১০টি উপকারি ফল ও ফলের পুষ্টিগুণ

১০টি উপকারি ফল ও ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আমার এই পোস্টটি পড়ুন। আমরা নানা ধরনের ফল খাই কিন্তু কোন ফল থেকে কি পরিমান উপকার পায় এবং কোন ফলের কি পুষ্টিগুণ সবটা জানিনা। 
১০টি উপকারি ফল ও ফলের পুষ্টিগুণ
আপনি এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে ১০টি উপকারি ফল ও ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

সূচিপত্রঃ ১০টি উপকারি ফল ও ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত

কলার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা। কলা একটি সহজলভ্য ফল। এটি বাংলাদেশের সব সিজেনেই পাওয়া যায়। কলা উচ্চ ক্যালরিযুক্ত ফল গুলোর মধ্যে একটি। ১০০ গ্রাম কলা থেকে ৯০ কিলো ক্যালরি পাওয়া যায়। এছাড়া কলাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ভিটামিন ও মিনারেলস। কলার সুক্রোজ এবং ফুক্ট্রজ মানবদেহে খুব সহজে ইনস্ট্যান্টলি এনার্জেটিক করে তোলে। অন্যান্য ফলের মত এটি যথেষ্ট গুনাগুন সম্পন্ন। নিম্নে এর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা আলোচনা করা হলোঃ
  • কলা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে ইনস্ট্যান্ট এনার্জি পাওয়া যায়।
  • কলার মধ্যে রয়েছে এমাইনো এসিড, যেটি মানসিক চাপ রোধ করে।
  • কলার মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমানের ক্যালসিয়াম এবং লবণ যা হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে।
  • কলা খাওয়ার মাধ্যমে উচ্চরক্ত চাপ নিয়ন্ত্রনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
  • প্রতিদিন ১টি কলা খাওয়ার মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • কলায় রয়েছে প্রচুর আয়রন যা মানবদেহের হিমগ্লোবিন বাড়ায়।
  • কলা খাওয়ার মাধ্যমে এমিনিয়া রোগ প্রতিরোধ করে এবং এটি কোষ্ট
  • কলা খেলে দেহের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • কলা পাকস্থলির এসিড নিয়ন্ত্রনে কাজ করে এবং এটি আলসার রোগের প্রতিরোধক।
  • কলায় থাকা ৬টি উপাদান রক্তের শর্করা গঠনে সাহায্য করে।

আপেলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

আপেলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আর দেরি না করে আসুন আমরা এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি। আপেল কয়েক ধরনের হলুদ এই তিন ধরনের আপেলের সাথে আমরা বেশি পরিচিত। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে লাল এবং সবুজ কালারের আপেল বেশি উপকারী ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। প্রতিদিন একটি আপেল খেলে এতে করে শরীর সুস্থ থাকবে। নিম্নে এর পুষ্টিগণ ও উপকারিতা তুলে ধরা হলোঃ
  • যাদের ক্যান্সারের সমস্যা রয়েছে তাদের প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়া জরুরী। আপেল খাওয়ার মাধ্যমে অগ্নাশয় ক্যান্সারের সম্ভাবনা ২৩% কমে। আপেলের মধ্যে থাকা ফাইবার সব ধরনের ক্যান্সার রোগে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
  • আপেলের মধ্যকার ফাইবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে।
  • আপেলের মধ্যে থাকা ফাইভার শরীরে নিয়ন্ত্রণ করে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়ার মাধ্যমে হার্ট ভালো থাকে। আর হার্ট ভালো থাকলে শরীর এমনিতেই সুস্থ থাকে।
  • আপেল খাওয়ার মাধ্যমে হার্টের রক্ত চলাচল সচল থাকে। যা হৃদরোগ কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
  • এটির মাধ্যমে গলস্টন সারাতে সাহায্য করে। পিত্তথলিতে অতি পরিমানে কোলেস্টেরল জমে থাকার কারণে গলস্টন দেখা দেয়। আর এটি সারাতে চিকিৎসকরা বেশি পরিমাণ আপেল খেতে বলে।
  • আপেল খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
  • দাঁতের সুস্থতায় আপেল অন্যতম। আপেল দাত দিয়ে কামড়ে খাওয়ার ফলে দাঁতের সকল ব্যাকটেরিয়া দূর হয়ে যায়।

আঙ্গুরের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

আঙ্গুরের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা অন্যান্য ফলের মত বহু গুণে। আঙ্গুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে গুরুত্বপূর্ণ Phytochemicals থাকার জন্য এর স্বাস্থ্য সম্বন্ধ গুণ ও প্রচুর রয়েছে। অন্যান্য ফলের মত আঙ্গুর ও যথেষ্ট পুষ্টিকর। যা শরীরের বিভিন্ন রোগ সাড়তে সাহায্য করে। নিম্নে আঙ্গুরের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
  • আঙ্গুরের প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা রক্তহীনতা দূর করতে আঙ্গুরের রসের সঙ্গে এক চামচ মধুর মিশিয়ে খান তাহলে একটি রক্তহীনতার দূর করতে সাহায্য করবে।
  • প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস আঙ্গুরের জুস খেলে মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
  • নিয়মিত ৫০ থেকে ৮০ গ্রাম আঙ্গুর খেলে পুরনো কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • আঙ্গুর শরীরের হরমোনাল ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
  • আঙ্গুর খাওয়ার মাধ্যমে মহিলাদের ঋতুস্রাব নিয়মিত রূপে হয় সেটি ভালো করতে সাহায্য করে।
  • ঘাটের ব্যথায় আরাম পেতে হলে নিয়মিত আঙ্গুল খেতে হবে। আর এই আঙ্গুর খাওয়ার মাধ্যমে ঘাটের ব্যথা ভালো হয়।
  • কালো আঙ্গুর শরীরের রক্তকে পাতলা করে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। এবং এটি হার্টের রোগীর জন্য খুবই উপকারী।
  • মুখের দুর্গন্ধ মাড়িতে ব্যাথা এবং গলার সমস্যা তা আঙ্গুর খুব উপকারী।
  • বমি বমি হলে বা বারবার বমি হলে আঙ্গুর গোলমরিচাল নুন একসঙ্গে খান তাহলে এটি ভালো হয়ে যাবে।
  • সদ্যজাত মেয়েদের দুধের পরিমাণ বাড়াতে আঙ্গুর খুবই উপকারী।
  • আঙ্গুর ফল ত্বকের সুরক্ষায় উপকারী।
  • আঙ্গুর ফল ফুলে যাওয়া রোগ ঠেকায়।
  • এটি বয়সের ছাপে বাধা দেয়

পেয়ারার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

পেয়ারার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা জানলে আপনি অবাক হবেন। কারণ প্রতি ১০০ গ্রাম ৫১ ক্যালোরি খাদ্য শক্তি ১১.২০ গ্রাম শর্করা ০.৯০ গ্রাম আমিষ ১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ২১০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি আর ১০০ মাইক্রগ্রাম ক্যারোটিন থাকে। যা মানব দেহের নানা ধরনের উপকার করে থাকে। ১০টি উপকারি ফল ও ফলের পুষ্টিগুণের মধ্যে পেয়ারা অন্যতম একটি ফল। তো চলুন এবার জানা যাক পেয়ারায় থাকা উপকারিতা সম্পর্কে।
  • পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন সি। যা শরীরের সকল প্রকার ব্যাকটেরিয়ার দূর করতে সহায়ক। তাছাড়া এটি শরীরের ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করে থাকে।
  • পেয়ারায় থাকা ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে এবং রাত কানা রোগ হওয়া থেকে মুক্তি দেয়।
  • পেয়ারা ডায়রিয়া হার ঝুঁকি কমায় এবং এর মধ্যে রয়েছে ব্যাকটেরিয়ার লড়াইয়ের ক্ষমতা।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধও পেয়ারার জুরি নেই। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপেন্ট ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে যথেষ্ট সহায়ক।
  • এটি প্রোস্টেট ক্যান্সারে ও স্তন ক্যান্সারে পেয়ারা যথেষ্ট সহায়ক ও উপকারি।
  • পেয়ারা রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে ফলে হৃদরোগের রোগীরাও পেয়ারা খেতে পারেন।
  • এই ফলের নির্যাস সর্দি-কাশি কোষ্ঠকাঠিন্য ও আমাশয় সহ পেটের যাবতীয় পীরাই খুবই উপকারী।
  • পেয়ারার ফাইবার অর্থাৎ আশ শরীরের ক্যালরি শোষণ করতে পারে। তাই নিয়মিত পেয়ারা খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। 

আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

আমকে ফলের রাজা বলা হয়ে থাকে। আম খেতে খুব সুস্বাদু হয় তার সাথে সাথে আমি প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আম বিভিন্ন ক্যাটাগরির হয়ে থাকে। আর বিভিন্ন ক্যাটাগরির আম থেকে আমরা ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ এবং গুণাবলী পাই। ১০টি উপকারি ফল ও ফলের পুষ্টিগুণের মধ্যে আম অন্যতম একটি ফল। আসুন জেনে নেয়া যাক আমের গুনাগুন গুলো সম্পর্কে।
১০টি উপকারি ফল ও ফলের পুষ্টিগুণ
  • আমি ভিটামিন সি এবং অন্যান্য এজেন্সিয়াল নিউট্রেইন্ট থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • রাতে ভালো ঘুম না হলে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধের সঙ্গে একটা পাকা আম খেলে ভালো ঘুম হবে।
  • রোগা পাতলা মানুষ যদি ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি পাকা আম খান তারপর এক গ্লাস দুধ খেয়ে নিন। এতে করে রোগা পাতলা মানুষ তাড়াতাড়ি মোটা হতে পারবেন।
  • ওজন কমাতে কাঁচা আমের প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে যা মেটাবলিজম বাড়িয়ে হজম ক্ষমতা বাড়ায় কাঁচা আমের চিনির পরিমাণ কম থাকে তাই এটি শরীরের বৃদ্ধি করে না ফলে ওজন কমে।
  • আমি ফাইবার ভিটামিন সি প্যাক্টিন সিরাম আছে যেগুলো কোলেস্টেরল কম করতে সাহায্য করে। বিশেষভাবে এলডিএল ক্ষতিকর কলেজস্টোরাল কমায় এইচডি এল ভালো কোলেস্টেরল বারাই যা সুস্থ হাটের জন্য প্রয়োজন।
  • আমি অধিক মাত্রায় ভিটামিন এ থাকার জন্য এটা চোখের ড্রাইনেস কম করে দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
  • আমি ভিটামিন বি6 এবং পটাশিয়াম থাকে ফলে আম কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
  • প্রতিদিন এক গ্লাস খেলে রক্তস্বল্পতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • আমি ফাইবার থাকার জন্য আম খেলে হজম ভালো হয় এবং স্টোমাকজনিত রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • আম ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী। আমি থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং আরো অন্যান্য উপাদান যা খাওয়ার ফলে বেস্ট ক্যান্সার কোলন ক্যান্সার এবং প্রোটেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
  • আমি থাকা বিটা ক্যারোটিন অ্যাজমা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  • ত্বকের উপকারিতায় আম পেস্ট একটি ফল। আম বডি স্ক্রাব করার জন্য ব্যবহার করা হয় ত্বকে মসৃণ কমল উজ্জ্বল করতে আমের পেজ তৈরি করে তার সঙ্গে অল্প মধু আর দুধ মিশিয়ে মেসেজ করুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে নিন।
  • গ্রীষ্মকালের এই ফল আমাদের স্টোক থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
  • আম আয়রন এবং ক্যালসিয়াম অধিক মাত্রায় থাকে তাই মহিলাদের আমও অপেক্ষা উচিত এতে করে মহিলাদের শরীরে আয়রন ও ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে।

কাঁঠালের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। কাঁঠালকে জাতীয় ফল বলার কারণ হচ্ছে কাঁঠালের এমন কোন অংশ নেই যেটি অব্যবহারযোগ্য। কাঁঠালের প্রত্যেকটি অংশে ব্যবহারযোগ্য এবং কাঁঠালের সব অংশই পুষ্টিগুণে ভরপুর। কাঁচা কাঁঠালের তরকারি খাওয়া যায় এবং পাকা কাঁঠালের বিচি এটিও রান্না করে খাওয়া যায়। পাকা কাঁচা কাঁঠালে পুষ্টিগুণ রয়েছে। পাকা কাঁঠালের পুষ্টিগুন একরকম কাঁচা কাঁঠালের পুষ্টিগুণ আরেক রকম। নিম্ন এর সম্পর্কে তুলে ধরা হলোঃ 
  • পাকা কাঁঠালের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। ফলে ভিটামিন এ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। রাতকানা রোগের ঝুঁকি কমায়।
  • কাঁঠালে ভিটামিন এ থেকে সব ধরনের উপাদান রয়েছে। কাঁঠালের রয়েছে মিনারেলস রয়েছে। যা আমাদের শরীরে সকল ধরনের পুষ্টির যোগান দেয়।
  • কাঁঠালের বিচি থেকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। যা শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।
  • কাঁঠালের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ম্যাঙ্গানিজ ক্যালসিয়াম।
  • কাঁঠাল যেহেতু একটি আঁশ জাতীয় ফল তাই এটি হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। তবে এটি বেশি খাবার উচিত নশ। বেশি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে এবং পেট ফেপে যেতে পারে।
  • কাঁঠালের সিজনে কাঁঠাল খাওয়ার মাধ্যমে সিজনাল যে রোগ গুলো থাকে সেগুলো প্রতিরোধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
  • ডায়াবেটিস রোগীর জন্য কাঁঠাল মোটেও উপকারীর নয় কিন্তু সিজনাল ফল হিসাবে এটি এক থেকে দুইটি হওয়া খেতে পারে যদি ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে থাকে।
  • কাঁঠালের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মাইক্রো মিনারেলস যা আমাদের স্কিনের জন্য যথেষ্ট উপকারী।
  • কাঁঠালে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এবং সব ধরনের পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে সেহেতু এটি হাড়কে মজবুত করতে যথেষ্ট সহায়ক।
  • নিয়মিত কাঁঠাল খাওয়ার মাধ্যমে কাঁঠালের মধ্যে থাকা ছয়টি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য উপকারি।

লিচুর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

লিচুর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা ৮ থেকে ১০টি উপকারি ফল ও ফলের পুষ্টিগুণ গুলোর মধ্যে অন্যতম। গ্রীষ্মকালের অনেক সুস্বাদু ফলের মধ্যে একটি হল লিচু। লিচু প্রায় সবারই খুব পছন্দের ফল। লিচুতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকে। মৌসুমী ফল হিসাবে লিচু খুব উপকারী একটি ফল। প্রতিটি লিচুতে রয়েছে খনিজ উপাদান শর্করা ভিটামিন সি শক্তি উপাদান ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। আসুন এর উপকারিতা গুলো জানি।
  • লিচু টিউমার রোদে বেশ ভূমিকা রাখে।
  • লিচু শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা দূর করতে কাজ করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।
  • লিচুতে ভিটামিন নানা খনিজ উপাদান রয়েছে যেগুলো রক্তের উপাদান তৈরিতে সহযোগিতা করে।
  • ত্বকের বলিরেখা দূর করতে লিচু খুবই উপকারী।
  • বয়সের ছাপ দূর করতে এটি সাহায্য করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
  • লিচুতে ভিটামিন বর্ণনা খনিজ উপাদান থাকায় এই ফল রক্তের উপাদান তৈরিতে সাহায্য করে।
  • নিজেদের অলিগণান নামক বিশেষ উপাদান থাকে যার নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করে এবং এর ফলে রক্তনালী প্রসারিত হয় এবং রক্ত চলাচল খুব ভালোভাবে হয়।
  • লিচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যত আর ও দাঁত ভালো রাখে এবং বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ দূর করতে সহায়তা করে।
  • লিচুতে ম্যাগনেসিয়াম আয়রন, কপারফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ থাকে যা লোহিত কণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে এবং মিনারেলসের চাহিদা পূরণ করে।
  • নিচেতে থাকা পটাশিয়াম ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স ঠিক রাখে এবং সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • লিচুতে অধিক মাত্রায় ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • লিচুতে থাকাকাকারবোহাইড্রেট ও ফাইবার হজমের সাহায্য করে।
  • লিচুতে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকে যা কোচের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিরাস করে।

কমলার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

কমলার পুষ্টিগুণ উপকারিতা বহুগুনে। কমলা এতটাই উপকারী যে এটি ইনস্ট্যান্ট রুচি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও কমলায় রয়েছে অন্যান্য বিশেষ পুষ্টি উপাদান। এই ফলটিও ১০টি উপকারি ফল ও ফলের পুষ্টিগুণ থেকে অন্যতম। চলুন কমলার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে আমরা বিস্তারিতভাবে জানব।
  • কমলাতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম ও হাড়ের গঠনে সাহায্য করে।
  • কমলায় রয়েছে ফ্ল্যাভেনএড যা ফুসফুস এবং ক্যাভিটি ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ছোট বড় নানা ব্যাধি ও সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়।
  • ত্বক ও চুল ভালো রাখে কমলা এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের ক্ষতিরোধ করে।
  • কমলায় কোন ধরনের ফ্যাট ও সোডিয়াম থাকে না বলে এটি ওজন কমাতে বেশ উপকারী।
  • কমলায় ফাইবার ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি থাকায় হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে।
  • কমলায় রয়েছে প্রচুর আশ্চর্য জাতীয় উপাদান যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে।
  • কমলায় রয়েছে ভিটামিন এ যা শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে সহায়ক।
  • কমলা খাওয়ার মাধ্যমে হয় ফলে খিদে বাড়ে। যাদের সহজে খিদে লাগে না তারা কমলা খান রুচি বৃদ্ধি করুন এবং বেশি বেশি খাবার খান।
  • কমলা শরীরের ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করে এবং এটি কৃমি দূর করতে সহায়ক।

বেদনার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

বেদনার পুষ্টিগুণ উপকারিতা। বেদনা আমরা বিভিন্ন নামে জানি আনার ডালিম ও বেদনা এই তিনটি নাম নিয়েই আমরা বেদেনাকে চিনি। বেদনা খুবই উপকারী একটি ফল এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। বেদনা এমন কোন রোগ নেই যে রোগের সহায় হোক কার্যকরী নয়। আমরা বিভিন্নভাবে খেয়ে থাকি। আমরা যে কোন রোগের জন্য যে ফলটির কথা আগে বলে সেটি হচ্ছে বেদনা। তো চলুন এবার বেদনার সম্পর্কে আমরা জানবো।
  • বেদনা সবচাইতে এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি ফল। এটি ক্যান্সার রোগের প্রতিষেধক বলা হয়। আমরা যদি নিয়মিত ডালিম বা আনার বা বেদনা খায় তাহলে ক্যান্সার রোগের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে পারব।
  • বেদেনা মানসিক চাপ ও টেনশন কমাতে খুবই সহায়ক।
  • এক গ্লাস বেদনার জুস প্রতিদিন নিয়মিত খেলে এটি শরীরের রক্তকণিকার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
  • বেদেনায় থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে।
  • বেদনায় থাকা আইরন এবং ফলিক এসিড রক্তে হিমোগ্লোবিন গঠন করে রক্তশূন্যতা দূর করে।
  • অ্যান্থ সাইলেন্ট সমৃদ্ধ বেদনার রস কিডনি ভালো রাখে এবং উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
  • পলিফেনন্স, ফ্লাভানাইটস এবং ফাইটোকেমিক্যাল যুক্ত বেদনা ফুসফুস ভালো রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • শক্তিশালী এন্টি এক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন কে যুক্ত বেদনার রস হাট ভালো রাখে এবং স্টোকের ঝুঁকি কমায়।
  • বেদনায় থাকা ফাইবার পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম গ্যাসটিক এর সমস্যা দূর করে এবং পেট পরিষ্কার রাখে।
  • বেদনার রস রক্তের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল এবং টাইগ্লেসরাইটের উৎপাদন কমায়। যার ফলে হার্ট ও ধমনীতে ব্লকেজ ঘটার ঝুঁকি কমায়।
  • বেদানা রস স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক কাজ করে। এই জন্য শিশুদের বেশি বেশি করে বেদনা খাওয়ানো উচিত। এতে করে তাদের স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি ঘটে।
  • বেদানার রসে প্রচুর পরিমাণে থাকা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
  • প্রদাহ নাশক উপাদানে ভরপুর বেদনা হাড় ও মাংসপেশির ব্যথা কমায় এবং শরীর ঠান্ডা রাখে।
  • বেদনায় থাকা হেপাটোপ্রটেকটিভ উপাদান লিভার জন্ডিস লিভার সিরোসিস ও ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দূর করে।
  • বেদানার রস মূত্রের মাধ্যমে কিডনি থেকে দূষিত পদার্থ গুলো বের করে প্রস্রাবের ইনফেকশন ও কিডনিতে বারবার পাথর হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
  • ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এ ভরপুর বেদানা গর্ভাবস্থায় এবং শিশুর জন্মের পর মায়ের শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে।

খেজুরের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

খেজুরের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা আর সকল ফলের চাইতে একশ গুণ বেশি। প্রাকৃতিক শক্তির উৎস এবং মরুর গ্লুকোজ হিসেবে পরিচিত ফল হচ্ছে খেজুর। পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রন পূরণ করতে খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেন। চিনির বিকল্প হিসেবে খেজুর অন্যতম। খেজুর শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। চলুন এবার খেজুরের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জানব।
খেজুরের ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
১০টি উপকারি ফল ও ফলের পুষ্টিগুণ
  • খেজুর পানি শূন্যতা দূরীকরণে হার ও দাঁতকে শক্ত করতে সাহায্য করে।
  • খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
  • খেজুরের রয়েছে লুটিনো ও জিক্সা থিন যা রেটিনাকে সুস্থ রাখে।
  • ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খেজুর খুবই উপকারী তবে ডায়াবেটিস রোগীরা শুকনো খেজুর খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
  • ডায়াবেটিস রোগের ডায়েটে শুকনো খেজুর অত্যন্ত উপকারী একটি ফল।
  • ফ্লুক্টোজ ও গ্লাইসনিক সমৃদ্ধ খেজুর এটি রক্তের শর্করা বৃদ্ধি করে।
  • খেজুরে থাকে এন্টি এক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • রক্তস্বল্পতা দূর করতে খেজুর খুবই উপকারী একটি ফল।
  • খেজুরে থাকা নানা খনিজ পদার্থ হৃদ স্পন্দনের হার ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
  • খেজুর শিশুদের মারি শক্ত করতে সাহায্য করে।
  • প্রতিদিন নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং শরীরের শক্তি যোগান দেয়।

    লেখকের শেষ কথা

    প্রিয় পাঠক আজকে আমি আপনাদেরকে ১০টি উপকারি ফল ও ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি। আশা করছি আমার এই পোস্টটি থেকে আপনি ১০টি উপকারি ফল ও ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। আমরা বিভিন্ন ধরনের ফল খেয়ে থাকি কিন্তু সেসব ফলে পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে সঠিকভাবে জানিনা। 

    আজকে আমি চেষ্টা করেছি আপনাদেরকে ১০টি উপকারি ফল এবং ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কের জানানোর। আশা করি আপনারা এই পোস্টটি থেকে যথেষ্ট উপকৃত হবেন। তো বন্ধুরা আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না। আজকে এই পর্যন্তই আগামী দিন আর একটু অন্য টপিক্স নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। ধন্যবাদ।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    রিজু ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url