তাহলে আপনি বাজার থেকে নিমপাতা কিনে নিয়ে এসে ভালোভাবে পানিতে ধুয়ে নিয়ে সেটি নরমাল ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন এতে করে আপনি সপ্তাহখানেকের বেশি পাতাগুলো সংরক্ষণ করতে পারবেন।
- আপনি যদি নিমপাতার তেল সংরক্ষণ করতে চান তাহলে নেম ১৫০ গ্রাম থেকে ১৮০ গ্রাম পর্যন্ত নিমপাতা ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে সেটি ব্লেন্ডারের ব্লেন্ড করে ৫০০ গ্রাম খাঁটি নারিকেল তেলের সাথেজাল করে আপনি যে ছেকে নিয়ে কাচের বোতলে সংরক্ষণ করতে পারেন। এই তেল সকল প্রকার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।
- আপনি যদি নিম পাতার সাবান বানাতে চান তাহলে পরিমাণ মতো নিমপাতা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে অল্প পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে তার সাথে জেল যুক্ত সাবান ব্লেন্ড করে একসাথে গরম পানির আছে নিম পাতার ব্লেন্ড এবং ব্লেন্ড করা সাবান তাপে গরম করে নিন। এরপর ছোট ছোট বাটির মধ্যে ঢেলে সেটি ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন। তারপর দেখবেন সুন্দরভাবে সাবানে পরিণত হয়ে গেছে। এইভাবে আপনি নিম পাতার সাবান তৈরি করে সংরক্ষণ করতে পারবেন।
নিমের চাষাবাদ প্রক্রিয়া
নিম একটি ঔষধি ও উপকারী বৃক্ষ। প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতেই নিমগাছ আছে। কিন্তু
যাদের বাড়িতে বা বাসায় নিম গাছ নেই তারা নিমগাছ লাগাবেন। আপনারা যদি নিম পাতার
ব্যবহারবিধি ও ২৩টি ওষধি গুনাগুন পেতে চান তাহলে অবশ্যই এই গাছটি লাগাবেন। এই
গাছটির রোপন করার উত্তম সময় হচ্ছে জুন মাসে অর্থাৎ বর্ষাকাল। কারণ বর্ষাকালেই এই
কাজটি রোপন করার বিশেষ সময়।
এই সময় আপনি বাসার ছাদের জন্য টবের মধ্যে অথবা আপনার যদি কোন জায়গা থাকে তাহলে
সেখানে সরাসরি বীজ রোপন করুন। এই গানটি সব ধরনের মাটিতেই রোপন করা যায়। বীজ রোপন
করা হয়ে গেলে এই বৃষ্টি থেকে আস্তে আস্তে চারা গজাতে শুরু করবে। এই গাছটি যে কোন
জায়গায় হয়। শুধু একটু যত্ন নিলে গাছটি সুন্দরভাবে বেড়ে উঠবে।
একটি নিমগাছ ভালোভাবে সারযুক্ত ভাবে বড় হতে প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর লাগে। নিম
গাছের থেকে সব ধরনের উপকার আসে। এটা থেকে যেমন ওষুধে গুণাগুণ পাওয়া যায় তেমনি
এটা থেকে আসবাবপত্র বানানো যায় এবং এটি যদি বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করা হয় তাহলে
এটি থেকে মোটা অংকের টাকা ও পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ মুলতানি মাটির ব্যবহার করার নিয়ম
নিম কাঠ খুবই শক্ত হয় বলে এটি দিয়ে ঘরের আসবাবপত্র বানানো হয়। এটি
যেহেতু একটি ওষুধি গাছ ফলে এই গাছের অ্যান্টিসেটিকের পরিমাণ বেশি থাকে যার কারণে
এই গাছের কাঠে কখনো ঘুনে ধরে না। আপনি যদি চান তাহলে নিম গাছের চাষাবাদ করে আপনিও
অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন। কেননা এর ব্যবহার বহুবিধ।
নিম পাতার সম্পর্কে প্রশ্ন পর্ব
নিম পাতার সম্পর্কে প্রশ্ন পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে আলোচনা এই জন্য করা হয়
যাতে করে আপনারা নিম পাতা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে সেটি সঠিকভাবে বুঝতে
পারেন। তা আজকে আপনাদের জন্য নিম পাতার সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর তুলে ধরা
হলোঃ
প্রশ্নঃ নিম পাতার রস খেলে কি উপকার হয়?
উত্তরঃ নিয়মিত নিম পাতা খেলে রক্ত চলাচলের পথ প্রশস্ত হয় এবং উচ্চ
রক্তচাপের সমস্যা থাকলে তা নিয়ন্ত্রিত হয়। এছাড়াও দৈনিক নিমপাতা গ্রহণ করতে
পারলে এটি শরীরে হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এবং সকল প্রকার এলার্জি
নিরাময়ে সাহায্য করে।
প্রশ্নঃ নিমপাতা কি কিডনির জন্য ক্ষতিকর?
উত্তরঃ নিম পাতা এতসব উপকারী গুণের সঙ্গে এর ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে।
যেমন যদি কারও কিডনি লিভারের সমস্যা থাকে তবে পরামর্শ ছাড়া নিম পাতা খাওয়া
যাবে না। কারণ এতে লাভের চেয়ে ক্ষতির দিকই বেশি।
প্রশ্নঃ প্রতিদিন কয়টি নিম পাতা খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ প্রতিদিন নিমপাতা দিনে একবার চার থেকে পাঁচটি খাওয়া উচিত। এবং
নিমের রস দু থেকে চার চামচ ডিমের দুবার। ও নিমের ক্যাপসুল ১ থেকে ২ ক্যাপসুল
দিনে দুইবার। এভাবে করে খাওয়া যাবে ।
প্রশ্নঃ কাঁচা নিমপাতা চিবিয়ে খেলে কি হয়?
উত্তরঃ কাঁচা নিমপাতা রোজ সকালে উঠে খালি পেটে চিবিয়ে খেলে তা হজমের
সমস্যা থেকে রেহাই দেয় এবং হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
প্রশ্নঃ নিমপাতা আর কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয়?
উত্তরঃ নিম পাতার কাঁচা হলুদ মুখে দিলে, মুখের ব্রণ ও ব্রনের দাগ দূর
হয়ে যায় এবং ত্বকের রং উজ্জ্বল ফর্সা করতে যথাযথভাবে কাজ করে।
প্রশ্নঃ নিম তেল সরাসরি ত্বকে লাগানো যাবে কি?
উত্তরঃ নিম তেল সব ধরনের ত্বকের দৈনিন্দ্য ত্বক এবং চুলের যত্নে এটিকে
সঠিকভাবে প্রাপ্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান দিয়েছে। এটি সম্পূর্ণভাবে অবিশাক্ত এবং
বাহিক্য ব্যবহারের জন্য নিরাপদ। ব্রণের চিকিৎসা থেকে শুরু করে দাগ অপসারণ এবং
এন্টি এজিং বৈশিষ্ট্য নিমের তেল ত্বকের জন্য নানাভাবে উপকারী।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিম পাতার ব্যবহারবিধি ও ২৩টি ওষধি গুনাগুন
নিয়ে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছি। নিমপাতার এবং নিমের সকল ব্যবহার বিধি ও গুণাগুণ
যাতে আপনারা ভালোভাবে জানতে পারেন সেই জন্য এর সকল প্রকার ভালো-মন্দ আপনাদের
সামনে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেছি। কোনভাবেই যাতে আপনাদের নিম সম্পর্কে কোন কিছু
অজানা না থাকে সে চেষ্টাই করেছি।
তাই যদি এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালোলাগার বিষয় হয়ে ওঠে তাহলে আপনি এই পোস্টটি
সম্পর্কে কমেন্টস করতে ভুলবেন না। এই বিষয়ে যদি আরো কোন প্রশ্ন থাকে অবশ্যই
আমাকে জানাতেও ভুলবেন না। আর যদি আমার পুরো আর্টিকেলে কোথাও কোন লেখায় ভুল হয়ে
থাকে সেটি আমাকে অবগত করবেন। ধন্যবাদ।
রিজু ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url