অপরচুনিটি ভিসার মাধ্যমে জার্মানি যাওয়ার পদ্ধতি
অপরচুনিটি ভিসার মাধ্যমে জার্মানি যাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে
আর সময় নষ্ট না করে আমার এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। অনেকের স্বপ্ন ইউরোপ
কান্ট্রি অর্থাৎ জার্মানিতে যাওয়া।
আপনি অপরচুনিটি ভিসার মাধ্যমে জার্মানি যাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে নিজে নিজেই অবগত
হতে পারবেন এই পোষ্টটির মাধ্যমে। তাহলে চলুন জানব কিভাবে খুব সহজেই দালাল বা
এজেন্সিদের পেরেসানি ছাড়াই আপনি নিজে নিজেই ভিসা প্রোসেসিং করে জার্মানি জাবেন।
সূচিপত্রঃ অপরচুনিটি ভিসার মাধ্যমে জার্মানি যাওয়ার পদ্ধতি জানুন
- জার্মানির যাওয়া সম্পর্কে কিছু কথা
- অপরচুনিটি ভিসা কি
- অপরচুনিটি ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
- অপরচুনিটি ভিসার যোগ্যতা সমূহ বিশ্লেষণ
- অপরচুনিটি ভিসার জন্য ব্লক একাউন্ট
- অপরচুনিটি ভিসার জন্য আবেদন
- অপরচুনিটির ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- বাংলাদেশের মানুষ অপরচুনিটি ভিসার জন্য যোগ্য কিনা
- অপরচুনিটি ভিসা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর পর্ব
- লেখকের শেষ মন্তব্য
জার্মানি যাওয়া সম্পর্কে কিছুকথা
জার্মানি যাওয়া সম্পর্কে কিছু কথা আপনাদের মধ্যে তুলে ধরব। ইউরোপে একটি স্বপ্নের
দেশ। এই দেশে কেনা যেতে চায়। আর এই দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ যথেষ্ট সুন্দর এবং
এদেশের এডুকেশন ও জব কোয়ালিটি খুবই ভালো। আর এই জন্য অনেক দেশের লোকজন
জার্মানিতে সেটেল হওয়ার স্বপ্ন দেখে। এবং জার্মানি যাওয়ার জন্য ভালোভাবে
প্রস্তুতি নেয়।
তো বন্ধুরা জার্মানি যাওয়ার জন্য আমরা অনেকে অনেক নিউজ দেখি অনেক ধরনের ভিডিও
দেখি অনেক ধরনের আর্টিকেল পড়ি। এটা করি শুধুমাত্র জানার জন্য কিভাবে আমরা
জার্মানি ভিসা বা অন্যান্য দেশের ভিসা পাব বা কত টাকা লাগে যেতে কিভাবে ভিসা
প্রসেসিং করতে হয় এই সমস্ত বিষয়ে আমরা জানতে চাই। আজকে আমি আপনাদেরকে জার্মানি
যাওয়ার সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানাবো।
কেননা আপনি যদি জার্মানি যেতে চান অথচ এই সম্পর্কে ভালোভাবে না জানেন তাহলে
আপনি দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধভাবে বিদেশ গমন করবেন কিন্তু আপনি সেটি নিজেও বুঝতে
পারবেন না। এটা করে আপনি অনেক বড় বিপদের মধ্যে পড়বেন। এ ধরনের অনেক ঘটনা ঘটে
যার ফলে অনেকে অর্থনৈতিকভাবে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে। তাই আপনাকে এ বিষয়ে
জানতে হলে অবশ্যই অপরচুনিটি ভিসার মাধ্যমে জার্মানি যাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে
জানতে হবে।
আজকে আমি একদম প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কিভাবে আপনি জার্মানিতে যাবেন সেই সম্পর্কে
ভেঙে ভেঙে সবকিছু বুঝিয়ে দিব। আপনি কোন ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ্লিকেশন করবেন
এবং কিভাবে অ্যাপ্লিকেশন করবেন আপনার অ্যাপ্লিকেশনের সময় কত দিন লাগবে কি কি
কাগজ পত্র লাগবে সবকিছু সুন্দরভাবে গুছিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করব যাতে
আপনার অপরচুনিটি ভিসার মাধ্যমে জার্মানি যাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা
পেতে কোন সমস্যা না হয়।
অপরচুনিটি ভিসা কি
অপরচুনিটি ভিসা কি এটা কি জানেন? যদি না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে
জানতে হবে।কারণ আপনি যদি অপরচুনিটি ভিসা সম্পর্কে না জানেন তাহলে কোনোভাবেই
চলবে না। প্রথমে আপনাকে অপরচুনিটি ভিসা সম্পর্কে জানতে হবে।
অপরচুনিটি ভিসা সম্পর্কে জানার প্রধান কারণ হচ্ছে জার্মান সরকার আপনাকে একটা
অপরচুনিটি দিচ্ছে সেটি হচ্ছে আগে যেমন অর্ক পারমিট এর মাধ্যমে
জার্মানিতে যেতে হতো বা কোন দালালের মাধ্যমে বা কোন এজেন্সির মাধ্যমে আপনাকে
যেতে হতো সেটি আর এখন করতে হবে না আপনি নিজে নিজেই ভিসা প্রসেসিং করে
অপরচুনিটি ভিসার মাধ্যমে জার্মানিতে যেতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ১০টি বৈধ উপায়
জার্মানি সরকার জার্মানিতে যাবার জন্য অপরচুনিটি ভিসার মাধ্যমে যাওয়ার একটি
সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। এই ভিসার কাজ হল আপনি এ ভিসা করে এক বছরের জন্য
জার্মানিতে এসে চাকরি খুঁজতে পারবেন। এবং চাকরি পাওয়ার পরে আপনি
জার্মানিতে একেবারে থেকে যেতে পারবেন বা সিটিজেনশিপ হতে পারবেন।
অপরচুনিটি ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
অপরচুনিটি ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকতে হবে। তা নাহলে
এই ভিসাটির আবেদন করে কোন লাভ নেই। অপরচুনিটি ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে
বেশ কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। আপনার মধ্যে যদি এ যোগ্যতা গুলো না থাকে তাহলে আপনি
অপর্চুনিটি ভিসা পাবেন না।অপরচুনিটি ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার কি ধরনের যোগ্যতা
থাকতে হবে সেগুলো সম্পর্কে জানব এখন।
আরো পড়ুনঃ
ভারতের ভিসা করতে কত টাকা লাগে
জার্মানিতে যাওয়ার জন্য জার্মানি সরকার কয়েকটি পয়েন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে এই
অপরচুনিটি ভিসার ব্যবস্থা চালু করেছে। জার্মান সরকার ১৭টি পয়েন্ট সিস্টেমের
মাধ্যমে লোক নিচ্ছে। আপনি যদি এই পয়েন্ট সিস্টেমগুলোতে উত্তীর্ণ হতে পারেন তবে
আপনি ভিসা পাবেন। তবে আরেকটি খুশির ব্যাপার হলো আপনি যদি এই ১৭ পয়েন্টের মধ্যে
মাত্র ৬ পয়েন্ট পান তাহলে আপনি অপরচুনিটি ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন।
জার্মানিতে যাওয়ার জন্য কি ধরনের যোগ্যতার আপনার থাকতে হবে এগুলো এখন আপনাকে
বিস্তারিত জানাবো।
১। শিক্ষাগত যোগ্যতা
২। চাকুরীর অভিজ্ঞতা গত যোগ্যতা।
৩।বয়স গত যোগ্যতা
৪।ভাষাগত যোগ্যতা
৫। পূর্বে জার্মানিতে বসবাস করছেন কিনা সে যোগ্যতা।
৬। স্বামী বা স্ত্রীর যোগ্যতা।
৭। বিশেষ পেশাগত যোগ্যতা।
আপনি যদি এই কয়টি বিষয়ের মধ্যে একটিতে ৬ পয়েন্ট অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনি
জার্মানি যাওয়ার জন্য যোগ্য হবেন। অথবা অন্যান্য গুলো থেকেও ছয় পয়েন্ট পান
তাতেও কোন সমস্যা নাই। অর্থাৎ আপনাকে ১৭ পয়েন্টের মধ্যে ১৭ পয়েন্ট পেতে হবে না
৬ পয়েন্ট হলেই আপনি জার্মানি অপরচুনিটি ভিসা পাওয়ার জন্য যোগ্য হবেন। এবং
জার্মানিতে যেতে পারবেন।
অপরচুনিটি ভিসার যোগ্যতা সমূহ বিশ্লেষণ
অপরচুনিটি ভিসার যোগ্যতা সমূহ আপনাদের বিশ্লেষণ করে বোঝাবো। আপনাদের অনেকরই বুঝতে
সমস্যা হতে পারে যে অপরচুনিটি ভিসার জন্য যোগ্য হতে হবে কিন্তু সে বিষয়গুলো
সম্পর্কে জানি না আবার জানা থাকলেও ঠিক কোন কোন বিষয়ে কত পয়েন্ট পেলে আপনি
জার্মানিতে যেতে পারবেন এগুলো নিয়ে টেনশনে পড়েন। তো বন্ধুরা,
এই বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের আর টেনশন করার কোন দরকার নেই। আজকে আমি
আপনাদেরকে বিশ্লেষণ করে বোঝাবো।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা। আপনি যদি জার্মানের কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করেন তাহলে আপনি এখান থেকে ছয় পয়েন্ট পেতে পারেন। আবার আপনি যদি জার্মান সরকার করতে স্বীকৃত কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করেন তাহলে এখান থেকে ছয় পয়েন্ট পেতে পারেন। আবার যদি আপনার এগুলোর কোনটি না থাকে অন্তত দুই বছরের ভোকেশনাল ডিগ্রী থাকে তাহলে আপনি এখান থেকে চার পয়েন্ট পেতে পারেন।
- চাকুরীর অভিজ্ঞতা। আপনার যদি কোন কাজের ৫ থেকে ৭ বছরের অভিজ্ঞতা থাকে অথবা দুই থেকে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে এখান থেকে আপনি ৩ অথবা ২ পয়েন্ট পেতে পারেন।
- ভাষাগত যোগ্যতা। আপনি যদি জার্মানি ভাষায় পারদর্শী হন তাহলে সবচাইতে ভালো আর যদি সেটি না হয় আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এখান থেকে পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন।
- বয়সের যোগ্যতা। আপনাকে জার্মানি অপরচুনিটি ভিসা পেতে হলে অবশ্যই আপনার বয়স ১৮ থেকে বয়স পর্যন্ত হতে হবে। এখান থেকে আপনি দুই থেকে তিন পয়েন্ট পেতে পারেন। কিন্তু ১৮ বছরের নিচে বয়স হওয়া যাবে না এবং ৪০ বছর হয়ে গেল এখানে এপ্লাই করতে পারবেন না।
- আপনি যদি এর আগে জার্মানিতে বসবাস করে থাকেন তাহলে এখান থেকে আপনি পয়েন্ট অর্জন করে অপরচুনিটি ভিসার জন্য যোগ্য হতে পারবেন।
- জার্মান সরকার আরেকটি সুযোগ করে দিয়েছে যেটি হলো আপনি বা আপনার স্ত্রী যদি অপর্চুনিটিভ ভিসার জন্য যোগ্য হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই অপর্চুনিটি ভিসার পাবেন।
- বিশেষ পেশাগত যোগ্যতা। বিশেষ পেশাগত যোগ্যতার মধ্যে পরে তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্য খাত, শিক্ষকতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাত, প্রোডাকশন সার্ভিস বা ব্যবস্থাপনা। এই ধরনের যোগ্যতা যদি আপনার থেকে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই এখান থেকে পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন এবং এটার জন্য যোগ্য হবেন।
অপরচুনিটি ভিসার জন্য ব্লক একাউন্ট
আপনাকে অপরচুনিটি ভিসার জন্য একাউন্ট করতে হবে। প্রিয় বন্ধুরা অপরচুনিটি ভিসার
জন্য যোগ্যতা অর্জনের সাথে সাথে ব্লক একাউন্টের দরকার। এই ব্লগ অ্যাকাউন্ট আপনার
দরকার এই কারণে আপনি অপরচুনিটি ভিসা নিয়ে জার্মানিতে যাবেন এক বছরের জন্য।
অর্থাৎ এক বছরের আপনাকে ওই দেশে থাকা-খাওয়া এবং আপনার যাবত খরচের জন্য আপনার
অগ্রিম ব্লক একাউন্টে রাখতে হবে এবং এটি ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফরমেট এ ব্লক একাউন্ট
উল্লেখ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
আপনি যদি ব্লক একাউন্ট না করেন বা আপনার যদি সে সামর্থ্য না থাকে তাহলে জার্মান
সরকার আপনাকে অপরচুনিটিভ ভিসা দিবে না। এজন্য আপনার যদি অন্যান্য যোগ্যতা থেকেও
থাকে তাহলেও আপনি জার্মানিতে যেতে পারবেন না। আপনাকে জার্মানিতে যাওয়ার জন্য সকল
যোগ্যতার সাথে সাথে ব্লক অ্যাকাউন্ট অবশ্যই থাকতে হবে।
ভিসার জন্য ব্লক একাউন্ট সবচাইতে মেনই বিষয়। এই ভিসার জন্য আপনাকে এক বছরের
খরচ ১২ হাজার ৩২৪ ইউরো ওই দেশের টাকা মোতাবেক আপনাকে একটি ব্লক অ্যাকাউন্ট খুলতে
হবে। এই অ্যাকাউন্টটি মূলত করতে হয় আপনি অর্থনৈতিক দিক থেকে সামর্থ্যবান কিনা
সেটি প্রমাণ করার জন্য। আপনি আসলে এক বছর থাকবেন সেই খরচ আপনি করতে পারবেন কিনা
এটি ওই দেশের সরকার প্রমাণ নেয়।
আপনার এই ১২ হাজার ৩২৪ ইউরো থেকে আপনি প্রতি মাসে ১ হাজার ২৭ ইউরো করে
আপনাকে আপনার খরচের জন্য দেওয়া হবে। আপনার ব্লগ একাউন্টের প্রসেস মূলত এভাবেই
হবে অর্থাৎ আপনার টাকা আপনাকে খরচ করার জন্য দেয়া হবে কিন্তু আপনাকে এই ভিসার
পাওয়ার জন্য জার্মান সরকারের কাছে প্রমাণপত্র জমা দেয়ার জন্য এই ব্লক একাউন্টটি
খুলতে হবে।
অপরচুনিটি ভিসার জন্য আবেদন
আপনি যদি জার্মানি যাওয়ার সুযোগ পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে অপরচুনিটি
ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন করার আগে অপরচুনিটি ভিসার জন্য যে যে
যোগ্যতা ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলো দরকার সেগুলো ভালোভাবে জেনে নেবেন।
এরপর আপনার প্রথম কাজ হচ্ছে অপরচুনিটি ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য ওয়েবসাইট
থেকে দুটি অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম নিবেন। আপনি সবসময় দুটি অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম
দেয়ার চেষ্টা করবেন।
কারণ এতে আপনার ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য আপনি দুইটি অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম
উঠাবেন অ্যাপ্লিকেশন ফর্মে যে যেভাবে আপনাকে ফরম পূরণ করার নির্দেশ দেওয়া হবে
আপনি ভালোভাবে পড়ে ফর্মটি পূরণ করবেন। আপনি যদি ফর্মটি ভালোভাবে বুঝতে না
পারেন তাহলে আপনি ট্রান্সলেট করে পড়ে নিয়ে প্রাণটি সঠিকভাবে পূরণ করবেন। এটি
অপরচুনিটি ভিসার মাধ্যমে জার্মানি যাওয়ার পদ্ধতির প্রথম স্টেপ।
অপরচুনিটি ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আপনাকে অপরচুনিটি ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। আর আবেদনের জন্য কিছু
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার পড়বে। আর এই কাগজপত্র ছাড়া আপনি আবেদন করতে পারবেন
না। অপর্চুনিটি ভিসা পাওয়ার জন্য এই কাগজপত্র গুলো আপনার প্রয়োজনীয় নথিপত্র।
নিম্নে অপরচুনিটি ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি লাগবে সেগুলো উল্লেখ করা
হলোঃ
১। দুই কপি ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম।
২। সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৩। মূল পাসপোর্ট এবং মূল পাসপোর্টে ক্যান কপি।
৪। পাসপোর্টে অবশ্যই ছয় মাস বা এক বছর মেয়াদ থাকতে হবে।
৫। পাসপোর্টে দুইটা সাদা কাগজ অবশ্যই থাকতে হবে।
৬। ভিসা অফিস বরাবর নিজের যোগ্যতা উল্লেখ করে একটি কভার লেটার।
৭। এক কপি সিভি।
৮।শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সার্টিফিকেট।
৯। ভাষাগত দক্ষতার সার্টিফিকেট।
মূলত এই কয়েকটি কাগজ পত্র বা নথিপত্র জমা দিলে আপনি অ্যাপ্লিকেশন সাকসেস ভাবে
ফিলআপ করতে পারবেন। এই কাগজগুলোর একটিও যদি কম থাকে তাহলে আপনি জার্মানি
অপরচুনিটি ভিসা পাবেন না বা আপনাকে যোগ্য বলে বিবেচিত করা হবে না। এটি অপরচুনিটি
ভিসার মাধ্যমে জার্মানি যাওয়ার পদ্ধতির দ্বিতীয় স্টেপ।
বাংলাদেশের মানুষ অপরচুনিটি ভিসার যোগ্য কিনা
বাংলাদেশের মানুষ অপরচুনিটি ভিসা পাওয়ার যোগ্য কিনা এটি প্রশ্ন করলে আমি বলবো
অবশ্যই বাংলাদেশের মানুষ অপরচুনিটি ভিসা পাওয়ার যোগ্য। কারণ অপরচুনিটি ভিসা
পাওয়ার জন্য যে যোগ্যতা গুলো দরকার এবং যে ছয় পয়েন্ট পেতে হবে সেটি
বাংলাদেশের মানুষ পাবে। কারণ বাংলাদেশের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয় জার্মান
সরকার কর্তৃক স্বীকৃত। যারা এডুকেটেড পার্সন তারা খুব সহজে শিক্ষাগত যোগ্যতা থেকে
৬ পয়েন্ট অর্জন করতে পারবে।
এবং জার্মানি অপরচুনিটি ভিসার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। এছাড়াও শিক্ষাগত
যোগ্যতা ছাড়াও জার্মানিতে যাওয়ার জন্য যে ধরনের কোয়ালিফিকেশন বা যোগ্যতার
দরকার হয় সেগুলো বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে রয়েছে। আপনি যদি আমার পোস্টটি
পুরোপুরি ভাবে পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন বাংলাদেশের মানুষ অপরচুনিটি ভিসার
মাধ্যমে জার্মানি যাওয়ার পদ্ধতি অবলম্বন করে আবেদন করতে পারবেন এবং এদের জন্য
যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
অপরচুনিটি ভিসা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর পর্ব
নিম্ন অপর্চুনিটি ভিসা সম্পর্কে আপনাদের সুবিধার্থে প্রশ্নোত্তর পর্ব গুলো তুলে
ধরলাম। আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থাকে এখান থেকে সে প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
প্রশ্নঃ জার্মান অপরচুনিটি কার্ড কি?
উত্তরঃ ইইউ, ইইএ (ইউরোপিয়ান ইকনোমিক এরিয়া)কিংবা সুইজারল্যান্ড এর
বাইরের দেশগুলোর দক্ষ কর্মীদের জন্য চাকরির উদ্দেশ্যে জার্মানিতে প্রবেশ অনুমতি
হলো অপরচুনিটি কার্ড বা ভিসা। বা এটি একটি আবাসিক অনুমতি বা তৃতীয় দেশের
কর্মীদের চাকরি খোঁজার জন্য জার্মানিতে প্রবেশ অনুমতি পত্র।
প্রশ্নঃ জার্মানিতে চাকরির ভিসার মেয়াদ বাড়ানো যাবে কি?
উত্তরঃ জার্মানিতে চাকরির ভিসার মেয়াদ বাড়ানো যাবে না। যদি চাকরির ভিসার
মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তাহলে পুনরায় আপনাকে দেশে চলে আসতে হবে এবং আবার এটির জন্য
পুনরায় এপ্লাই করতে হবে।
প্রশ্নঃ জার্মানিতে কি কাজে চাহিদা বেশি?
উত্তরঃ জার্মানিতে প্রায় সকল সেক্টরে কাজের চাহিদা অনেক বেশি। বিশেষ করে
ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, আইটি ডিপার্টমেন্ট, ফুড ডেলিভারি ম্যান, শপিং মল
বিক্রয় কর্মী, ক্লিনার, নিরাপত্তা কর্মী ইত্যাদি কাজের চাহিদা বেশি।
প্রশ্নঃ জার্মানির সুযোগ কার্ড কি মূল্যবান?
উত্তরঃ জার্মানির সুযোগ কার্ড অবশ্যই মূল্যবান। আপনি যদি এই সুযোগ কার্ড
পাওয়ার জন্য যোগ্য হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই সুযোগ কার্ডের মাধ্যমে জার্মানি যে
চাকরি খুঁজতে পারবেন এবং চাকরি পাওয়ার পর ওই দেশে সেটেল হতে পারবেন।
প্রশ্নঃ জার্মানিতে অভিবাসী হওয়ার সর্বোচ্চ বয়স কত?
উত্তরঃ জার্মানিতে অভিবাসী হওয়ার সর্বোচ্চ বয়স হচ্ছে ২৫ বছর থেকে ৪৫ বছর
পর্যন্ত। এ বয়সের মধ্যে আপনি জার্মানিতে অভিবাসী হতে পারবেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকে আমি আপনাদের অপরচুনিটি ভিসার মাধ্যমে জার্মানি যাওয়ার পদ্ধতি
সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছি। আপনি যদি জার্মানিতে চাকরি খোঁজার উদ্দেশ্যে
যান এবং ওই দেশে সেটেল হতে চান তাহলে কিভাবে জার্মানিতে অপরচুনিটিভ ভিসা নিয়ে
যাবেন সেসব বিষয় সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি নিজে নিজে খুব সহজে অপরচুনিটি ভিসার জন্য আবেদন
করতে পারবেন। আপনাকে কোন হয়রানি হতে হবে না। আশা করি আমার এই পোস্টটির সম্পর্কে
আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। যদি আমার এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়ে
থাকেন তাহলে আপনার কাছের বন্ধু বান্ধবের মাঝে যারা এই ধরনের বিষয় সম্পর্কে জানতে
চাই তাদের কাছে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
রিজু ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url