যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়ার ১০টি বৈধ উপায়
যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়ার ১০টি বৈধ উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি
শুধু আপনার জন্য। যুক্তরাষ্ট্র অর্থাৎ আমেরিকা প্রত্যেকটি দেশের মানুষের কাছে
একটি স্বপ্নের দেশ। আর এই স্বপ্নের দেশে কে না যেতে চায়।
সব দেশের নাগরিকরাই চায় যুক্তরাষ্ট্রের মত উন্নত দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস
করতে। আর যুক্তরাষ্ট্রে যেতে হলে বৈধ উপায় যেতে হবে। আজকে যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়ার
১০টি বৈধ উপায় সম্পর্কে জানবো।
সূচিপত্রঃ যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়ার ১০টি বৈধ উপায় সম্পর্কে জানুন
- স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া যায়
- গবেষক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া যায়
- উদ্যোক্তা ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া যায়
- টুরিস্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া যায়
- রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া যায়
- এইচ ওয়ান বি ভিসাই যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া যায়
- ইবি থ্রি ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া যায়
- ডিভি লটারির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া যায়
- পারিবারিক ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া যায়
- কর্মসংস্থান ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া যায়
- লেখকের শেষ কথা
স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়া যায়
স্টুডেন্ট ভিসার যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়া যায়। মেধাবী প্রত্যেক স্টুডেন্টদেরই
স্বপ্ন যুক্তরাষ্ট্রের মতো জায়গায় থেকে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করা। যুক্তরাষ্ট্র
হচ্ছে বিশ্বের সবচাইতে অন্যতম একটি দেশ। এই দেশের শিক্ষা কার্যক্রম পৃথিবীর
সবগুলো দেশের শিক্ষাকার্যক্রম থেকে উন্নত ও আধুনিক। এইজন্য প্রায় সব মেধাবী
স্টুডেন্ট এর স্বপ্ন থাকে আমেরিকায় পড়াশোনা করে নিজে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে নিজের
উন্নত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
আরো পড়ুনঃ
ইতালিয়ান ভিসা পাওয়ার পদ্ধতি
যাতে তারা পড়াশোনা শেষে একটা সুন্দর লাইফলিট করতে পারে। কিন্তু
যুক্তরাষ্ট্রের সব শিক্ষার্থীরাই পড়াশোনার জন্য যেতে পারে না। কারণ
যুক্তরাষ্ট্রের স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য একজন স্টুডেন্টকে IELTS কোর্স
করতে হবে। IELTS কোর্স ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কোন স্টুডেন্ট ভিসা পাবে
না। চলুন এবার জানা যাক যুক্তরাষ্ট্রের স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কি কি কাগজ পাতের
দরকার
- IELTS কোর্স সার্টিফিকেট
- স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন ফরম
- বৈধ পাসপোর্ট এর ফটোকপি
- ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি
- চারিত্রিক সনদপত্র/নাগরিক সনদপত্র
- ঠিকানার জন্য প্রমাণস্বরূপ গ্যাস/পানি/বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি
- ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- করোনা ভ্যাকসিনের টিকাকার
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- মেডিকেল রিপোর্ট থাকতে হবে
যারা যুক্তরাষ্ট্রে স্টুডেন্ট ভিসায় যায় তারা অবশ্যই অনেক মেধাবী। তাই যদি
স্কলারশিপ এর মাধ্যমে স্টুডেন্টরা যুক্তরাষ্ট্রের যেতে পারে তাহলে তাদের খরচ অনেক
কমবে। যুক্তরাষ্ট্রে মূলত স্টুডেন্টরা অনার্স বা মাস্টার্স করার জন্য যায়
এছাড়াও যদি কোন স্টুডেন্টের পিএইচডি করা থাকে তাহলে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের
পড়াশোনার জন্য যেতে পারবে। তাছাড়া স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রের যেতে ৫ থেকে
৬ লক্ষ্য টাকার মতো লাগে।
আরো পড়ুনঃ
আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
যুক্তরাষ্ট্রের স্টুডেন্ট ভিসায় গেলে ওই স্টুডেন্ট এর সুবাদে তার স্ত্রী ও বা
স্বামী যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবে। এবং যুক্তরাষ্ট্রের পড়াশোনা শেষে তারা ওই দেশে
চাকরিও করতে পারবে।যুক্তরাষ্ট্র সরকার স্টুডেন্টদের জন্য সব ধরনের সুযোগ সুবিধা
দিয়ে থাকে। তাই প্রত্যেক বছরই যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রচুর
স্টুডেন্ট পাড়ি জমায়।যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়ার ১০টি বৈধ উপায় এর মধ্যে একটি।
গবেষক হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়া যায়
গবেষক হিসাবেও যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়া যায়। কেউ যদি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছে
এমন থাকে এবং তার যদি ভালো গবেষণা কাগজপত্র থাকে তাহলে সে যুক্তরাষ্ট্রের
গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বা রিসার্চ ইনস্টিটিউশন বা অরগানাইজেশন গুলো রয়েছে
সেগুলোতে গবেষণার জন্য যেতে পারবে। বা পোস্ট ডক্টর অল করার জন্য আমেরিকাতে যেতে
পারবেন। J1 ভিসায় এবং আপনার ফ্যামিলি আসতে পারে J2 ।
যে ওয়ান এবং জে টু ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে গেলেও ওই দেশের নাগরিক হওয়া
যায়। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার গবেষণার জন্য প্রায় প্রত্যেক বছরই প্রচুর লোক নেয়।
আপনি যদি ভালো গবেষণা করতে জানেন আপনার যদি গবেষণার জেনুইন কাগজপত্র থেকে থাকে
তাহলে অবশ্যই আপনি এই গবেষণাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের যেতে পারেন। এবং
যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত ও সমৃদ্ধিশীল দেশে গবেষণা প্রতিষ্ঠায়
প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন গবেষক এর মাসে বেতন সর্বনিম্ন ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা।কিন্তু
সাবজেক্ট অনুযায়ী গবেষকদের বেতন অনেক বেশিও হতে পারে আবার কমও হতে পারে। বিশেষ
করে আইটি সেক্টরে যারা গবেষণা করেন তাদের প্রত্যেক মাসের বেতন ১৫ লাখ টাকার বেশি
হয়ে থাকে। কিন্তু এই জবের আবার রিক্স তো বেশি থাকে।
আবার যারা মেডিকেল বিষয় গবেষণা করে তাদের বেদনা অনেক থাই থাকেন। মেডিকেল গবেষক
মাসের ১০-১২ লাখ টাকার উপর বেতন পেয়ে থাকে। তাই আপনি যদি গবেষণার জন্য আমেরিকায়
যেতে চান তাহলে গবেষণা ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন। গবেষণা করার পাশাপাশি তারা
গ্রীন কাড পেয়ে যায়।
উদ্যোক্তা ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া যায়
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোক্তা ভিসা নিয়ে যাওয়া যায়। অনেকে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে
ব্যবসার উদ্দেশ্যে যেতে চান এবং যুক্তরাষ্ট্রে চাকরির ক্ষেত্রে তৈরি করতে
যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া যায়। যারা মূলত ইনভেস্টার বা উদ্যোক্তা তাদের মূল উদ্দেশ্য
হচ্ছে অন্যকে চাকরি দেওয়া বা অন্যের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। আপনি
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোক্তা হিসেবে যেতে পারেন। এবং সেখানে গিয়ে নিজের একটি
কোম্পানি তৈরি করবেন এবং সেখানে অন্যান্য লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা
করবেন।
আরো পড়ুনঃ
আমেরিকায় সর্বোনিম্ন বেতন কত
উদ্যোক্তাদের জন্য বিনিয়োগের ভালো ভালো ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে বিনিয়োগ করে তারা
সফল হবে। কিন্তু এখানে একটা জটিলতা সেটি হচ্ছে একজন ইনভেস্টরের কমপক্ষে পাঁচ কোটি
টাকা থাকতে হবে। কারণ সে যদি এই পাঁচ কোটি টাকা ইনভেস্ট করতে না পারে তাহলে
যুক্তরাষ্ট্রের ইনভেস্টার হিসেবে আসার অনুমতি দিবে না। যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়ার
১০টি বৈধ উপায় এর মধ্যে আরেকটি।
একজন ইনভেস্টারের যদি ৫ কোটি টাকা থাকে সে অবশ্যই সরাসরি গ্রীন কার্ড নিয়ে
যুক্তরাষ্ট্রের আসতে পারবে। এমন অনেক লোকই আছে যারা ইনভেস্টার হিসেবেবা উদ্যোক্তা
হিসেবেযুক্তরাষ্ট্রের পায়ে জমান।যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বিনয় কারীদের জন্য যথেষ্ট
ভাল ব্যবস্থা রেখেছে যাতে তারা ভালো একটা পজিশন তৈরি করতে পারে। বাংলাদেশ থেকেও
অনেক ব্যবসায়ী যুক্তরাষ্ট্রের ইনভেস্টার হিসেবে কাজ করছে সফলতার সাথে।
টুরিস্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া যায়
টুরিস্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচাইতে সুন্দর
দেশগুলোর মধ্যে একটি। এ রাষ্ট্রে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে।শুধু যে মানুষ এই
দেশে পড়াশোনা বা গবেষণা করার জন্যই আছে তা নয়। এই দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
দেখার জন্য এবং এই দেশের বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর জায়গা গুলো ভিজিট করার জন্য
প্রত্যেক বছর হাজার হাজার মানুষ এই দেশে টুরিস্ট হিসেবে আসে।
টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। তাহলে আপনি টুরিস্ট
ভিসা পাবেন। টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেও আপনি চাকরি করতে পারবেন।
এমনকি গ্রীন কার্ড ধারী ও হতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার একটি নতুন নিয়ম চালু
করেছে সেটি হচ্ছে টুরিস্ট ভিসা কেউ যদি যুক্তরাষ্ট্রে যায় তাহলে ওই ব্যক্তিও
যুক্তরাষ্ট্রের তার যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি করতে পারবে।
টুরিস্ট বিশেষ করে যাদের যুক্তরাষ্ট্রের পরিবার আছে বা চিকিৎসার জন্য বা বেড়ানোর
জন্য ওই দেশে যেতে পারে। মূলত আপনি আপনার পরিবারের সাথে দেখা করতে বা চিকিৎসা
নিতে যেতে গেল টুরিস্ট ভিসা মাধ্যমে যেতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়ার ১০টি বৈধ
উপায় এর মধ্যে আরেকটি অন্যতম উপায়। টুরিস্ট ভিসায় যাওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
হলো
- একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে
- পাসপোর্ট দিয়ে অবশ্যই ছয় মাস মেয়াদ থাকতে হবে
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি লাগবে
- নাগরিক সনদপত্র বা চারিত্রিক সনদপত্র লাগবে
- করোনা ভাইরাসের টিকা কার্ড থাকতে হবে
- অবশ্যই ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট থাকতে হবে
- মেডিকেল রিপোর্ট এর ফটোকপি
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- এনআইডি কার্ড
- বীমার কাগজপত্র থাকতে হবে
রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া যায়
রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়া যায়।যদি কেউ রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের কাছে আবেদন করে তখন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার উক্ত ব্যক্তিকে তার রাজনৈতিক আশ্রয়ের কারণ গুলো পর্যালোচনা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার তখন উক্ত ব্যক্তির রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার কারণগুলো সঠিক কিনা সে আসলেই তার নিজ দেশে হুমকির মুখোমুখি কিনা।
এই সমস্ত বিষয়ে পর্যালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার উক্ত ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে থাকেন। তবে হ্যাঁ যুক্তরাষ্ট্রের আশ্রয় পাওয়া খুবই কঠিন। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া আগেও কঠিন ছিল এখন আরও বেশি কঠিন হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক দেশ থেকে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য অনেক লোক প্রচুর আবেদন করে রেখেছে।
একজন ব্যক্তির তখনই যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক আশ্রয় পাবে।যখন সে তার আশ্রয়ের জন্য সঠিক এবং উপযুক্ত তথ্য দিতে পারবে। তা না হলে তার আবেদনটি বাতিল করা হবে। এমনকি এটাই করা হচ্ছে। যারা সঠিক তথ্য দিতে পারছে তারাই ওই দেশে আশ্রয় পাচ্ছেন এবং এভাবে তারা গ্রীন কার্ড পেয়ে ওই দেশের নাগরিকত্ব পাচ্ছেন। এবং ওই দেশের সিটিজেন হতে পারছে।
এইচ ওয়ান বি ভিসাই যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া যায়
এইচ ওয়ান বি ভিসার নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের আসা যায়। কিন্তু এইচ ওয়ান বি ভিসা কি
সেটা কি আপনারা জানেন? আসুন আমরা আগে এইচ ওয়ান বি ভিসা কি সেটা সম্পর্কে
ভালোভাবে জানব। এইচ ওয়ান বি ভিসা হল আপনাকে যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রতিষ্ঠান
চাকরির জন্য দক্ষ কিছুসংখ্যক এমপ্লয়ার দরকার পড়ে।
এবং উক্ত কাজের জন্য বাইরের দেশ থেকে যে দক্ষ এমপ্লয়ার হায়ার করে সেটি হচ্ছে
এইচ ওয়ান বি ভিসা। এটিকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বলা হয়। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের কোন
কোম্পানি তার কাজের জন্য একটা এক্সট্রা অর্ডিনারি কাউকে তার কোম্পানির জন্য
চাকরির অফার করে। আর এই চাকরির অফার নিয়ে প্রচুর লোক যুক্তরাষ্ট্রের গমন
করে।
এইচ ওয়ান বি ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাবার জন্য ইমপ্লয়ার কে স্পন্সর করতে হয়। এ
ভিসা পাওয়ার জন্য মূলত বিশেষ ক্যাটাগরির কিছু লোকজন এপ্লাই করতে পারেন। যারা
মূলত আই টি প্রফেশনাল রয়েছে তারাই মূলত এই ভিসায় পেয়ে থাকে। তাদের জন্য এই ভিসা
পাওয়া খুবই সহজ।কারণ প্রতিবছর বিদেশি কোম্পানিগুলো তাদের আইটি প্রফেশনে এক্সট্রা
অর্ডিনারি লোকদের হায়ার করে থাকে।
এছাড়াও যারা একাউন্টিং ম্যাথমেটিক্স সাইন্স রিলেটেড বিষয়ের সাথে জড়িত আছেন
তারাও এই ভিসা খুব সহজে পেয়ে থাকেন। তাই এভাবেও যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়া যায়। এবং
এইচ এম ভিসার যুক্তরাষ্ট্রের ৩ বছর মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার পারমিশন রয়েছে
এবং এটি দীর্ঘমেয়াদি করে ছয় বছর পর্যন্ত থাকতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়ার
১০টি বৈধ উপায় এর মধ্যে আরেকটি বিশেষ উপায়।
ইবি থ্রি ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া যায়
ইবি থ্রি ভিসার মাধ্যমে প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রচুর মানুষ যাচ্ছে। আপনিও ইবি
থ্রি ভিসার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের যেতে পারেন। চলুন আমরা জানি ইবি থ্রি ভিসাটা
কি। ইবি থ্রি ভিসা হল এমপ্লয়মেন্ট বেস্ট ভিসা। অর্থাৎ চাকরির সূত্রে
যুক্তরাষ্ট্রে আসা। এ চাকরি হতে পারে স্কিল বেস্ট অথবা নন স্কিল বেস্ট। অর্থাৎ
আপনি উচ্চ ডিগ্রিধারী ও হতে পারেন অথবা আপনার সেই রকম কোন ডিগ্রি নেই এরকম হতে
পারে।
বেশি পড়ালেখা ছাড়াও আপনি যুক্তরাষ্ট্রে ইমপ্লয়ার হিসেবে যেতে পারেন। এজন্য
দরকার আপনার একটি স্পনসর কোম্পানি। যে আপনাকে দুই বছরের জন্য একটা চাকরির অফার
লেটার দিবে। তখন আপনি কন্ডিশনাল গ্রীন কার্ড নিয়ে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে যেতে
পারবেন। তখন আমেরিকায় যাবার পরে পাঁচ বছর থাকার পর আপনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক
নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
যারা এবি থ্রি ভিসায় চাকরির অফার লেটার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন তারা সপ্তাহে
পাঁচ দিন করে কাজ করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের চাকরির মান খুবই ভালো এবং এখানে
বাংলাদেশের সরকারি চাকরির মত যেরকম পেনশন সিস্টেম রয়েছে ওই দেশে সরকারি চাকরির
পাশাপাশি কোম্পানি চাকরি গুলোতেও পেনশনের ব্যবস্থা রয়েছে। এবং মাস শেষে ভালো
একটা সেলারি আপনি সেখান থেকে পাবেন।
এই চাকরির বিভিন্ন ক্যাটাগরি থাকতে পারে হতে পারে সেটি রেস্টুরেন্ট এর চাকরি বা
কোন ছোটখাটো কোম্পানিতে চাকরি করতে পারেন। আপনার যদি যুক্তরাষ্ট্রের কোন বন্ধু
থাকেন বা পরিবারের কোনো সদস্য থাকে যে কোন একটা কোম্পানিতে চাকরি করছে সেই
কোম্পানিতে আপনাকে অদক্ষ কর্মচারী হিসাবে নেয়ার জন্য অফার লেটার দেয় তাহলে আপনি
এই ভিসার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন।
ডিভি লটারির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া যায়
ডিবি লটারি মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট যাওয়া যায়। সবচাইতে সহজ উপায়ে যুক্তরাষ্ট্রের
যাওয়া যায় সে উপায়টি হল ডি ভি লটারি।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডিভি লটারির মাধ্যমে
প্রতিবছর প্রচুর লোক নিয়ে আসে। তবে এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে যেসব দেশ
থেকে অলরেডি অধিকসংখ্যক লোক যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ে এসেছে সেই দেশগুলোতে বর্তমানে
ডিবি লটারি ভিসা বন্ধ আছে। বাংলাদেশ ও তার ব্যতিক্রম নয়।
কারণ বাংলাদেশ থেকে অলরেডি ডিভি লটারি এর মাধ্যমে প্রচুর লোক যুক্তরাষ্ট্রের
নিয়েছেন। ২০১২ সালের পর থেকে বাংলাদেশ থেকে ডিবির লটারির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের
লোক নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০১২ সালের আগে ডিবি
লটারির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর লোক গেছে। তাদের বেস্ট অপরচুনিটি হচ্ছে
লটারি। বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ডিভি লটারি এর মাধ্যমে যাওয়া
যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিভি লটারির জন্য যে সমস্ত যোগ্যতা থাকতে হবে সেগুলো নিম্নে
আলোচনা করা হল
- আপনাকে অবশ্যই যেকোনো একটি দেশের নাগরিক হতে হবে
- ডিভি লটারির আবেদন্টারির বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩৫ বছর এর মধ্যে
- শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম মাধ্যমিক স্কুল বা সম্মানের ডিগ্রী থাকলেই চলবে
- ইংরেজি ভাষা সম্পর্কে দক্ষ হতে হবে যাতে তারা ইংরেজি বুঝতে পারে এবং বুঝতে পারে
পারিবারিক ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া যায়
পারিবারিক ভিসা যুক্তরাষ্ট্রে আপনি খুব সহজেই যেতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্রের যার
জন্য আরেকটি সহজ উপায় হল পারিবারিক ভিসা বা ফ্যামিলি ভিসা। যুক্তরাষ্ট্রের যদি
আপনার পরিবারের কেউ থাকে বা বসবাস করেন তাহলে তার সূত্র ধরে আপনি যুক্তরাষ্ট্রে
যেতে পারবেন। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র সুযোগ দেয় ফ্যামিলিকে ইউনাইটেড করার জন্য।
যারা অলরেডি যুক্তরাষ্ট্রের বসবাস করছেন তারা তাদের ফ্যামিলিকে যুক্তরাষ্ট্রে
নিয়ে আসতে পারবে এই সুযোগ তাদের আছে। আবার যুক্তরাষ্ট্রের কোন ছেলের যদি অন্য
দেশের মেয়েকে বিয়ে করে তাকেও এই দেশে নিয়ে আসতে পারবে এবং থাকতে পারবে। এবং
অন্য দেশের কোন ছেলে বা মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ছেলে মেয়েকে বিয়ে করে তাহলে তারাও
ফ্যামিলি বিদায় যুক্তরাষ্ট্রের যেতে পারবে।
এবং সিটিজেনশিপ পেয়ে ওই দেশে স্থায়ীভাবে থাকতে পারবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
পারিবারিক ভিসার মাধ্যমে পরিবারকে ইউনাইটেড করার সুযোগ দিয়ে থাকে এভাবে। এই
ফ্যামিলি মাইগ্রেশনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচুর মানুষ যেতে যেতে পারে।
বাংলাদেশ থেকেও ফ্যামিলি ভিসার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচুর লোক স্থায়ীভাবে
বসবাস করছেন। অন্যান্য দেশের লোকরা ফ্যামিলি ভিসার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের
স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
তাই ফ্যামিলি ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার ফ্যামিলির কেউ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস
করতে হবে। হতে পারে সেই স্ত্রী বা স্বামী, ভাই বোন ছেলে মেয়ে ইত্যাদি।তো আপনার
যদি কোন রিলেটিভ যুক্তরাষ্ট্রে থাকে সে যদি আপনার জন্য আবেদন করে তাহলে আপনি ওই
দেশের পারিবারিক ভিসায় যেতে পারবেন।যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়ার ১০টি বৈধ উপায় এর
মধ্যে এটি একটি।
কর্মসংস্থান ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া যায়
কর্মসংস্থানের জন্য প্রতিবছর কর্মসংস্থান ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচুর লোক
যায়। যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে পৃথিবীর সবচাইতে উন্নত এবং সমৃদ্ধিশালী দেশ। এ দেশে
কাজের কোন অভাব অভাব নেই। আধুনিক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
তার কাজের পরিধিকে আরো বাড়িয়েছেন। প্রায় প্রত্যেক নাগরিকের স্বপ্নের দেশ হচ্ছে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা আমেরিকা।
এদেশের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা অনেক ভালো। এখানে আপনি ন্যূনতম পড়াশোনা থেকে শুরু
করে উচ্চতম ডিগ্রিধারী সকল পেশার জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া এই
দেশের যেকোনো চাকরিতে যথেষ্ট পরিমাণে সেলারি দেয়া হয় এবং পেনশন থেকে শুরু করে
যাবতীয় খরচ মার্কিন সরকার বহন করে। মার্কিন সরকার যারা কম ডিগ্রি ধারে তাদের
জন্য বেশি সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করে থাকে।
তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবছর কর্মসংস্থানের জন্য প্রচুর লোক আবেদন করে
এবং কর্মসংস্থান ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রের চলে যায়। আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রে
কর্মসংস্থানের জন্য যেতে চান তাহলে অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এম্বাসি থেকে
এই ধরনের কাজের সম্পর্কে জানুন এবং আবেদন করুন। আপনাকে যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
কোন নির্দিষ্ট কাজের জন্য অফার লেটার দিয়ে দেয় তাহলে আপনি খুব সহজে কর্মসংস্থান
ভিসার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের যেতে পারবেন।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আজকে আমি আপনাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়ার ১০টি বৈধ উপায় সম্পর্কে
জানিয়েছি। কিভাবে কোন বিষয় আপনারা সহজে যুক্তরাষ্ট্রের যেতে পারবেন সেই বিষয়ে
বর্ণনা করেছি। কোন ভিসাটি আপনার জন্য সহজ হবে সে সম্পর্কেও জানিয়েছি। আশা করি
আপনি আমার এই পোস্টটি থেকে বুঝতে পেরেছেন কি কি উপায়ে আপনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে
যেতে পারবেন। ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক দিবেন। ধন্যবাদ।
রিজু ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url