ইতালির ১ টাকা বাংলাদেশের কত
প্রিয় পাঠক আপনি কি জানতে চাচ্ছেন ইতালির ১ টাকা বাংলাদেশের কত? যদি আপনি
ইতালির টাকার মান জানতে চান তাহলে আর দেরি না করে চটপট আমাদের আর্টিকেলটি পড়ুন
মনোযোগ সহকারে।আজকে আমি ইতালির ১ টাকা বাংলাদেশের কত সেটি সম্পর্কে আপনাদেরকে
বিস্তারিতভাবে জানাবো। এবার তো এবার চলুন ভালোভাবে এই সম্পর্কে জানা যাক।
সূচিপত্রঃ ইতালির ১ টাকা বাংলাদেশের কত এ সম্পর্কে বিস্তারিত
- ইতালি সম্পর্কে কিছু কথা
- বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
- বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যেতে কি কি কাগজে লাগে
- ইতালিতে কোন কাজে চাহিদা বেশি
- বর্তমানে ইতালির ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা
- ভ্রমণের সেরা দেশ ইতালি
- বাংলাদেশিরা ইতালিতে যে কাজ বেশি করে
- ইতালিতে কোন ধর্মের লোক বেশি
- ইতালির সম্পর্কে প্রশ্ন-উত্তর পর্ব
- লেখকের শেষ মন্তব্য
ইতালি সম্পর্কে কিছু কথা
প্রিয় বন্ধুরা চলুন আজকের আমি আপনাদেরকে ইতালি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য দেয়ার
চেষ্টা করব। আপনারা মনোযোগ সহকারে আমার এই পোস্টটি পড়তে থাকুন এবং আমার সাথে
থাকুন। ইতালি দক্ষিণ ইউরোপের একটি দেশ। এ দেশটি পশ্চিমা সভ্যতার একটি দেশ।
পশ্চিমা সভ্যতার দেশগুলোর মধ্যে ইতালি অন্যতম একটি দেশ। এই ইতালিতে নানা
শৈল্পিক নিদর্শন এ সার্জিত।
যদি আপনি ইতালিতে গিয়ে থাকেন তাহলে আপনি দেখতে পারবেন এই দেশটি কতটা শৈল্পিক
নিদর্শন এ সার্জিত।প্রাচীনকাল থেকেই ইতালির মানুষ খুবই আধুনিক
মাইন্দের। বর্তমানে ইতালি একটি গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র। এই দেশটি উন্নত
বিশ্বের সেরা দেশগুলোর মধ্যে একটি। ইতালি চারটি দেশের সাথে সীমান্ত রয়েছে।
ইতালির পুরো দেশটি একটি উপদ্বীপ মতো দেখতে।
ইতালির মোট আয়তন ৩ লক্ষ ১৩৪০ বর্গ কিলোমিটার। আয়তনের হিসেবে এটি বিশ্বের ৭২তম
এবং জনসংখ্যার দিক থেকে এটি ২৩ তম। ২০১৭ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ইতালির মোট
জনসংখ্যা প্রায় ৬ কোটির অধিক। ইতালের রাজধানী হচ্ছে রোম। ইতালির রাষ্ট্রীয়
ভাষার নাম হচ্ছে ইতালিয়।ইতালের রাজধানী রোম খুবই সুন্দর এবং পর্যটনের জন্য সেরা
একটি শহর।
বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যেতে কত টাকা লাগে
এখন প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যেতে কত টাকা লাগে। প্রিয় বন্ধুরা
আপনারা যারা ইতালিতে যেতে চান তাদেরকে অবশ্যই এ বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে। কারণ
ইতালি যাওয়ার আগে আপনাকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা
থাকতে হবে। কারণ প্রতিনিয়ত এই বিষয়গুলো আপডেট হচ্ছে তাই সঠিক বিষয়
সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী। ইতালি যেতে চাইলে আপনাকে সব ধরনের ভিসা সম্পর্কে ধারণ
রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
কেননা সব ভিসা একই টাকা খরচ হবে না একেক ভিসায় একেক ধরনের খরচ
হয়। ভিসার ধরন অনুযায়ী ভিসার খরচ হয়ে থাকে। এবার চলুন কোন ভিসায় কি ধরনের
টাকা খরচ হতে পারে সে সম্পর্কে জানবো। আপনি যদি ইতালি যেতে চান তাহলে দুই
ধরনের ভিসা পেয়ে যাবেন। যেমনঃ সিজনাল বা শর্টাম ভিসা এবং নন সিজনাল বা লং ট্রাম
ভিসা।
আপনি যদি শর্ট টাইম এর জন্য অর্থাৎ দুই মাস বা তিন মাসের জন্য ইতালি যেতে চান
তাহলে আপনি সিজনাল ভিসা পাবেন। ভিসা নিতে বর্তমানে খরচ হয় প্রায় চার লক্ষ টাকার
মত। আরেকদিকে আপনি যদি দীর্ঘ দিনের জন্য ইতালিতে বসবাস করতে চান এবং সেই দেশের
কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে জন্য ভিসা দিবে।
আর এই ভিসার খরচ হবে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার মত। নন সিজনাল ভিসার মধ্যে অনেক
ভিসা রয়েছে যেমন স্টুডেন্ট ভিসা, কৃষি ভিসা, স্পনসর ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা,
কন্সট্রাকশন ভিসা ইত্যাদি। আর সিজনাল ভিসার মধ্যে রয়েছে ট্রাভেল ভিসা। তো আপনি
যে ভিসা নিয়ে ইতালিতে যেতে চান আপনার পছন্দমত সেটি বাছাই করুন এবং যাবতীয়
কার্যাবলী সম্পাদন করুন।
বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যেতে কি কি কাগজ লাগে
বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যেতে কি কি কাগজ লাগে এখন এই সম্পর্কে আমরা জানবো। পৃথিবীর
প্রত্যেকটি দেশের ভ্রমণের ক্ষেত্রে বা সে দেশে কাজ করতে যাওয়ার আগে কিছু
প্রসেস থাকে আর সেই প্রসেসের মাধ্যমে উক্ত দেশে যাওয়ার পারমিশন আপনি পাবেন।
তেমনি ইতালিতে যেতেও কিছু প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। ইতালি
ইউরোপ কান্ট্রির একটি দেশ। এদেশে যার জন্য আপনাকে কিছু কাগজ পত্র জমা
দিতে হয়।
আরো পড়ুনঃ
যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়ার ১০টি বৈধ উপায়
মূলত এই কাগজপত্র গুলো আপনার নথিপত্র হিসেবে কাজ করে। আপনার সম্পর্কে ইতালি দেশে
সরকার সকল কিছু বিবেচনা করে আপনাকে ওই দেশে যাওয়ার অনুমোদন দিয়ে থাকে। আপনি
আসলে ইতালিতে যাওয়ার যোগ্য কিনা এই কাগজপত্র গুলোর মাধ্যমেই এই প্রমাণপত্র
কালেকশন করে। তো চলুন এবার কিসে প্রমাণপত্র কাগজ পত্র সেগুলো সম্পর্কে আজকে আমরা
আপনাদেরকে সরাসরি জানাবো।
- পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি
- ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম
- স্বাস্থ্য বীমা
- আর্থিক সমর্থের প্রমাণ
- ভ্রমণের উদ্দেশ্য প্রমাণ
- কাজের প্রমাণ (ওয়ার্ক পারমিট)
- IELTS স্কোর এবং সার্টিফিকেট
- শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
- ইতালির প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া অফার লেটার
- কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন সনদপত্র রিকোয়ারমেন্ট লেটার
এই প্রয়োজনীয় কাগজগুলো যদি আপনি রেডি করতে পারেন তাহলে আপনি খুব সহজেই
ইতালিতে যেতে পারবেন। আর এই কাগজগুলো হলো আপনার প্রমাণপত্র। ভিসা ক্যাটাগরি
নির্ধারণ করার পরে আপনি উপরের উল্লেখিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো প্রস্তুত করে
ভিসা লাগাতে গেলে খুব দ্রুতই আপনার ভিসার পেয়ে যাবেন।
ইতালিতে কোন কাজে চাহিদা বেশি
ইতালিতে প্রায় অনেক কাজের চাহিদা রয়েছে। ইতালিতে বাইরের দেশ থেকে অনেক লোক
কাজের উদ্দেশ্যে আসে। আর ইতালিতে কাজের কোন কমতি নেই। প্রায় সব ধরনের কাজের
চাহিদা এই দেশে রয়েছে। যারা ইতালিতে স্থায়ী বাসিন্দা তারা বিশেষ করে আইটি
সেক্টরে এবং গভমেন্ট সেক্টরে ও বিভিন্ন ধরনের ভালো ভালো কাজের সাথে জড়িত থাকবে।
এছাড়াও যারা বাইরে দেশ থেকে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন এই দেশে কাজের জন্য আবেদন করে
করবে।
আরো পড়ুনঃ
ভারতের ভিসা করতে কত টাকা লাগে
তারাও এদেশের ভালো ভালো কাজের সাথে জড়িত থাকতে পারবেন। যেমনঃ ডাক্তার
স্পেশালিস্ট ফার্মাসিস্ট গবেষক এবং বিভিন্ন ধরনের আইটি সেক্টরে
কাজের অফার পাবেন। আর যারা নন স্কিল ক্যাটাগরির লোক তারাও এদেশের কাজের
উদ্দেশ্যে আসলেন যে কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো হচ্ছে রেস্টুরেন্টের। ইতালিতে
প্রচুর রেস্টুরেন্ট রয়েছে। আর এই রেস্টুরেন্ট কাজের চাহিদা এ দেশে বেশি।
তাই যারা ননস্কেলার যারা এইসব রান্না বিষয়ে পারদর্শী তারা সহজে ইতালিতে
রেস্টুরেন্টের কাজ পেয়ে যাবেন এবং এই কাজের বেতনও অনেক বেশি। হ্যাঁ এছাড়াও
বিভিন্ন ধরনের শপিং মলের কাজের চাহিদা এদেশে অনেক বেশি এখান থেকে বেতন ও
অনেকটা বেশি। আবার জাহাজ তৈরির কাজ এর চাহিদা ও দেশও অনেক বেশি। ইতালিতে মূলত
জাহাজ তৈরি করা হয় আর এই কাজে প্রচুর পরিমাণে শ্রমিকের প্রয়োজন হয় তাই এই
কাজের চাহিদাও এদেশে অনেক বেশি।
বিভিন্ন ধরনের ফ্যাক্টরিতে কাজের চাহিদা রয়েছে। ইতালিতে বিভিন্ন ধরনের ফ্যাক্টরি
রয়েছে যেখানে বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি হয়। এই কাজগুলো করার মাধ্যমে
যেমন ভালো বেতন পাওয়া যায় তেমনি সপ্তাহে দুইদিন ছুটিও পাওয়া যায়। এবং এখানে
মেকানিক্যাল ও কৃষি কাজের চাহিদা ও যথেষ্ট রয়েছে। যারা এই ধরনের কাজে পারদর্শী
তারা ইত্যাদি দেন এই কাজগুলো করতে পারে এবং এ কাজ এর বেতন অনেকটা বেশি হয়ে
থাকে।
তো এখান থেকে বোঝা যায় যে ইতালিতে প্রায় সব ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে। আপনি
যদি উক্ত কাজের পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে এখান থেকে যথেষ্ট পরিমাণের ইনকাম করতে
পারবেন। তবে আরেকটি কথা ইতালিতে যারা প্রথম প্রথম আসবেন তারা যে
কাজেই করেন না কেন খুব একটা বেশি বেতন পাওয়া যাবে না আস্তে আস্তে অভিজ্ঞতা
অর্জন করার মাধ্যমে এবং ইতালি ভাষায় পারদর্শী হওয়ার মাধ্যমে এখানে বেতন বেশি
পাওয়া যাবে।
বর্তমানে ইতালির ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা
বর্তমানে ইতালির ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা এটা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে
চলুন এই সম্পর্কে আমরা বিস্তারিতভাবে জানবো। পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত দেশের টাকার
মানের মত ইতালির টাকার মান অনেক বেশি। তবে এই টাকার মান প্রতিনিয়ত কম
বেশি হচ্ছে। শুধু ইতালিতে নয় সব দেশের টাকার রেট প্রতিনিয়ত বাড়ে এবং
কমে।
তো আজকে আমরা জানাবো ইতালির ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা এটা। প্রিয় বন্ধুরা
আপনারা ইতালের এক টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা এটি শুনলে সত্যি চমকে উঠবে।।
ইতালির টাকার মান অনেক বেশি বাংলাদেশের টাকার তুলনায়। বর্তমানে ইতালির টাকার মান
দিন দিন বেড়েই চলছে। যেকোনো দেশের টাকার মান জানা খুবই জরুরী।
কারণ টাকার মান না জানলে আপনি টাকার হিসাব করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে বেশি
ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রবাসীরা। কারণ প্রবাসীরা প্রতিনিয়ত তাদের ইনকামের টাকা তাদের
পরিবার-পরিজনের কাছে পাঠিয়ে থাকেন। তাই এই টাকার মান যেন খুবই জরুরী। এছাড়াও
যারা এদেশে চাকরি করতেন চান তাদের ক্ষেত্রে ইতালির টাকার মান জানা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
ইতালি টাকা কে ইউরো বলা হয়। ২০২৫ সালে ইতালির টাকার রেট অনেক বেশি। ইতালির
১ টাকা বাংলাদেশের কত। আমি আপনাদের একটি ছকের মাধ্যমে ইতালির এবং বাংলাদেশের
টাকার মান উল্লেখ করলামঃ
ক্রমিক নং | ইতালির ইউরোর মান | বাংলাদেশি টাকার মান |
---|---|---|
১। | ১ ইউরো | ১২১.৬২ টাকা |
২। | ১০ ইউরো | ১২১৬.১৫ টাকা |
৩। | ২০ ইউরো | ২৪৩২.৩০ টাকা |
৪। | ৫০ ইউরো | ৬০৮০.৭৫ টাকা |
৫। | ১০০ ইউরো | ১২১৬১.৫১ টাকা |
৬। | ৫০০ ইউরো | ৬০৮০৭.৭৫ টাকা |
৭। | ১০০০ ইউরো | ১২১৬১৬.৬০ টাকা |
ভ্রমণের সেরা দেশ ইতালি
ভ্রমণের সেরা দেশ আছে ইতালি। আমি আগে আপনাদেরকে বলেছি ইতালি এমন একটি দেশ যেটি
ভ্রমণের জন্য খুবই সুন্দর একটি দেশ। প্রতিদিন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে এই দেশে
ভ্রমণের জন্য পর্যটনের ভিড় দেখা যায়। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ইতালি একটি
ইতালি রোম শহরটি অপরূপ রূপে সজ্জিত।
ইতালির রোম শহরটি বিভিন্ন শিল্প ও ঐতিহাসিক নিদর্শনে অপরূপ রূপে সজ্জিত। বর্তমানে
রোম শহরটি ঐতিহাসিক স্থাপত্যর ও বিভিন্ন ধরনের মজার মজার খাবারের জন্য
পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে পর্যটকদের পছন্দের
তালিকায় রোমের অবস্থান হচ্ছে দ্বিতীয়। রোম নগরের প্রাণবন্ত জীবন পর্যটকদের
আকৃষ্ট করে।
রোম নগরের পথে যে কোন পর্যটক হাটলে বিমোহিত হবেন ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন
গুলো দেখে।ক্যালসিয়াম রোমান ফোরাম এবং প্যান্থিয়াম এর মত প্রাচীন
নিদর্শন এই শহরের প্রাচীন যুগের কথা মনে করিয়ে দেয়। বিশ্বের এমন কোন
স্থাপনা নেই যেটি শৈল্প দিক দিক দিয়ে রোমানদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে।
ঘোরাঘুরি ছাড়া পর্যটকদের কাছে রোমান খাবার খুবই জনপ্রিয়।
রোমের পিজ্জা পাস্তা এবং বার্গারের খ্যাতি রয়েছে পুরো বিশ্বজুড়ে। এছাড়া রোমান
কপির ও স্বাদ সাড়া বিশ্বের জনপ্রিয়। পর্যটকের সারা বছর রুমে ভ্রমণের জন্য যেতে
পারেন কিন্তু পর্যটকদের কাছে একটি বেস্ট সময় হলো সেপ্টেম্বর থেকে
নভেম্বর মাস পর্যন্ত। ইতালির রাজধানীর রোম শহরে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম
স্বাধীন দেশ ভ্যাটিকান সিটি।
রোমের ক্রেভি ফুয়ারাতে প্রতিদিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যন্ত
কয়েন ফেলে। আর এই ক্রেভি ফোয়ারাতে কয়েন ছুড়ে ফেলার প্রধান কারণ মনে করেন
তারা এখানে যদি কয়েন ফেলা হয় তাহলে তাদের মনের আশা পূর্ণ হবে। এবং
ক্রেভি ফোয়ারাতে ফেলা কয়েন গুলো বছরে একটা সময় এই কয়েন গুলো দান
করা হয়।
বাংলাদেশীরা ইতালিতে যে কাজ বেশি করে
বাংলাদেশীরা ইতালিতে বিভিন্ন কাজের জন্য যায়। কেউ কেউ ইতালিতে যাওয়ার উদ্দেশ্য
হচ্ছে সেখানে চাকরি বা ব্যবসা করার জন্য। আবার কেউ কেউ যায় সেখানে প্রচুর ডিগ্রী
অর্জনের জন্য। ইতালি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ এবং এই দেশের
শিক্ষা ব্যবস্থা অন্যান্য উন্নত দেশের মতোই উন্নত। তবে বাংলাদেশের লোকজন
বিভিন্ন কাজের জন্য এদেশে যায় বিশেষ করে বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট এই দেশে
বেশি।
এবং যারা শিক্ষাগত যোগ্যতা দিক থেকে কম এবং যাদের উন্নত কোন স্কিল নেই তারাই
মূলত ব্যবসা করার জন্য এদেশের ভিটামিন এবং বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য এই দেশে।
ইতালিতে কৃষি কাজের জন্য অনেক লোক নিয়ে থাকে। বাংলাদেশের অনেক মানুষ কৃষি কাজ
করার জন্য ইতালিতে যায়। আর এইসব কাজের জন্য অনেক ভালো এমাউন্টের বেতন তাদের
দেওয়া হয়।
আরো পড়ুনঃ
বিদেশি প্রফেসরদের ইমেইলে করা ভুলগুলো
আপনারা অনেকেই জানেন ইতালিতে সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজ করতে হয়। কেউ যদি এই
নির্ধারিত ঘন্টার পরেও কাজ করতে চায় তাহলে তারা আবার টাইম হিসেবে কাজ করতে পারবে
এবং এখান থেকে ভালো এমাউন্টের সেলারি পাবে। মূলত বাংলাদেশের লোকজন রেস্টুরেন্ট
এবং কৃষি কাজের জন্য বেশি গিয়ে থাকে।
ইতালিতে কোন ধর্মের লোক বেশি
প্রিয় বন্ধুরা আপনি আমি আমরা সবাই জানি ইতালির রাজধানী হচ্ছে রোম। রোম শহরটি
৩০০০ বছরের পুরনো একটি শহর। এটি ১৮৭১ সাল থেকে দেশটির রাজধানী। ইতালির রাষ্ট্রীয়
ভাষা হচ্ছে ইতালি। এই ভাষার বিশ্বে প্রায় ৬ কোটি ৩০ লাখ মানুষ কথা বলে।
ইতালির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষই খ্রিস্টান ধর্মে বিশ্বাসী। তারা
খ্রিস্টান ধর্ম পালন করে। এবং ইতালিতে মুসলিম ধর্মের মানুষ হচ্ছে ৩ শতাংশ। এবং
অন্যান্য যারা রয়েছে তারা কোন ধর্মের বিশ্বাস করে না তাই তারা কোন ধর্ম
পালন করে না।
ইতালি সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর পর্ব
ইতালি দেশ সম্পর্কে বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন থাকে। আমরা এই প্রশ্নের
উত্তর গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম আপনাদের জানার স্বার্থে।
প্রশ্নঃ ইতালির কোন অংশে সুন্দর?
উত্তরঃ ফ্লোরেন্স ফ্লোরেন্স, রেনেসাঁর দোলনা, ইতালির সবচেয়ে
আইকনিক ল্যান্ডমার্ক এবং সল্পিক ভান্ডারের আবাসস্থল। গ্যালারিয়া ডেল
একাডেমীয়াতে মাইকেলেঞ্জেলোর ডেভিড দের প্রশংসা করুন, ফ্লোরেন্স ক্যাথিড্রালের
সৌন্দর্যের বিস্মিত হন এবং পন্টে বেচিও ব্রিজ জোরে হাটুন।
প্রশ্নঃ ইতালি কি বসবাসের জন্য ভালো?
উত্তরঃ হ্যাঁ ইতালি বসবাসের জন্য অনেক ভালো। একজন প্রবাসী হিসেবে ইতালিতে
বসবাস আপনাকে বিশ্বের সেরা খাবার সংস্কৃতি এবং একটি স্বস্তিদায়ক জীবনধারা উপভোগ
করতে দেয়।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশ আর ইতালি কত ঘন্টা ডিফারেন্স?
উত্তরঃ সময়ের পরিবর্তনের ফলে ইতালি থেকে বাংলাদেশের সময়ের ব্যবধান হবে
চার ঘন্টা। দুইবার লোক সঞ্চয় করতে ইতালিতে প্রতি গ্রীষ্ম এবং শীতকালে সূর্যাস্ত।
এবং সূর্যোদয়ের ওপর এক ঘণ্টা পরিবর্তন করা হয়। ফলে গ্রীষ্মকালের সময়ের ব্যবধান
হয় চার ঘন্টার শীতকালের পাঁচ ঘন্টা।
প্রশ্নঃ ইতালিতে কি ন্যূনতম মজুরি নেই?
উত্তরঃ ইতালিতে আইন দ্বারা ন্যূনতম মজুরি নেই। ন্যূনতম মজুরি সেক্টরাল
পর্যায়ে সম্মিলিত চুক্তি দ্বারা সেট করা হয় এবং ইত্যাদির বেশিরভাগ কর্মচারী
একটি যৌথ দরখাসা ঘোষের চুক্তি আওতায় থাকে। যেখানে মজুরি নির্ধারণ করা হয়।
প্রশ্নঃ ইতালির সর্বনিম্ন বেতন কত?
উত্তরঃ ইতালির একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন হলো ৮০ হাজার। তবে অভিজ্ঞতা ও
ইতালি ভাষার দক্ষতার উপর নির্ভর করে একজন শ্রমিকের বেতন বাড়তে থাকে।
প্রশ্নঃ ইতালির প্রধান ধর্ম কি?
উত্তরঃ ইতালির প্রধান ধর্ম হচ্ছে খ্রিষ্টান।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয়া পাঠক এতক্ষণ আমরা ইতালি সম্পর্কে নানা তথ্য আপনাদেরকে দেয়ার চেষ্টা
করেছি। আপনারা যারা ইতালিতে যেতে চান তাদের ইটালির সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্যের
প্রয়োজন। আজকে আমি ইতালির সম্পর্কে আমার আর্টিকেলে বিভিন্ন ধরনের তথ্য
সংযোজন করেছি। ইতালি কেমন দেশ, ইতালির রাজধানী কোনটি, ইতালিতে কোন
ধরনের কাজের চাহিদা বেশি, ইতালিতে যেতে কত টাকা লাগে, ইতালির ১ টাকা বাংলাদেশের
কত টাকা ইত্যাদি নিয়ে।
আশা করছি আপনারা এই পোস্টটি পড়ে ইতালির যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে
পেরেছেন। তো বন্ধুরা আমার এই পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে
অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
রিজু ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url