খুসখুসে বিরক্তিকর কাশির ঔষধ

আপনি কি খুসখুসে বিরক্তিকর কাশির ঔষধ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন, তাহলে এই পোস্টটি শুধুমাত্র আপনারই জন্য। আমাদের প্রত্যেকেরই কম বেশি সর্দি কাশি লেগে থাকে। আর এই সর্দি কাশির জন্য আমরা নানা ধরনের ওষুধ সেবন করি। 
খুসখুসে বিরক্তিকর কাশির ঔষধ
তবে অনেক সময় কাশি সারতে চায় না। আর এই খুসখুসে কাশি অনেক বিরক্তিকর ও অস্বস্তিকর। তাই অস্বস্তি থেকে বাঁচার জন্য আজকে আমরা খুসখুসে বিরক্তিকর কাশির ঔষধ সম্পর্কে জানব।

সূচিপত্রঃ খুসখুসে বিরক্তিকর কাশির ঔষধ সম্পর্কে জানুন

কাশি কত ধরনের

কাশি কত ধরনের জানেন? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকে জেনে নিন। কাশি সাধারণত দুই ধরনের। শুকনো কাশি ও ভেজো কাশি। শুকনো কাশি এই কাশি হলে গলা থেকে কোন প্রকার কফ বের হয় না। আসলে সাধারণত গলার ভিতরে চুলকায়। শুকনো কাছে তো কোন ধরনের শ্লেমা থাকে না। শুকনো কাশি হলে আপনারা তুলসী পাতা এবং বাসক পাতার রস করে পেটে কুসুম কুসুম গরম করে এর ভিতর মধু মিক্স করে খেতে পারেন। 
এতে করে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে আপনার শুকনো কাশি সেরে যাবে। এই উপকরণটি অনেক সময় চিকিৎসকরা দিয়ে থাকেন। তাই এটি একটি প্রমাণযোগ্য উপকরণ। তাছাড়া যাদের হাতের কাছের তুলসী বাসক পাতার নেই তারা মধুভাস নামে একটি সেরা রয়েছে সেটি খেতে পারেন। এটি শুকনো কাশির জন্য খুবই উপকারে। এই সিরাপটির ১০০ গ্রাম এর দাম ১০০ টাকা। 

আপনি অনায়াসেই এই সিরাপটি যেকোন ফার্মেসির দোকান থেকে কিনে নিতে পারবেন। এই সিরাপটির মধ্যে ৪০% অরজিনাল খাঁটি মধু রয়েছে। ওই মেডিসিন কি কোন সাইড ইফেক্ট নেই। ভেজা কাশি হলে সেটি খুব একটা সেনসিটিভ হয় না। এটি নিয়মিত হালকা কুসুম পানি দিয়ে গড়গড়া করলে এবং কিছু নিয়মকানুন মানলে মেডিসিন নিতে হয় না। কিছু সাধারণ মেডিসিনে এটি ভালো হয়ে যায়।

খুসখুসে ও শুকনো কাশি কমানোর ঘরোয়া টিপস 

আসেছে শীত আর এই শীতে সবারই জ্বর থান্ডা লেগেই থাকে। আর এই জ্বর থান্ডাতে প্রায় বেশির ভাগ মানুষের কাশি লাগে। কাশি একটি স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক ক্রিয়া যা শ্বাসনালী পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি সাধারণত অস্থায়ী তবে এটি খুবই বিরক্তিকর ও অস্বস্তিকর। কাশি নানা কারণে হতে পারে।কাশি এলার্জির, ধুলাবালি বা দূষণের কারণও হতে পারে। শীতের সময় মূলত এটি বেশি হয়ে থাকে।

আপনি যদি এ ধরনের সমস্যায় বুকে থাকেন তাহলে আপনার স্বস্তির জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার ব্যবহার করতে পারেন। কিছু ঘরোয়া প্রতিকার শ্বাসনালী পরিষ্কার করার জন্য বেশ কার্যকরী এবং এতে শ্বাস প্রশ্বাস সহজ হয়। তবে সমস্যাটি যদি দীর্ঘদিন ধরে থেকে যায় তাহলে তখন আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। টাইমস অফ ইন্ডিয়া প্রকাশ করেছে পাঁচটি প্রাকৃতিক প্রতিকার যা কাশি বন্ধ করতে সাহায্য করবে।

মধুঃ
মধু হলো সর্দি এবং কাশির জন্য সবচেয়ে উপকারী ঘরোয়া প্রতিকার। এন্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি মাইক্রোবিয়ান এবং এন্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় জানা গেছে যে, সর্দি এবং কাশি নিরময়ের জন্য ওষুধের চেয়ে মধু ভালো। চা হালকা গরম পানি এবং লেবুর রসের দুই চামচ মধুনি যে প্রতিদিন দুইবার পান করলে উপকার পাবেন।

লবণ পানির গার্গেলঃ
লবণ পানির গর্গেল গলার খুসখুসে ভাব কমে এবং শ্লেমা পরিস্কার করতে পারে। এক কাপ হালকা কোম্পানিতে এক কোয়াটার চামচ লবণ মিশিয়ে দিলে একাধিকবার এটি দিয়ে গর্গেল করুন। এর প্রতিকারটি শিশুর জন্য নয়, কারণ তারা ঠিক মতো গারগাল করতে সক্ষম নাও হতে পারে এবং পানি গুলো খেতে পারে।

আদাঃ
চাপা মধু এবং কালো মরিচের সাথে আদার রস খাওয়ার কাশি নিরাময়ের অন্যতম কার্যকরী প্রতিকার।তবে বেশি আদা চা পান করা যাবে না কারণ এটি পাকস্থলী সমস্যা ডেকে আনতে পারে।

তুলসী পাতাঃ
তুলসী পাতায় নামক একটি যৌগ থাকে যা, আকাশে দূর করার কাজে লাগে। এটি গলা ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এবং কাশিও সরাতে পারে। তুলসী পাতার রস কুসুম কুসুম গরম করে খাওয়ার মাধ্যমে এটি গলার ভেতরকার শ্লেষ্মা সাহায্য করে। সমস্যা কমানোর জন্য দিনে দু থেকে তিনবার গোলমরিচের চাপান করার সবচেয়ে উপকারী উপায়। আর আমার থেরাপি হিসেবে তুলসী পাতা তেল ব্যবহার করতে পারেন।
খুসখুসে বিরক্তিকর কাশির ঔষধ

ইউক্যালিপ্টাস তেলঃ
ইউক্যালিপ্টাস তেল নিশ্বাস পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। নারিকেল বা অলিভ অয়েল এর সঙ্গে কয়েক ফোটা ইউক্যালিপোটাস তেল মিশিয়ে ঘোষুন। এছাড়াও এক বাটি গরম পানিতে কয়েক ফোটা ইউক্যালিপটাস তেল যোগ করুন এবং ভাব নিতে পারেন। এটি নেয়ার পরে নিঃশ্বাস বশ করা হবে এবং কাশি দূর হয়ে যাবে।

বাচ্চাদের সর্দি কাশির ঘরোয়া টিপস

এই শীতে বেশিরভাগ বাচ্চারাই সর্দি কাশিতে ভোগে। তাই এই ঠান্ডায় বাচ্চাকে কাশি থেকে সুস্থ রাখার জন্য আমাদের নিয়মিত কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। বাচ্চার বুকে যদি থান্ডা লাগে তাহলে সঠিকভাবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চলা হয় তাহলে অবশ্যই বাচ্চারা এই সর্দি কাশি থেকে অনায়াসে মুক্তি পাবে।নিম্নে ঘরোয়া টিপস গুলো তুলে ধরা হলোঃ
  • শীতের সময় বাচ্চার সর্দি-কাশি থেকে সুস্থ রাখার জন্য বাচ্চাকে নিয়মিত হালকা কুসুম পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে। এটি রোজ করাতে হবে। কারণ নিয়মিত গোসল না করলে এই ঠান্ডা টি বাচ্চার বুকে বসে যেতে পারে। 
  • বাচ্চার বয়স যদি ছয় মাসের উপর হয় তাহলে তার নিয়মিত খাবারে পাশাপাশি তাকে হালকা লিকার করার চা মধু এবং আদা কুচি দিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু এটি খুব অল্প পরিমাণে। এটি বাচ্চার সর্দি কাশির জন্য খুবই ভালো একটি উপকরণ।
  • তেজপাতা এলাচ এগুলো দিয়ে যদি গরম পানি করে বাচ্চাকে দের চামচ করে খাওয়াতে পারেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি বাচ্চা কাশি থেকে উপসম হবে।
  • থ্রি পার্সেন্ট সোডিয়াম ক্লোরাইড নেবুলাইজর সলিউশন এটি মেশিনের ঢেলে বাচ্চার নাকে দিলে যে বাসবো পাবে সেখান থেকে বাচ্চার শাসন নারী পরিষ্কার হবে এবং তার নাত ক্লিয়ার হয়ে যাবে এবং শ্বাস নিতে কষ্ট কম হবে।
  • হাফ চামচ লবণ দিয়ে গরম পানি করে সেই লবণের ফোটা বাচ্চার নাকে দিয়ে সকার পেইন দিয়ে বাচ্চার নাক থেকে সকল পিচ্ছিল পদার্থ বের করে ফেলতে পারেন এর ফলে বাচ্চার নাম পরিষ্কার হয়ে যাবে। এতে করে বাচ্চা সহজে নিঃশ্বাস নিতে পারবে।
  • যদি ১ বছরের উপরে বাঁচার বয়স হয় তাহলে বাচ্চাকে আপনি মধে দিতে পারেন। মধু ঠান্ডা কাশি সারাতে খুবই উপকারী।
  • বাচ্চা ঠান্ডা কাশি ছাড়াতেন বাচ্চাকে আপনি তুলসী পাতার রস খাওয়াতে পারেন।
  • এবং মধু ও লেবু পানি গরম করে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারে এতে করে বাচ্চার ঠান্ডা কমে যেতে পারে।

বাচ্চাদের সর্দি কাশির সিরাপ

শীত গরম যে কোন সিজনে বাচ্চারা সর্দি কাশি জ্বর ইত্যাদিতে আক্রান্ত হয়। বড়দের চাইতে বাচ্চাদের বেশি এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। ঠান্ডা লাগলে বাচ্চাকে যে দুটি ওষুধ আমরা দিব সেটি নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব। বাচ্চাদের সর্দি কাশির জন্য সেরা দুইটি সিরাপ হলোঃ
  • এলাট্রল সিরাপ
  • এমব্রোক্স সিরাপ
বাচ্চার ঠান্ডা লাগলে বাচ্চাকে এলাট্রল স্কয়ার কোম্পানির যেটি সবাই চেনেন এটি ড্রপ ফর্মে পাওয়া যায় আবার সিরাপ ফর্মা পাওয়া যায়। এবং কাশীর জন্য এমব্রক্স ড্রপ বা সিরাপ পাওয়া যায় এটিও বাচ্চাকে আপনি দিতে পারেন। এই দুটি ওষুধ যদি আপনি সঠিক নিয়মে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন তাহলে বাচ্চা ঠান্ডা ও কাশি থেকে মুক্তি পাবে। সঠিক নিয়ম গুলো আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম। 
দুই থেকে ছয় বছরের বাচ্চাদের এলাট্রল সিরাপ আদা চামচ করে দিনে দুবার খাওয়াবেন। এবং ছয় মাস থেকে দু বছরের বাচ্চাদের আলাট্রল সিরাপ আধা চামচ করে দিনে একবার দিতে হবে। এভাবে যদি বাচ্চাকে নিয়মিত সিরাপ হতে পারেন তাহলে অবশ্যই বাচ্চার ঠান্ডা ও কাশি দুটি সেরে যাবে। এবং যদি এর থেকে বেশি সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

বড়দের খুসখুসে বিরক্তিকর কাশির ঔষধ

বাচ্চাদের এই যে শুধু সর্দি কাশি লাগে তাহলে বাচ্চাদের পাশাপাশি বড়দেরও সহ্য করতে লেগে থাকে। তবে বড়দের তুলনায় বাচ্চাদের বেশি। এতক্ষন আবার বাচ্চাদের সর্দি কাশি ঘরোয়া উপায় এবং ঔষধ সিরাপ সম্পর্কে জানলাম। এখন আমরা বড়দের খুসখুসে বিরক্তিকর কাশির ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। তাই দেরি না করে পোস্টটি ভালোভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। 
  • টোফেন ট্যাবলেট। এই টোফেন ট্যাবলেটটি কাশির জন্য খুবই উপকারী। যারা খুশখুসে অস্বস্তিকর কাসি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন তারা টোফেন ট্যাবলেটটি খেতে পারেন। এটা বেটির দিনে দুবার খাবার পর খেতে হবে।
  • ডক্সিভা ২০০ ট্যাবলেট। এইটা ট্যাবলেটিও কাশির জন্য খুবই ভালো। এইটা ভিডিও দিনে দুবার খেলে কাশির জন্য খুবই ভালো।
  • মোনাজ ১০ ট্যাবলেট। এই ট্যাবলিটও অনেক ভালো। এটি কাশির জন্য খুবই ভালো।
  • ডেক্সোটিক্স ট্যাবলেট। এই ট্যাবলেটটিও কাশির জন্য খুবই ভালো। এটি দিনের দুইবার খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আকাশের চারটে কাশির ঔষধ সম্পর্কে জানালাম। তবে আপনাকে অবশ্যই এই ওষুধগুলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। কারণ এক একজনের কাশির ধরন এক এক রকমের হতে পারে আর এর ফলে ওষুধের ধরনও ভিন্ন হতে পারে।

গলায় খুসখুসে কাশির সিরাপ

গলায় খুসখুসে কাশির জন্য শুধু যে ঔষধি রয়েছে এমনটি নয় ওষুধের পাশাপাশি সেরা পর রয়েছে। যাদের ওষুধের কাজ না হয় তারা সিরাপ সেবন করতে পারেন। তাছাড়া সিরাপ কাশির জন্য খুবই উপকারী এবং প্রতি দ্রুত কার্যকারী। নিম্নে কয়েকটি সিরাপের নাম উল্লেখ করা হলোঃ
  • ডেক্সট্রিম সিরাপ। এটি শুকনো কাশির জন্য খুবই উপকারী। তবে এটির একটি সমস্যা রয়েছে এই সিরাপটি খেলে অতিরিক্ত ঘুম ধরতে পারে এবংঅনেক মাথা ঘুরতে পারে। কারণটির মধ্যে অ্যালকোহলের পরিমাণ একটু বেশি রয়েছে।
  • এমব্রক্স সিরাম এটি সর্দি কাশির জন্য খুবই ভালো একটি সেরা। এটি আপনার হালকা হালকা সর্দি থাকলে সেটি বের করে দেয় এবং যাদের শুষ্ক কাশী তাদের জন্য খুবই উপকারী।
  • Ambox সিরাপ। এই সিরাপটি স্কয়ার কোম্পানির। এই সিরাপটি কাশির জন্য অত্যন্ত ভালো একটি সিরাপ।
  • ডেক্সপোর্টেন প্লাস সিরাপ। এটা অনেক ভালো কোম্পানি এবং ভালো মনের একটি ওষুধ। এটি কাশি সারাতে যথেষ্ট সহায়ক।
  • ও কফ সিরাপ। এই সিরাপটিও অনেক ভালো মানের একটি। যাদের সর্দি কাশি বুকে কফ জমে রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকারী।
  • আরেকটি সিরাপ হচ্ছে সেটি হচ্ছে তুস্কা প্লাস এবং টুস্পেল সিরাপ। এই দুটি সিরাপ যাদের বুকে ব্যথা গলা ব্যথা এবং প্রচন্ড খুসখুসে কাশি তাদের জন্য এই দুটি সিরাপ খুবই কার্যকরী। তুস্কা সিরাপটি কার কোম্পানি এবং টুস্পেল সিরাপটি বেক্সিমকো কোম্পানির সিরাপ।
  • আরেকটি সেরা রয়েছে সেটি হচ্ছে অ্যাডভাস সিরাপ। এটি স্কয়ার কোম্পানির সিরাপ। যাদের খুশখুসে কাশি বুকে কফ জমে রয়েছে বুকে ব্যথা। এবং কাশির ক্ষেত্রে যাবতীয় সমস্যার দূরীকরণে এই সিরাপটি খুবই কার্যকরী। ১০০ এম এল ও ২০০ এমএলএ পাওয়া যায়।

গর্ভাবস্থায় কাশি হলে কি ওষুধ খাব

গর্ভাবস্থায় কাশি হলে কি ওষুধ খাব এই প্রশ্নের উত্তর হল সাধারণ অর্থে না। কারণ গর্ভাবস্থায় যেকোনো সমস্যার জন্য আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এ সময় গর্ভবতী আকার নয় গর্ভবতী এবং তার গর্ভের সন্তানের জন্য যে কোন ওষুধ সেবন করায় ক্ষতিকারক। তাই স্বাভাবিক বা ছোটখাটক যে কোন কিছুই হোক না কেন গর্ভাবস্থায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেই চিকিৎসা মেডিসিন বা ওষুধ সেবন করতে হবে। 
খুসখুসে বিরক্তিকর কাশির ঔষধ
গর্ভাবস্থায় কাশি হলে আপনি একজন গর্ভবতী মা অবশ্যই কাশির ওষুধ বা মেডিসিন নিতে পারবে। তবে গর্ভবতী সকল সমস্যা চিকিৎসক যে ধরনের ট্রিটমেন্ট বা মেডিসিন এটা বলে থাকে সেই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাহলে একদিন গর্ভবতী সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত হবে। তা না হলে গর্ভবতীর গল্পের সন্তানের সমস্যা হতে পারে এমনকি গর্ভবতীরা সমস্যা হতে পারে। তাই চলুন সচেতন হয় এবং নিয়ম মেনে গর্ভকালীন সময়ে চলাফেরা করবে এবং সুস্থ থাকার চেষ্টা করব।

সর্দি কাশি নিয়ে প্রশ্ন উত্তর পর্ব

নিম্নের সর্দি কাশি নিয়ে প্রশ্ন উত্তর পর্ব উল্লেখ করা হলোঃ

প্রশ্নঃ কাশির সবচাইতে ভালো ঔষধ কি?
উত্তরঃ ক্লাসের সবচাইতে ভালো ওষুধ হলো কু গুয়াইফেনেসিন। এটির কাজের জন্য সবচেয়ে সহজলভ্য ও কাউন্টার ড্রাগ।

প্রশ্নঃ কাশি না কমায় কারণ কি?
উত্তরঃ কাশি বা শ্বাসনালীর সংক্রমণের ফলে হতে পারে যেমন সাধারণ সর্দি, কোভিড-১৯, নিউমেনিয়া পের্টুসিস বা যক্ষা। এই ধরনের রোগ থাকলে কাশি কমবে না।

প্রশ্নঃ কাশির জন্য কোন এন্টিবায়োটিক ভালো?
উত্তরঃ টেট্রাসাইক্লিন এবং আমোক্সিলিনকে পছন্দের অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে সুপারিশ করে। অতি সংবেদনশীলতার ক্ষেত্রে মাইক্রো লাইট গুলিকে বিকল্প এন্টিবায়োটিক হিসেবে সুপারিশ করা হয়।

প্রশ্নঃ ভাইরাসের প্রকাশ কতদিন থাকে?
উত্তরঃ ভাইরাস সংক্রমনের পরে তারা ৩ থেকে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত ঠিক থাকতে পারে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে পোস্ট ভাইরাল কাশির দুটি সাধারণ রয়েছে পোস্ট নসাল ড্রিপ,যখন শ্লেস্মা আপনার গলায় চলে আসে।

প্রশ্নঃ স্বাভাবিক কাশি কত দিনের থাকে?
উত্তরঃ সাধারণত মধ্যে কাশির সেরে গেলে সেদিকে স্বাভাবিক কাছে বলে
প্রশ্নঃ অতিরিক্ত কাশি হলে কি স্টোক হয়?
উত্তরঃ অতিরিক্ত কাশি হলে টক হতে পারে।

খুসখুসে বিরক্তিকর কাশির ঔষধ সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য 

প্রিয় পাঠক আজকে আমি আপনাদেরকে খুসখুসে বিরক্তিকর কাশির ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি। কাশি কত প্রকার এর লক্ষণ, কিভাবে এ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে, কাশি সারার ঘরোয়া টিপস বাচ্চাদের কিভাবে কাশির চিকিৎসা করাবেন এবং কাশির বিভিন্ন ঔষধ ও সিরাপ সম্পর্কে আমি আমার এই পোস্টটিতে বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছি। 

আশা করছি আমার এই পোস্টটি থেকে আপনারা মূল বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। যদি আমার এই পোস্টটি থেকে আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আজকে এই পর্যন্তই আগামীকাল আরো অন্য আর একটি টপিক নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিজু ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url