গর্ভাবস্থায় সফেদা খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় সফেদা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আজকে আমরা জানবো।গর্ভাবস্থায় একজন
মা তার খাবার তালিকায় সব সময় পুষ্টি গুনে ভরা খাবার রাখে। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতীকে
ডাক্তার তাজা ফল খেতে বলেন। কেননা পুষ্টিযুক্ত খাবার শিশুর বিকাশে সহায়তা করে।
গর্ভবতী মায়ের ক্ষেতরে সফেদা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার।এতে ভিটামিন এ,
ভিটামিন সি, পটাশিয়া, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি গর্ভবতী মায়ের জন্য
সুপারফুড।
সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় সফেদা খাওয়ার উপকারিতা সমূহ
- তাৎক্ষণিক এনার্জি বৃদ্ধিতে সফেদার উপকারিতা
- হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সফেদার উপকারিতা
- ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে সফেদার উপকারিতা
- সফেদা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সফেদার গুরুত্ব
- ঠান্ডা কাশি মাথা ব্যথায় সফেদার উপকারিতা
- রক্তশূন্যতা কমাতে সফেদার উপকারিতা
- মানসিক চিন্তা দূর করতে ও ত্বকের উজ্জ্বলতায় সফেদার উপকারিতা
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সফেদার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় সফেদা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
তাৎক্ষণিক এনার্জি বৃদ্ধিতে সফেদার উপকারিতা
তাৎক্ষণিক এনার্জি বৃদ্ধিতে সফেদার উপকারিতা অনেক। কেননা সফেদায় সুক্রোজ বেশি
থাকে। তাই এটি তাৎক্ষণিক এনার্জি বাড়াতে সহায়তা করে। তাই গর্ভাবস্থায় সফেদা
খাওয়া উপকারী।গর্ভবস্থায় গর্ভবতী মহিলাকে সবসময় শারীরিক দিক দিয়ে এনার্জিটিক
থাকা জরুরী। শরীর দুর্বল থাকলে গর্ভবতী মহিলার পক্ষে চলাফেরা করতে সমস্যা
হবে।
আরো পড়ুনঃ
গর্ভাবস্থায় কদবেল খাওয়ার ৫টি উপকারিতা
গর্ভবতী মহিলার সবসময় আনার্জেটিক থাকা দরকার। কারণ গর্ভবতী মহিলা গর্ভাবস্থায়
আনার্জেটিক না থাকলে তার গর্ভের সন্তানের বিকশ সঠিক ভাবে হবে না। এই জন্য গর্ভবতি
মহিলাকে এই অবস্থায় বেশি বেশি ভিটামিন জাতীয় ফল মূল খেতে হবে। এই সব ভিটামিন
জাতীয় ফলে রয়েছে এনার্জি বাড়ানোর ক্ষমতা।
এই সব এনার্জি জাতীয় ফলের মধ্যে সফেদা অন্যতম। সফেদায় প্রচুর
পরিমানে সুক্রোজ ভিটামিন রয়েছে।সফেদা খুবই পুষ্টিগুণে ভরা একটি ফল।
এই জন্য চিকিৎসকরা গর্ভকালীন অবস্থায় খেতে পারে। গর্ভবতী মা দুর্বল থাকলে
বাচ্চাও দুর্বল হয়। গর্ভবতী মাকে সবসময় এনার্জেটিক থাকতে হয় বাচ্চা ও
নিজের জন্য।
হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সফেদার উপকারিতা
হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সফেদার উপকারিতা যথেষ্ট কাজ দেয়।।গর্ভাবস্থায় গর্ভবতীদের
হজমের সমস্যা হয়। আর হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সফেদা গুরুত্তপূর্ন। হজম শক্তি
বৃদ্ধির কারনে খাবারে রুচি আসে। গর্ভবস্থায় খাবারের রুচি থাকাটা প্রয়োজন। হজম
শক্তি বৃদ্ধিতে সফেদার ভূমিকা অন্যতম। স্বাভাবিক মানুষেরই হজমের সমস্যা হয়।
আরো পড়ুনঃ
গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকার নানা বিষয়
স্বাভাবিক মানুষ নানা কারণে তার হজমের সমস্যা হয়। আর গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী
মায়ের হজমের সময়সহ হতে পারে। হজমের সমস্যা হলে গর্ভবতী মায়ের নানা সমস্যা হতে
পারে। তাই গর্ভবতি মাকে সবসময় খাবার বেঁচে খেতে হয়। যাতে গর্ভাবস্থায় তার
কোন হজমের সমস্যা যাতে না হয়। এই হজম সমস্যা এড়াতে চিকিৎসকের পরামর্শ
নিতে পারে।
গর্ব অবস্থায় চিকিৎসকও নানা ধরনের ফল খেতে বলে। এরমধ্যে কিছু ফল মূল
চিকিৎসক খেতে বারণ করে আবার কিছু ফলমূল কত পরিমান খেতে হবে সেটাও বলে দেয়। আমার
মতে হজম শক্তি বৃদ্ধিতে হবে তার গুনাগুন অনেক বেশি থাকলেও চিকিৎসকের পরামর্শ
অনুযায়ী অপেক্ষা কতটুকু খেতে পারবেন কতটুকু খেলে হজম শক্তি বাড়বে সেটা জেনে
নেওয়া দরকার।
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে সফেদার উপকারিতা
ক্যালসিয়াম ঘাটতি পূরণের সফেদার উপকারিতা প্রচুর। সফেদায় রয়েছে প্রচুর
ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম এবং আয়রন।ক্যালসিয়াম পূরণে সফেদা একজন মায়ের শরীরে সঠিক
মাত্রা পূরণে সহায়তা করে। গর্ভাবস্থায় সফেদা খাওয়ার উপকারিতা কতটা একজন মায়ের
জানা দরকার।
গর্ভবতী মহিলার শরীরে গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে সফেদা
অন্যতম। এই অবস্থায় গর্ভবতী মহিলা প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ
অনুযায়ী সফেদা খেতে পারলে তার শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা অনেকটা
পূরণ হবে। অনেক সময় ক্যালসিয়ামের অভাবে শরীরের হারে ক্ষয় হয়। তাই
শরীরের হাড়ের ক্ষয় পূরণে ক্যালসিয়ামের প্রচুর প্রয়োজন।
আরো পড়ুনঃ
ডিমের পুষ্টিগুন সমূহ আলোচনা
আর গর্ভবতী মায়ের জন্য আরও বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন। যদি তার শরীরে
ক্যালসিয়ামের প্রচুর ঘাটতি থাকে তাহলে বাচ্চাও ক্যালসিয়ামহীনতায় ভুগবে। আর
ক্যালসিয়ামহীনতায় ভুগলে গর্ভাবস্থায় মায়েরও সমস্যা এবং বাচ্চারা ও সমস্যা।
বাচ্চা শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করার জন্য এই সময় গর্ভবতী মহিলাকে
ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেতে হবে।
সফেদা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
সফেদা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সফেদা গুরুত্তপূর্ন
ভূমিকা পালন করে বলে গর্ভবতী মহিলাকে সবেদা খাওয়া প্রয়োজন। সফেদায় প্রচুর
পরিমানে ম্যাগ্নেসিয়াম ও পটাশিয়াম থাকার কারনে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণে থাকলে মা ও শিশু উভয় ভালো থাকে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকা মানে শরীরের
অর্ধেক সমস্যার সমাধান।
গর্ভাবস্থায় সফেদা খাওয়ার উপকারিতার সম্পর্কে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে
হবে। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলাকে যে কোন খাবার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। যাতে তার
এবং তার শরীরের বেড়ে ওঠার বাচ্চার শরীরে যত কোন সমস্যা দেখা না দেয়। রক্ত
নিয়ন্ত্রণ যদি ঠিক না থাকে তাহলে গর্ভবতী মহিলা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে।
গর্ভবতী মহিলার শরীরে রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে বাচ্চা শরীরে
এই সমস্যা দেখা দিবে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরী। উচ্চ রক্তচাপের
কারণে যেকোনো সময় প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারে এমনকি গর্বকালিন অবস্থায় এই উচ্চ
রক্তচাপ দেখা দিলে গর্ববতি মহিলার ব্রেনে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সফেদার গুরুত্ব
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সফেদার গুরুত্ব বলে শেষ করা যাবে না। সফেদাতে রয়েছে এন্টি
অক্সাইড যা কোষ্ঠকাটিন্য থেকে বাচাতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি ডায়রিয়া দূর করতে
সাহায্য করে। সফেদা গরম পানিতে ফুটিয়ে খেলে ডায়রিয়া কমায়।গর্ভাবস্থায়
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে গর্ভবতী মহিলা দুর্বল হয়ে পড়বে।
কারণ অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে শরীর থেকে রক্ত বের হয়ে যায়। অনেক
জ্বালাপোড়া করে। আর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে শরীর পুষ্টিহীনতার পুষ্টিহীনতায়
ভোগে। পুষ্টিহীনতা ফলে গর্ভবতী মহিলার সন্তান প্রসবের সময় নানা জটিলতার সম্মুখীন
হতে পারে।অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে গর্ভপাত হতে পারে।
সফেদায় রয়েছে অ্যান্টি অক্সাইড।অ্যান্টি অক্সাইড শরীরের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় সফেদার ভূমিকা সফেদা হজম
শক্তি বৃদ্ধি করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাই বলা যায় গর্ভাবস্থায় সফেদা
খাওয়ার উপকারিতা হলো এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
ঠান্ডা কাশি মাথা ব্যথায় সফেদার উপকারিতা
ঠান্ডা কাশি মাথা ব্যথায় সফেদার উপকারিতা অনেক। গর্ভবতী মহিলা এসময় কাশি
দূর ও মাথা ব্যথা দূর করার জন্য সফেদা খেলে উপকৃত হবে।সফেদা নাকের মধ্যের শিরা
থেকে বা ধমনি থেকে মিউকাজ সরাতে সাহায্য করে। সফেদা ঠান্ডার সকল সমস্যার সমাধান
করে এবং মাথা ব্যথা দূর করে। এজন্য গর্ভাবস্থায় সফেদা খাওয়া উপকারি।
গর্ভকালীন অবস্থায় গর্ভবতী মহিলার বিনা কারণে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের
ঔষধ সেবন করা একদম বারণ করেছে বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই সময় গর্ভবতী মহিলার সাথে তার
বাচ্চার অতপ্রতভাবে কানেকশন রয়েছে। এই মুহূর্তে গর্ভবতী মহিলা যদি কোন ধরনের
ওষুধ সেবন করে তাহলে সেটি প্রভাব ফেলবে তার বাচ্চার উপর।
যদিও ঠান্ডা কাশি ব্যথা খুব সাধারণ সমস্যা কিন্তু গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে এটিও
অনেক বড় সমস্যা। তাই তাকে খুব সাবধানতার সাথে চলতে হয়। গর্ভবতী মহিলার যদি
ঠান্ডা কাশি ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে পরিমাণ অনুযায়ীদা সফেদা খেতে পারে। কারণ
সফেদা ঠান্ডা কাশি ব্যাথা সারতে সাহায্য করে।
রক্তশূন্যতা কমাতে সফেদার উপকারিতা
রক্তশুন্যতা কমাতে সফেদার উপকারিতা অপরিহার্য। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতি মহিলার শরীরে
বেশি পরিমানে আইরন থাকা দরকার। সফেদার মধ্যে আইরনের পরিমান বেশি থাকে যা শরীরে
আইরনের পরিমান বৃদ্ধি করে।লোহিত রক্ত কনিকা তৈরি করতে সাহায্য করে। সফেদা রক্ত
কনিকা কোষ তৈরিতে সাহায্য করে এবং অ্যানিমিয়া ধরনের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
গর্ভাবস্থায় কোনভাবেই রক্তশূন্যতায় ভোগা যাবে না। রক্তশূন্যতা ফলে শরীরের সকল
ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। ফলে গর্ভপাত হতে পারে। এমনকি গর্ভবতী মহিলার মৃত্যুর
কারণও ঘটতে পারে।রক্তশূন্যতা হলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। শরীর দুর্বল হলে যাদের
প্রেসারের সমস্যা তাদের যেকোনো সময় প্রেশার নেমে যেতে পারে।
প্রেসার নেমে গেলে শরীরে শক্তি কমে যায় মাথা ঘোরে। হাত-পা ঝিমঝিম করে অর্থাৎ
শরীরের ঝি ঝি বেশি করে। ফলে সে শারীরিকভাবে অনেক দুর্বল হয়ে পড়বে। শরীর দুর্বল
হওয়া মানে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে।সফেদা শরীরের রক্ত কণিকা তৈরি করতে
সাহায্য করে যা রক্তশূন্যতা পূরণ করে। তাই এই রক্তশূন্যতা দূর করতে হলে
সফেদা খাওয়া অপরিহার্য।
মানসিক চিন্তা দূর করতে ও ত্বকের উজ্জ্বলতায় সফেদার উপকারিতা
মানসিক চিন্তা দূর করতে ও ত্বকের উজ্জ্বলতায় সফেদার উপকারিতা। গর্ভাবস্থায়
বেশির ভাগ মহিলাই ট্রেসে ভোগে। এসময় তারা নানা বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করে যা
গর্ভের শিশুর উপর প্রভাব ফেলে। সফেদা ফলটি খাওয়ার ফলে গর্ভবতীর স্নায়ু থান্ডা
রেখে মানসিক দূশ্চিন্তা কমায় এবং শিশুর বিকাশে সাহায্য করে।এটি মানসিক
প্রশান্তি বাড়ায়।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স এর উপকারিতা
সফেদায় প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি রয়েছে।ভিটামিন সি যেকোনো রোগ প্রতিরোধের সহায়
হিসেবে কাজ করে। গর্ভবতী মহিলার বেশি পরিমানে ভিটামিন সি জাতীয় ফল খাওয়া উচিত।এই
জন্য গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমান মত সফেদা খাওয়া উচিত।
গর্ভাবস্থায় গর্ভবতীর শরীরে হরমোনের পরিবর্তন হয় যার কারনে ত্বকে নানা সমস্যা
দেখা দেয়। তাই সফেদা খেলে ত্বক ভালো থাকে। এই সফেদাই বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের
সাথে সাথে ভিটামিন ই আসে ।মূলত সফেদার মধ্যেকার থাকা ভিটামিন ই ত্বকের পরিচর্যা
করে। তাই গর্ভাবস্থায় ত্বক ভালো রাখার জন্য খাবার তালিকায় সফেদা রাখা দরকার।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সফেদার উপকারিতা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সফেদার উপকারিতা অপরিহার্য।সফেদা রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন সি ভিটামিন ই এবং আইরন।এছাড়াও রয়েছেন আন্টি অক্সিডেন্ট। আমাদের
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে দরকার প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি জাতীয়
খাবার খাওয়া। ভিটামিন সিম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ব্যাপকভাবে
সাহায্য করে।
সফেদা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ। এই জন্য সফেদা
খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। সফেদা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম।
এছাড়াও সবেদাতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই বলা যায় গর্ভাবস্থায়
সফেদা খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলা সফেদা খেলে তার শরীরে রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি পাবে।
ফলে গর্ভবতী মহিলার গর্ভে বাচ্চাও পুষ্ঠ ও পরিপূর্ণ বিকাশ লাভ করবে।একজন গর্ভবতীর
জন্য সুস্থ থাকাটা খুবই জরুরী।গর্ভবতী মহিলা যদি সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকে তাহলে
তার গর্ভের সন্তানও সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে উঠবে।এবং গর্ভবতী মহিলা তার
সন্তানের তখন ডেলিভারি সময়ও কোন সমস্যায় পড়বে না।
সফেদা খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
সফেদা খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। গর্ভাবস্থায় সফেদা খাওয়ার উপকারিতা যেমন রয়েছে
তেমনি কিছু অপকারিতা বা পার্শপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। সফেদা একটি পুষ্টি গুনে ভরা ফল
হলেও গর্ভাবস্থায় এটি সঠিক পরিমানের তুলোনায় বেশি খেলে গর্ভবতীর সমস্যা হয়।
সমস্যা গুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো।
- অতিরিক্ত পরিমানে এটি খেলে ওজন বেড়ে জেতে পারে। যা গর্ভবতীর জন্য ঠিক না।
- গর্ভাবস্থায় কাচা সফেদা খেলে গর্ভবতী মায়ের গলা বুক জ্বলতে পারে। এবং শ্বাস কষ্ট হতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় সফেদা বেশি পরিমানে খেলে বদহজম হয়।
- এটি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেলে পেটে ব্যথা করে।
সফেদা থেকে সঠিক পুষ্টি পাবার জন্য একজন গর্ভবতী মায়ের দিনে ১০০ থেকে ১২০ গ্রাম
সফেদা খাওয়া উচিত। তবে কিছু কিছু সময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে
হয়।গর্ভাবস্থায় সফেদা খাওয়ার উপকারিতা পেতে হলে উক্ত নিয়ম মেনে চলতে হবে। যদিও
এটা পুষ্টি সম্মত কিন্ত পরিমানের তুলোনায় বেশি খাওয়া যাবে না।এটা সব সময় একজন
গর্ভবতীকে মেনে চলা উচিত।
সফেদা বাছাই ও সংরক্ষণ করার পদ্ধতি
সফেদা বাছাই ও সংরক্ষণ করার পদ্ধতি। আপনি যখন সফেদা কিনবেন তখন অবশ্যই তাজা দেখে
কিনবেন। স্পর্শ করলে শক্ত মনে হয় এমন সফেদা কিনবেন। সফেদায় যেন দাগ বা গর্থ না
থাকে। পোকা দেখে কিনতে হবে। কখনোই কুছকানো সফেদা কিনবেন না। খুব বেশি কাঁচা বা
খুব বেশি পাকা সফেদা কিনবেন না। মাঝামাঝি ধরনের সফেদা কেনার চেস্টা করবেন।
সফেদা থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টিমান পেতে হলে বাজার থেকে অবশ্যই সতেজ এবং ভালো মানের
ফল কিনতে হবে। যদি এট কাচা প্রকৃতির হয় তাহলে আপনি এটি পাকার জন্য চালের পাত্রের
মধ্যে রেখে দিতে পারে। এতে ফরমালিন সারাই সফেদা পাকে যাবে।পাকা সফেদা আপনি ৩ থেকে
৪ দিন ঘড়ে রেখে খেতে পারবেন। এমকি এটি ফ্রীজাব করেও খেতে পারেন।
কিন্তু এটি টাটকা খাওয়াটাই গর্ভবতী মহিলার জন্য উত্তম। সফেদা খুব বেশি দিন ফ্রীজে
রেখে খাবেন না। ফলটি শীতল জায়গায় রাখতে হবে।সফেদা সারা বছর পাওয়া যায় না। দুইটা
মৌসুমে এই ফলটি পাওয়া যায়। অন্যান্য ফলের তুলনাই এই ফলের দাম অনেক কম। অঞ্চল ভেদে
এই ফলের দাম একেক রকম। হাইব্রিড জাতিয় সফেদা ফলের দাম কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০
টাকা হয়ে থাকে।
গর্ভাবস্থায় সফেদা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতীকে সুস্থ থাকার জন্য ও গর্ভজাত শিশুর সঠিক বিকাশের জন্য
সর্বোচ্চ পুষ্টিমানের খাবার খেতে হয়। সকল পুষ্টিকর ফলের মধ্যে সফেদা অন্যতম।
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আপনাদের গর্ভবস্থায় সফেদা খাওয়ার উপকারিতা ও সফেদা কি
পরিমাণে খেতে হয় এর পার্শপ্রতিক্রিয়া সকল বিষয়ে জানালাম। আশা করি এই পোস্ট থেকে
আপনি অনেক কিছু জানতে পেরেছন। যদি আমার পোস্টটা পড়ে উপকৃত হন এবং ভালো লেগে থাকে
তাহলে আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।
রিজু ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url