দাউদ নির্মূল করতে স্থায়ী চিকিৎসা
দাউদ নির্মূল করতে স্থায়ী চিকিৎসা সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই
পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। আপনি আমি প্রতিনিয়তই চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছি। আর
এই চর্ম রোগের মধ্যে দাউদ খুব ভয়ংকর একটি চর্মরোগ।
এই চর্মরোগ সহজে সারতে চায় না। তাই দাউদ নির্মূল করতে স্থায়ী চিকিৎসার
প্রয়োজন। দাউদ হলে কি করবেন কিভাবে এর চিকিৎসা নিবেন এই সমস্ত বিষয়ে আজকে আমি
বিস্তারিতভাবে আপনাদেরকে জানাবো।
সূচিপত্রঃ দাউদ নির্মূল করতে স্থায়ী চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন
দাউদ সম্পর্কে পরিচিত
দাউদ সম্পর্কে পরিচিত হলো দাউদ এক ধরনের সংক্রামক রোগ। এটি সাধারণত চর্মরোগ
হিসেবে পরিচিত। এটি খুবই কমন একটি ব্যাধি। এটি ছোট বড় সবারই হয়ে থাকে।
বর্তমানে বাংলাদেশে দাউদ একটি ভাইরাস রোগ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই রোগটি
প্রায় সবারই হচ্ছে। একটি ছোঁয়াচে রোগ। এটি যদি একজনের হয় তাহলে পরিবারে
অন্যান্য সদস্যদেরও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আপনি আমি সবাই জানি দাউদ কতটা
ভয়ঙ্কর একটি রোগ।
যদিও এটি প্রাণঘাতী নয় কিন্তু খুবই বেদনাদায়ক ও যন্ত্রণাদায়ক। এই রোগটি
ছোঁয়াচে বলে এ রোগ হলে আমাদের সচেতন হওয়াটাই বেশি জরুরী। কারণ এই রোগ
আপনাকে এতটাই ভোগাবে যে আপনি এক সময় এটি সম্পর্কে অতিষ্ঠ হয়ে পড়বেন। এই রূপ
যার একবার হয়েছে সে জানে এই রোগ কতটা অতিষ্ঠ কর। তাই আমাদের সবসময় সচেতন
থাকা উচিত যে কোনভাবে যাতে আমরা এই দাউদের কবলে না পড়ি। এজন্য আমাদের সবসময়
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
এবং কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। তাহলে এই রোগ সহজে হবে না। এবং এর সাথে সাথে
আরেকটি কথা মনে রাখতে হবে যে যেহেতু এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ সেহেতু এই রোগ হয়েছে
এমন কারও সংস্পর্শে থাকা যাবে না। এমনকি যার এই রোগটি হয়েছে তার
কোন কাপড়চোপড় ইউজ করা যাবে না। আপনাকে এই এই সংক্রামক রোগ থেকে
বাঁচতে হলে খুব সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হবে। যাতে করে এই রোগে আক্রান্ত না হন।
দাউদ কিভাবে হয়
দাউদ কিভাবে হয় এটা সম্পর্কে কি আমরা সবাই অবগত। হয়তোবা এ সম্পর্কে আমরা সঠিক
জানিনা কিভাবে আসলে দাওটি হয়। দাউদ একটি সুপার ফেসিয়াল ফাংগাল ইনফেকশন।
সাধারণত এটি অতিরিক্ত গরম এর সময় হয়। সাধারণত আমাদের দেশ আদ্র আবহাওয়া দেশ।
এখানে বেশিরভাগ সময় গরম থাকে। আর এই গরমে এই ধরনের ফাংগাল ইনফেকশন বেশি
হয়। এবং এটি বর্ষার সময় ও বেশি হয় কারণ এই সময় আবহাওয়া স্যাঁতসতেতে
হওয়ায় এটি বেশি হয়।
আপনি যদি অতিরিক্ত ঘেমে যান তাহলে এই ঘাম থেকে আপনার ফাংগাল ইনফেকশন গুলো
হয়ে থাকে। আপনার শরীর যখন বেশি ঘেমে যাবে তখনই এই সংক্রমণটা বেশি দেখা
দেবে। আমরা কম বেশি সবাই কর্মজীবী আমাদের কাজের জন্য বাইরে যেতে হয়। আর এই সময়
আমরা সারাদিন একটা কাপড় পড়ে থাকি। সারাদিন আমাদের শরীরের যে কাপড় থাকে সেটি
ঘেমে যাওয়ার ফলে সেখান থেকে ব্যাকটেরিয়ার তৈরি হয়।
আরো পড়ুনঃ
সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম
তাছাড়া বিশেষ করে মেয়েরা রান্না বান্না করার সময় প্রচুর পরিমাণে ঘেমে যায় আর
এই সময় তাদের এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া দেখা দেয়। এই ব্যাকটেরিয়া বিশেষ করে সাথে
সাথে ও আভ্র পরিবেশে বেশি হয়ে থাকে। আবার অতিরিক্ত টাইট ফিটিং কাপড়চোপড় পড়ার
ফলেও শরীরে এই ধরনের ফাঙ্গাস দেখা যায়। পেট ফিটিং কাপড়চোপড় পরলে শরীরে
কোন জায়গায় বাতাস চলাচল করতে পারে না ফলে এই ধরনের ফাঙ্গাস বেশি দেখা যায়।
দাউদ চেনার উপায়
দাউদ চেনার উপায় বিভিন্ন উপায় রয়েছে। দাউদ বিভিন্নভাবে হয়ে থাকে এবং এই
দাউদগুলো কিরকম আকারের হয়ে থাকে এটি দেখতে কেমন এগুলো সম্পর্কে আপনাদেরকে
জানাবো। দাউদ ত্বকের একটি ছত্রাক জনিত সংক্রামক। শরীরের বিভিন্ন
স্থানে দাউদ হয়। এটি পা থেকে মাথা পর্যন্ত যেকোনো জায়গায় হতে পারে।
তবে বিশেষ কিছু জায়গাতে এই সংক্রামক বেশি দেখা যায় সেগুলোই আপনারদের সাথে আজকে
শেয়ার করব। চলুন সেগুলো জানা যাক।
- দাউদ সাধারণত প্রথমে লাল লাল ফুসকুড়ির মত ওঠে।
- এরপর ফুসকুড়ি থেকে এটি চুলকাতে চুলকাতে বড় দানার মত বের হয়।
- এবং এই দানাগুলো আস্তে আস্তে গোল চাকার মত আকার ধারণ করে।
- গোল চাকার চারপাশে ছোট ছোট দানা এবং গোল চাকার মাঝখানে শুষ্ক থাকে।
- চারপাশের যে ছোট ছোট দানাগুলো থাকে সেগুলো অনেক চুলকায়।
- এবং এই দানাগুলো আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে।
- একটি চাকা থেকে আরেকটি চাকা বের হয় এভাবে আস্তে আস্তে এক চাকা আরেক চাকার সাথে মিশে বড় চাকায় পরিণত হয়।
- এগুলোকের রিং ফাঙ্গাস বলা হয়। এটি সহজে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
- দাউদ হলে প্রচুর পরিমাণে চুলকায় এবং চুলকানোর ফলে রোগী অনেক তৃপ্ত পায়।
কোন কোন জায়গায় দাউদ বেশি হয়
এতক্ষণ আমরা দাউদ কিভাবে হয় সেটি সম্পর্কে জানলাম। এখন জানবো কোন কোন জায়গায়
দাউদ বেশি হয়। আমি আগেই বলেছি দাউদ বিশেষ করে অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার কারণে
হয়। এবং স্যাতসেতে জায়গায় এটি বেশি হয়। অর্থাৎ ঘেমে যাওয়ার ফলে শরীরের
যে জায়গাগুলোতে ভাজ বেশি সেই জায়গা গুলোতে দাওয়াত বেশি দেখা দেয়। এবার চলুন
কোন কোন জায়গায় দাঁত বেশি হয় সেগুলো জানা যাক।
- কুঁচকিতে, বগলে, উরুতে, হাঁটুর ভাজে, গলার নিচে, কোমরের ভাজে এসব জায়গাগুলোতেই বিশেষ করে দাউদ হয়ে থাকে।
- মহিলারা অতিরিক্ত গরমে রান্না করার ফলে তাদের শরীর অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার ফলে বিশেষ করে পেটে ও সিক্রেট পোস্টগুলোতে এই সংক্রামক গুলো দেখা দেয়।
- যারা প্রতিনিয়ত মোজা পড়েন এর ফলে পায়ে আঙ্গুলের ভাজে ভাঁজে অথবা দুই আঙ্গুলের মাঝখানে এই দাউদ দেখা যায়।
- দাউদ অনেক সময় মাথার তালুতে হয়ে থাকে বা ঘাড়ে হয়ে থাকে।
- মাথায় দাউদ হলে দাউদের জায়গায় চুল উঠে যায় এবং ওইটুকু টাকলা হয়ে যায়।
আমাদের যাদের দাউদ হয়েছে তারা সবাই জানে ঠিক কোন কোন জায়গায় এই দাওয়াত গুলো
বেশি দেখা দেয়। তারপরও আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। আপনার চেনার
সুবিধার্থে। এর ফলে আপনি সহজে এই সংক্রমণ দেখা দিলে বুঝতে পারবেন। এতে করে
আপনার সচেতনতা বাড়বে এবং রোগ থেকে বাঁচার জন্য আপনি প্রয়োজনের ব্যবস্থা নেবেন
এবং চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।
দাউদ নির্মূল করতে স্থায়ী চিকিৎসা
দাউদ নির্মূল করতে স্থায়ী চিকিৎসা করতে হবে। তাহলে আপনার স্থায়ীভাবে দাউদ
নির্মূল হয়ে যাবে।আজকে আমি আপনাদের একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
তুলে ধরবো। আপনি আমি সবাই জানি যে কোন চিকিৎসার জন্য আমরা চিকিৎসকের
পরামর্শ নিব। কারণ আমরা জানি না কোন রোগের জন্য কোন মেডিসিনটা উপযুক্ত। তাই
আমাদের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হব। আপনার আমার যদি দাউদ বা যেকোনো ধরনের
চর্মরোগ হয়।
তাহলে আমরা প্রথমত একটি ফার্মেসীর দোকান থেকে মনগড়া মলম বা ওষুধ কিনে নিয়ে এসে
সেবন করি বা লাগাই। আবার অনেক সময় আমাদের বাসায় থাকা অনেক পুরনো মেডিসিন বা
আমাদের বন্ধুদের বা আত্মীয়-স্বজনের থেকে শুনে নিয়ে কোন একটা মেডিসিন কিনি এবং
আমাদের ত্বকে লাগায়। কিন্তু আমরা ভাবি না এটি আমাদের শরীরের জন্য কতটা
ক্ষতিকর। এই মলমগুলো এক ধরনের মিক্সট প্রিপারেশন অথবা পিওর পটেন্সটিও
রয়েট এই জাতীয়।
এই মলমগুলো সাধারণত একজিমার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি কোনভাবে দাউদের জন্য
ব্যবহারযোগ্য নয়। এটি যে কোন পাঙ্গাসে লাগালে এটা কিছুদিন সেরে যায় কিন্তু
আবার পুনরায় দেখা দেয় এবং এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঘটে। এই মলম গুলো
দেয়ার ফলে ক্ষতস্থানগুলো পুড়ে যায়। তাই এই ধরনের মলম দেয়া থেকে বিরত থাকুন
এবং দাউদের সংক্রমণ বুঝতে পারলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিম্নে কিছু নিয়ম
তুলে ধরা হলোঃ
- প্রথমত এই ধরনের সংক্রামক দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
- এরপর চিকিৎসক আপনার সিমটম দেখে যে ধরনের মেডিসিন বা ওষুধ সেবন ও ব্যবহার করতে বলেন সেগুলো নিয়মিত করতে থাকুন।
- চিকিৎসক যে যে নিয়ম মেনে চলতে বলে সেগুলো সঠিকভাবে মানুন।
- চিকিৎসকের দেওয়া মলম গুলো লাগানোর সময় আক্রান্ত স্থানে লাগানোর সাথে সাথে আক্রান্ত স্থানের এরিয়ার সাইটগুলোতেও লাগাবেন। এতে করে আক্রান্ত স্থানের আশেপাশে যদি রোগগুলো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেগুলো আর হবে না।
- দীর্ঘদিন এই চিকিৎসাটি নিতে থাকুন যতদিন চিকিৎসক বাদ দিতে না বলে।
- চিকিৎসকের দেওয়া মেডিসিন গুলো এক কিছুদিন লাগানোর পরে বাদ দিবেন না। এটি প্রতিনিয়ত নিয়মমাফিক লাগাতে থাকুন।
- অতিরিক্ত ঘেমে গেলে বারবার ঘামা কাপড়-চোপড় গুলো পরিষ্কার করে রোদে শুকাতে দিন।
- আক্রান্ত জায়গা ভালোভাবে পরিষ্কার করে শুকিয়ে রাখুন। কোনভাবে আক্রান্ত জায়গা স্যাঁৎস্যতে থাকা যাবে না।
- দাউদা আক্রান্ত হয়েছে এমন কারো থেকে কোন মেডিসিন শুনে লাগাবেন না। আপনার যে ধরনের দাউদ হয়েছে সেটার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসার যে ধরনের মলম লাগাতে পারে সেটি লাগাবেন। এগুলোর নিয়ম মত মেনে চললে অতি দ্রুত এটি স্থায়ীভাবে সেরে যাবে।
দাউদ নির্মূলে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন
দাউদ নির্মূলে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। এই ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো
খুবই কার্যকরী। এই ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো সঠিকভাবে নিয়ম করে লাগাতে পারলে তাহলে
আপনার দাউদ সেরে যাবে। তো নিয়মগুলো চলুন জানা যাক।
প্রথম টোটকাঃ
এক চামচ নিম পাতার পেস্ট হাফ চামচ হলুদের গুড়া এবং এর মধ্যে এক চামচ খাঁটি
নারিকেল তেল ও একটি লেবুর অর্ধেক নিয়ে সেটির রস একসাথে মিশিয়ে নিন। তারপর
দাউদের জায়গায় লাগাবেন প্রতিদিন দুবার। তাহলে এটি খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।
দ্বিতীয় টোটকাঃ
এক চামচ নিম পাতার পেস্ট হাফ চামচ হলুদের গুড়া এবং এক চামচ আদা পেস্ট এর রস এবং
এর সাথে একটি লেবুর অর্ধেক রস মেশিনে। এরপর আক্রান্ত স্থানে দিনের দুবার লাগান
নিয়মিত। তাহলে খুব দ্রুতই এটি থেকে পরিত্রাণ পাবেন।
তৃতীয় টোটকাঃ
কয়েকটি রসুনের কোয়া দুইফালা করে কেটে সেটি এক চামচ গাওয়া ঘি এর মধ্যে গরম করে
জাল করে নিন। এতে করে রসুনের মধ্যে থাকা উপাদান ঘি এর মধ্যে মিক্সড হবে। এখন এই
জাল করা ঘিটি আক্রান্ত স্থানের লাগান এবং একটু পরে এর উপর এলোভেরা জেল
লাগান। যতক্ষণ পর্যন্ত এটি লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে আক্রান্ত স্থানটি অবশ্যই
কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি নিয়মমাফিক করুন তাহলে খুব দ্রুতই দাউদ
থেকে পরিত্রাণ পাবেন।
চতুর্থ টোটকাঃ
কয়েকটি তুলসী পাতা রস করে নিয়ে ওই রসের মধ্যে সামান্য পরিমাণ লবণ ভালোভাবে
মিশিয়ে নিয়ে দাউদের ওপর লাগিয়ে নিন। আপনারা জানেন তুলসী পাতা একটি ঔষধি পাতা।
এটি মধ্যে যাবতীয় ও ঔষধি গুনাগুন রয়েছে। প্রাচীন কাল থেকে এটি ব্যবহার হয়ে
আসছে। এটি নিয়মিত ব্যবহার করুন এবং থেকে মুক্তি লাভ করুন।
পঞ্চম টোটকাঃ
আপনি ভিনেগা সামান্য পরিমাণ লবণ ও পানি দিয়ে গরম করে কুসুম কুসুম গরম পানি
আক্রান্ত স্থানে লাগান বা ব্যবহার করুন। এটি নিয়মিত করুন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি
এটি সেরে যাবে। ভিনেগার চর্ম রোগের জন্য খুবই উপকারি।
আরো পড়ুনঃ
পিনাট বাটারের বিশেষ পুষ্টিগুণ সমূহ
আমি আপনাদের জন্য পাঁচটি ঘরোয়া টোটকা বা চিকিৎসা পদ্ধতি তুলে ধরলাম। আমার
জানামতে এই টোটকাগুলো দাউদের জন্য খুবই উপকারী। আপনি যদি চান এই টোটকা
গুলো ফলো করে লাগাতে পারেন। তবে এটি নিয়মিত নিয়মমাফিক যেভাবে বলা আছে
সেভাবে লাগাতে হবে। সঠিকভাবে লাগালে অবশ্যই এই থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
দাউদ যাদের বেশি হয়
দাউদ যাদের বেশি হয় সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আমার সাথে থাকুন। দাউদ
কমবেশি আমাদের সব ধরনের মানুষেরই হয়ে থাকে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে দাউদ
বেশি হয়। যা আজকে আমি আপনাদেরকে জানাবো। নিম্নে এ সম্পর্কে তুলে ধরা
হলোঃ
- দাউদ বেশিরভাগ বিদ্ধ বয়সের মানুষের হয়ে থাকে। কারণ বৃদ্ধ বয়সের লোকদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যার ফলে দাউদ বা চর্মরোগ এ ধরনের সংক্রমণে বেশি আক্রান্ত হয়।
- যাদের শরীরে ক্যান্সারের সৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ যারা ক্যান্সারের রোগী তারা এই দাউদ রোগে আক্রান্ত বেশি হন। কারণ ক্যান্সার হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই বললেই চলে। আর তখনই এই ধরনের রোগ বেশি দেখা দেয়।
- যারা বেশি ঘেমে যায় তাদের শরীরে দাউদ বেশি হয়।
- এবং বয়স্কদের সাথে সাথে শিশুরাও এ রোগে প্রচুর আক্রান্ত হন। এ রোগ যেহেতু ছোঁয়াচে রোগ তাই এই রোগগুলোতে শিশুরাই আক্রান্ত হয় বেশি। কারণ শিশুরা সবার সংস্পর্শে বেশি থাকে।
দাউদের সবচাইতে ভালো কয়েকটি ঔষধ
দাউদের সবচাইতে ভালো কয়েকটি ওষুধ আপনাদেরকে বলবো কিন্তু এই ওষুধগুলো সবার শরীরের
ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কিনা সেটি শুধুমাত্র চিকিৎসক ভালোভাবে জানে। তাই আপনাদের
অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই ওষুধগুলো সেবন করতে হবে। কেননা একেকজনের
শরীরের রোগ এক এক রকম। এক একজনের চর্মরোগ একেক রকম হতে পারে। তাই ডাক্তারের কাছে
আপনার চর্ম রোগের সিস্টেম দেখিয়ে ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধগুলো সেবন করবেন।
তো চলুন এবার দাদার সবচাইতে ভালো কয়েকটা ঔষধ সম্পর্কে জানবো। সিস্টেমিক
ফ্লুকোনাজল সিস্টেমিক ইট্রাকোনাজল ড্যাবিনাফিন টপিকাল লুলিকোনাজল টপিকল
ট্যাবিনাফি টপিক্যাল স্ট্রাকোনাজল এমোরলফিল ইত্যাদি। এই ওষুধগুলো
দাউদের চিকিৎসার খুবই কার্যকরী। বর্তমানে এই ওষুধগুলোয় বেশি লিখে থাকেন। তবে
আপনি এগুলো খাওয়ার আগে সতর্কতা অবলম্বন করুন। আপনি না জেনে এই ওষুধগুলো
একদমই খাবেন না।
দাউদ সম্পর্কে কয়েকটি প্রশ্ন উত্তর
নিম্নে দাও সম্পর্কে কয়েকটি প্রশ্ন উত্তর উল্লেখ করা হলোঃ
প্রশ্নঃ দাউদ দূর করতে কতদিন লাগে?
উত্তরঃ সাধারণত ত্বকের ক্ষত চলে যাওয়ার চার সপ্তাহ বা দুই সপ্তাহের জন্য
চিকিৎসা করা হয়। দাউদ সাধারণত সঠিকভাবে চিকিৎসা করলে চিকিৎসার চার সপ্তাহের
মধ্যে দূর হয়ে যায়।
প্রশ্নঃ দাউদ কি সংক্রামক?
উত্তরঃ দাউদ একটি ছত্রাক সংক্রমণ যা অত্যন্ত সংক্রামক। এবং এটি মাথার ত্বক
শরীর পা বা নখে প্রভাবিত করে। দাউদ আছে এমন ব্যক্তি বা প্রাণীর সংস্পর্শে থাকলে
দাউদ ছড়ায়।
আরো পড়ুনঃ কালোজিরার ৩৭টি ঔষধি গুনাগুন ও সর্তকতা
প্রশ্নঃ দাউদের এন্টিবায়োটিক কি?
উত্তরঃ মিকোনাজল একটি ছত্রাক বিরোধী ঔষধ যার দাউ দ টিনিয়া ভারসি কালার
এবং টক বা জোনির খামির সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত। এটি শরীরের রিং ওয়ার্ম
কুঁচকি এবং পায়ের দাউদের জন্য ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্নঃ দাউদ দূর করার সাবান কোনটি?
উত্তরঃ দাউদ দূর করার একটি সাবান হল Tolnaftate 1% এন্টিফাঙ্গাল। এটি একটি
মেডিকেটেড বার সাবান।
প্রশ্নঃ দাউদ হলে কি সাবান ব্যবহার করা যায়?
উত্তরঃ দাউদ হলে সাবান ব্যবহার করা যাবে কিন্তু ডক্টর কনসালটেন্ট সাবান
ব্যবহার করতে হবে। কিটোকোনাজল ও লুলিকোনাজল এ দুটি সাবান দাউদ হলেন ব্যবহার করা
যায়। এই সাবান আক্রান্ত স্থানে মেখে ৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। আর যাদের দাউদ
হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে গোসলের ১৫ মিনিট আগে সারা শরীরে কিটোকোনাজল শ্যাম্পু
লাগাতে হবে অথবা সাইক্লোপাইরক্স শ্যাম্পু লাগাতে পারেন।
দাউদ নির্মূল করতে স্থায়ী চিকিৎসা সম্পর্কে লেখকের মতামত
প্রিয় পাঠক আজকে আমি আপনাদেরকে দাউদ নির্মূল করতে স্থায়ী চিকিৎসা সম্পর্কে
ভালোভাবে আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। আপনার
সঠিক ধারণার জন্য এই আর্টিকেলটি যথেষ্ট সহায়ক হবে বলে আমি মনে। করছি আপনি যদি
দাউদ নির্মূল করতে স্থায়ী চিকিৎসা নিতে পারেন তাহলে অবশ্যই দাওয়াত নির্মূল হয়ে
যাবে। তাই আপনার যদি দাউদ হয়ে থাকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান এবং এটির সঠিক
চিকিৎসা নিশ্চিত করুন।
এটি কোন প্রাণঘাতি রোগ নয় তবে এটির সঠিক চিকিৎসা না হলে আপনাকে দীর্ঘদিন এই
রোগের জন্য ভোগান্তি পোহাতে হবে। তো বন্ধুরা আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে
আপনাদের কেমন লাগলো সেই সম্পর্কে আমাকে অবশ্যই জানাবেন। যদি আমার আর্টিকেলটি
আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। এবং ভালো
লাগলে আমার ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন। এইরকমক স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য পেতে
আমাকে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
রিজু ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url